ঢাকা ০৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মানিকগঞ্জে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা, ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানকে ক্রেস প্রদান সাতক্ষীরায় শহীদ আসিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত করে শিবির উঁকি দিচ্ছে ধানের শীষ স্বপ্ন দেখছেন হরিপুরের আমন চাষীরা মানিকগঞ্জে অবৈধ দোকানে দখলদারিত্ব: জনদুর্ভোগ চরমে

স্ট্রোক থেকে মুক্তি মিলবে যে ইঞ্জেকশনে

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃতৌহিদুর রহমান,ক্রাইম রিপোর্টার,যশোর।

স্ট্রোক থেকে মুক্তির যাদুকরী ইঞ্জেকশন এল্টিপ্লেস। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভিমত, অসুস্থ হওয়ার সাড়ে ৪ ঘন্টার মধ্যে ইঞ্জেকশনটি দেয়া হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন রোগীরা। সূত্র : এখন টিভি।

ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে দেখা হয় চিকিৎসাধীন পরিতোষ দাসের সঙ্গে। জানালেন, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সিকিউরিটির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগে রাতের বেলা হঠাৎ করেই বমি হয়। দুর্বল হয়ে অবশ হতে থাকে শরীরে বাম হাত-পা। মুখ বেঁকে যায়। জড়িয়ে আসে কথা।’

থাকে। মনে করুন, একজন রোগীর স্ট্রোক হয়েছে এখন। হসপিটালে যেতে দেরি করছি ৩/৪ ঘন্টা। তাহলে এই সময়ের মধ্যে কত সংখ্যক নিউরন ড্যামেজ হচ্ছে- ধারণা করুন। আমরা আসলে এইগুলো দেখিনা। তাই বুঝেও আসেনা। আজকে আমাদের সামনে যদি কোন অ্যাক্সিডেন্ট হয়, একজন মানুষের স্কিন থেকে ব্লিডিং হতে থাকে। আপনি/আমি কিন্তু ওইটাকে বন্ধ করার জন্য অস্থির হয়ে পড়বো। টেনশন একটাই- যেমনেই হোক রক্ত পড়া বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরও জানান, অথচ দেখুন, স্ট্রোকের ফলে আমার/আপনার এত বড় ক্ষতি হচ্ছে। প্রতি মিনিটে ২০ লাখ নিউরন ড্যামেজ হচ্ছে। অথচ আমরা নির্বিকার। কবিরাজী চিকিৎসা নিচ্ছি। কিংবা বাসায় বসে আছি। প্রপার টাইমে, প্রপার কাজটা যদি করতে না পারি- তাহলে তো রোগীটা আমার পারমানেন্ট বিকলাঙ্গ হবে। অথবা আমরা বাঁচাতেই পারবো না।

স্ট্রোকের রোগীদের যথাসময়ের মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছাতে সড়কে বিশেষ লেন চালুর পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, এ ধরনের রোগীদেরকে যদি আমরা সঠিক সময়ে হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে কিন্তু অনেকের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হবো। যে সুযোগটা ঢাকা শহরে নাই। অথচ, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আলাদা রুট আছে। এটা আমাদের দেশেও হওয়া দরকার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারিভাবে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কোন কোন সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেয়া হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের এই ইঞ্জেকশন। যা অসহায় রোগীরা পেয়ে থাকেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। রোগীদের বাঁচাতে সারাদেশের সব বড় হাসপাতালে ইঞ্জেকশনটি সহজলভ্য করার জোরালো আহ্বান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

স্ট্রোক থেকে মুক্তি মিলবে যে ইঞ্জেকশনে

আপডেট সময় : ০৪:১৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

মোঃতৌহিদুর রহমান,ক্রাইম রিপোর্টার,যশোর।

স্ট্রোক থেকে মুক্তির যাদুকরী ইঞ্জেকশন এল্টিপ্লেস। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভিমত, অসুস্থ হওয়ার সাড়ে ৪ ঘন্টার মধ্যে ইঞ্জেকশনটি দেয়া হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন রোগীরা। সূত্র : এখন টিভি।

ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে দেখা হয় চিকিৎসাধীন পরিতোষ দাসের সঙ্গে। জানালেন, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সিকিউরিটির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগে রাতের বেলা হঠাৎ করেই বমি হয়। দুর্বল হয়ে অবশ হতে থাকে শরীরে বাম হাত-পা। মুখ বেঁকে যায়। জড়িয়ে আসে কথা।’

থাকে। মনে করুন, একজন রোগীর স্ট্রোক হয়েছে এখন। হসপিটালে যেতে দেরি করছি ৩/৪ ঘন্টা। তাহলে এই সময়ের মধ্যে কত সংখ্যক নিউরন ড্যামেজ হচ্ছে- ধারণা করুন। আমরা আসলে এইগুলো দেখিনা। তাই বুঝেও আসেনা। আজকে আমাদের সামনে যদি কোন অ্যাক্সিডেন্ট হয়, একজন মানুষের স্কিন থেকে ব্লিডিং হতে থাকে। আপনি/আমি কিন্তু ওইটাকে বন্ধ করার জন্য অস্থির হয়ে পড়বো। টেনশন একটাই- যেমনেই হোক রক্ত পড়া বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরও জানান, অথচ দেখুন, স্ট্রোকের ফলে আমার/আপনার এত বড় ক্ষতি হচ্ছে। প্রতি মিনিটে ২০ লাখ নিউরন ড্যামেজ হচ্ছে। অথচ আমরা নির্বিকার। কবিরাজী চিকিৎসা নিচ্ছি। কিংবা বাসায় বসে আছি। প্রপার টাইমে, প্রপার কাজটা যদি করতে না পারি- তাহলে তো রোগীটা আমার পারমানেন্ট বিকলাঙ্গ হবে। অথবা আমরা বাঁচাতেই পারবো না।

স্ট্রোকের রোগীদের যথাসময়ের মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছাতে সড়কে বিশেষ লেন চালুর পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, এ ধরনের রোগীদেরকে যদি আমরা সঠিক সময়ে হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে কিন্তু অনেকের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হবো। যে সুযোগটা ঢাকা শহরে নাই। অথচ, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আলাদা রুট আছে। এটা আমাদের দেশেও হওয়া দরকার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারিভাবে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কোন কোন সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেয়া হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের এই ইঞ্জেকশন। যা অসহায় রোগীরা পেয়ে থাকেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। রোগীদের বাঁচাতে সারাদেশের সব বড় হাসপাতালে ইঞ্জেকশনটি সহজলভ্য করার জোরালো আহ্বান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।