ঢাকা ০৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মৃত্যুর চেয়েও মারাত্মক সময় অপচয়: সফল জীবনের পথে সতর্কবার্তা ১৩ বছরে কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি নীলফামারীর সমিতার: তবুও ফিরতে চান স্বামীর সংসারে শ্যামনগর কৈখালীতে বিশুদ্ধ পানির প্লান্ট উদ্বোধন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক ফেনীতে স্বামীকে হ’ত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা বরিশাল রেঞ্জ কমান্ডার জিরো পয়েন্ট থেকে সোনাগাজী হাসপাতাল রিক্সা ভাড ৪০ টাকা রাজাপুরে জমি দখল করতে গিয়ে গাছ কেটে তিন লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ তানোরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বিএনপির নেতা কর্মীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হরিপুরে স্বপ্নসারথী গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান ২০২৫ সর্বস্তরের জনগণ প্রথম আলো ও ইনকিলাব পত্রিকায় সাতক্ষীরার উন্নয়নের বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা সদরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অবস্থান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪ ২০১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-

দামুড়হুদা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আ. খালেকের ছেলে সাইদুরের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে এক সন্তানের জননী অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে তিনি অবস্থান নেন। তাকে বুঝিয়েও বাড়ি ফেরাতে পারেননি তার বাবা-মা।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কুনিয়া গ্রামের নাজুর মেয়ে নাজমিন নাহার ফুলতুলির দুই বছর আগে কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামে বিয়ে হয়। তবে ফুলতলি স্বামীর সংসার ছেড়ে চাঁদপুর গ্রামের আ. খালেকের ছেলে সাইদুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তারা অবৈধ সম্পর্কে জাড়ান। এ জন্য ফুলতুলি সাইদুর রহমানকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তবে সে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে সাইদুুরের বাড়িতে অবস্থান নেন ফুলতুলি। এমন খবর পেয়ে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী।
ফুলতলির মা বলেন, ‘সাইদুর আমার মেয়ের সোনার সংসার নষ্ট করে দিলো। তার এক বছরের একটি বাঁচ্চা রয়েছে। সকলে বুঝিয়েও তাকে ফেরৎ আনতে পারলাম না।’ স্থানীয় অনেকেই নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, সাইদুর চুলের ব্যবসা করেন। তিনি এলাকার মেয়েদের উত্ত্যাক্ত করে বেড়াতেন। তিনি একটি সুন্দর সংসার নষ্ট করে দিলো। তার শাস্তি হওয়া দরকার।এ বিষয়ে জানতে সাইদুুরের বাড়ি গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি আগে থেকে টের পেয়ে তিনি সটকে পড়েন। সাইদুরের বাবা বলেন, ‘কী করব, ছেলে-মেয়ে দুজন দুজনকে ভালোবাসে। ইদ্দত পালন শেষে তিন মাস পর তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।’ তবে স্থানীয়রা জানান, তারা আজ বিয়ে করে সাইদুর যেখানে চুলের ব্যবসা করে, সেখানে চলে যাবে। এ বিষয়ে জানতে ফুলতলির স্বামীর পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গা সদরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অবস্থান

আপডেট সময় : ০৮:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-

দামুড়হুদা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আ. খালেকের ছেলে সাইদুরের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে এক সন্তানের জননী অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে তিনি অবস্থান নেন। তাকে বুঝিয়েও বাড়ি ফেরাতে পারেননি তার বাবা-মা।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কুনিয়া গ্রামের নাজুর মেয়ে নাজমিন নাহার ফুলতুলির দুই বছর আগে কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামে বিয়ে হয়। তবে ফুলতলি স্বামীর সংসার ছেড়ে চাঁদপুর গ্রামের আ. খালেকের ছেলে সাইদুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তারা অবৈধ সম্পর্কে জাড়ান। এ জন্য ফুলতুলি সাইদুর রহমানকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তবে সে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে সাইদুুরের বাড়িতে অবস্থান নেন ফুলতুলি। এমন খবর পেয়ে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী।
ফুলতলির মা বলেন, ‘সাইদুর আমার মেয়ের সোনার সংসার নষ্ট করে দিলো। তার এক বছরের একটি বাঁচ্চা রয়েছে। সকলে বুঝিয়েও তাকে ফেরৎ আনতে পারলাম না।’ স্থানীয় অনেকেই নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, সাইদুর চুলের ব্যবসা করেন। তিনি এলাকার মেয়েদের উত্ত্যাক্ত করে বেড়াতেন। তিনি একটি সুন্দর সংসার নষ্ট করে দিলো। তার শাস্তি হওয়া দরকার।এ বিষয়ে জানতে সাইদুুরের বাড়ি গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি আগে থেকে টের পেয়ে তিনি সটকে পড়েন। সাইদুরের বাবা বলেন, ‘কী করব, ছেলে-মেয়ে দুজন দুজনকে ভালোবাসে। ইদ্দত পালন শেষে তিন মাস পর তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।’ তবে স্থানীয়রা জানান, তারা আজ বিয়ে করে সাইদুর যেখানে চুলের ব্যবসা করে, সেখানে চলে যাবে। এ বিষয়ে জানতে ফুলতলির স্বামীর পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।