চুয়াডাঙ্গা দর্শনা থানার চার বছর পূর্তি
- আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০৪ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা দর্শনা থানার চার বছর পূর্তি
আসাদুজ্জামান আসাদ- নিজেস্ব প্রতিনিধি।
দর্শনা থানা প্রতিষ্ঠার আজ চতুর্থ বার্ষিকী। ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) চুয়াডাঙ্গা সদর থানা এবং দামুড়হুদা থানাকে বিভক্ত করে দর্শনা থানা নামে নতুন থানা গঠন করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারিতে দর্শনা থানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এই চার বছরে থানার প্রথম অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মাহবুবুর রহমান কাজল, এরপর এএইচএম লুৎফুল কবির ও ফেরদৌস ওয়াহিদ অফিসাস ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবং বর্তমান দায়িত্বে আছেন (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা। স্থানীয়দের মতে, শিল্পনগরী দর্শনায় থানা স্থাপনের পর থেকে শহরে চুরি, ডাকতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সংখ্যা দিন দিন কমে এসেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৪ বছরে দর্শনা থানায় কর্মরত অফিসার ও ফোর্সগণ ১৩ হাজার ১৪২ বোতল ফেন্সিডিল, ৩৫২ কেজি গাঁজা, ৭ হাজার ৭১৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮৭৪ লিটার চোলাই মদ, ২০৬ বোতল বিদেশী মদ, ২৩ হাজার ৩০০ পিস ট্যাপেন্টডল ট্যাবলেট, ১ হাজার ৩২৩ পিস নেশা জাতীয় ইনজেকশন, ১৭টি গাজাঁর গাছ ও ৩ পুরিয়া হেরোইন আটক হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ১৯০টি চোরাচালান, ইভচিজিং, ছিনতাই, মারামারি, খুন-ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, সন্ত্রাস, অস্ত্রসহ ভারতীয় মালামাল উদ্ধার ও মাদক মামলা হয়েছে। আর এসব মামলায় আটক হয় ২ হাজার ৯৩৭ জন আসামি।দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, আমার পূর্ববর্তী অফিসার ইনচার্জগণ নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। থানা এলাকায় যে কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি স্থানীয় জনসাধারণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও সতর্ক হয় এবং পুলিশকে সহায়তা করে।তবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব বলে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি জন-সাধারণের প্রতি তার এলাকায় ঘটমান যে কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানান।