ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রংপুরে অ্যাডভান্স প্রি-ক্যাডেট স্কুল এন্ড মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা যশোরের পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদ সহ ৪ এসপি প্রত্যাহার ঢাকা ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের ঝিনাইদহের মহেশপুরে কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের হেনস্থা রাউজান প্রেস ক্লাবের প্রবিবাদ ও তীব্র নিন্দা বাকৃবিতে প্রায় ছয় শতাধিক কৃষিভিত্তিক গবেষণা উপস্থাপন শাল্লায় মাদারিয়া বাঁধে ফাটল জয়পুরে নেই পিআইসি ঝুঁকির মুখে ছায়ার হাওর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে শিশির মনির  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদেশ দেওয়ার পরেও বৈধ শিক্ষক এরশাদের বেতন আটকিয়ে রেখে দাপট দেখাচ্ছেন অধ্যক্ষ ঢাকা সাভার পৌরসভার কুলিবিট ইজারা ৩ মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ হাইকোর্টের

চুয়াডাঙ্গা সদরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অবস্থান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪ ১১৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-

দামুড়হুদা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আ. খালেকের ছেলে সাইদুরের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে এক সন্তানের জননী অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে তিনি অবস্থান নেন। তাকে বুঝিয়েও বাড়ি ফেরাতে পারেননি তার বাবা-মা।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কুনিয়া গ্রামের নাজুর মেয়ে নাজমিন নাহার ফুলতুলির দুই বছর আগে কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামে বিয়ে হয়। তবে ফুলতলি স্বামীর সংসার ছেড়ে চাঁদপুর গ্রামের আ. খালেকের ছেলে সাইদুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তারা অবৈধ সম্পর্কে জাড়ান। এ জন্য ফুলতুলি সাইদুর রহমানকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তবে সে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে সাইদুুরের বাড়িতে অবস্থান নেন ফুলতুলি। এমন খবর পেয়ে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী।
ফুলতলির মা বলেন, ‘সাইদুর আমার মেয়ের সোনার সংসার নষ্ট করে দিলো। তার এক বছরের একটি বাঁচ্চা রয়েছে। সকলে বুঝিয়েও তাকে ফেরৎ আনতে পারলাম না।’ স্থানীয় অনেকেই নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, সাইদুর চুলের ব্যবসা করেন। তিনি এলাকার মেয়েদের উত্ত্যাক্ত করে বেড়াতেন। তিনি একটি সুন্দর সংসার নষ্ট করে দিলো। তার শাস্তি হওয়া দরকার।এ বিষয়ে জানতে সাইদুুরের বাড়ি গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি আগে থেকে টের পেয়ে তিনি সটকে পড়েন। সাইদুরের বাবা বলেন, ‘কী করব, ছেলে-মেয়ে দুজন দুজনকে ভালোবাসে। ইদ্দত পালন শেষে তিন মাস পর তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।’ তবে স্থানীয়রা জানান, তারা আজ বিয়ে করে সাইদুর যেখানে চুলের ব্যবসা করে, সেখানে চলে যাবে। এ বিষয়ে জানতে ফুলতলির স্বামীর পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গা সদরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অবস্থান

আপডেট সময় : ০৮:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-

দামুড়হুদা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আ. খালেকের ছেলে সাইদুরের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে এক সন্তানের জননী অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে তিনি অবস্থান নেন। তাকে বুঝিয়েও বাড়ি ফেরাতে পারেননি তার বাবা-মা।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কুনিয়া গ্রামের নাজুর মেয়ে নাজমিন নাহার ফুলতুলির দুই বছর আগে কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামে বিয়ে হয়। তবে ফুলতলি স্বামীর সংসার ছেড়ে চাঁদপুর গ্রামের আ. খালেকের ছেলে সাইদুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তারা অবৈধ সম্পর্কে জাড়ান। এ জন্য ফুলতুলি সাইদুর রহমানকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তবে সে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে সাইদুুরের বাড়িতে অবস্থান নেন ফুলতুলি। এমন খবর পেয়ে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী।
ফুলতলির মা বলেন, ‘সাইদুর আমার মেয়ের সোনার সংসার নষ্ট করে দিলো। তার এক বছরের একটি বাঁচ্চা রয়েছে। সকলে বুঝিয়েও তাকে ফেরৎ আনতে পারলাম না।’ স্থানীয় অনেকেই নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, সাইদুর চুলের ব্যবসা করেন। তিনি এলাকার মেয়েদের উত্ত্যাক্ত করে বেড়াতেন। তিনি একটি সুন্দর সংসার নষ্ট করে দিলো। তার শাস্তি হওয়া দরকার।এ বিষয়ে জানতে সাইদুুরের বাড়ি গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি আগে থেকে টের পেয়ে তিনি সটকে পড়েন। সাইদুরের বাবা বলেন, ‘কী করব, ছেলে-মেয়ে দুজন দুজনকে ভালোবাসে। ইদ্দত পালন শেষে তিন মাস পর তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।’ তবে স্থানীয়রা জানান, তারা আজ বিয়ে করে সাইদুর যেখানে চুলের ব্যবসা করে, সেখানে চলে যাবে। এ বিষয়ে জানতে ফুলতলির স্বামীর পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।