ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগৈলঝাড়ায় দূর্গাপূজা মন্ডপে আনসার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে কেন, প্রশ্ন অ্যাটর্নি জেনারেলের জামালপুরে নূর ডায়াগনস্টিক সেন্টার ক্লিনিকের ১৬ তম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে পল্লী চিকিৎসকদের নিয়ে ডক্টরস ডে ও ফ্রি মেডিকেল অনুষ্ঠিত একজন ৬০ বছরের বৃদ্ধ মহিলার করুন আর্তনাদ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ রাস্তার পাশে মরা গাছ ও পায়তালের ঝুঁকিতে আতংকিত হরিপুর বাসী বরিশালে বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন আনসার ভিডিপির রেঞ্জ কমান্ডার জলবদ্ধতায় নাকাল কালীগঞ্জ উপজেলা সদরবাসী মনিরামপুরের বিভিন্ন পূজা মন্দিরে শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ করলেন বিএনপি নেতা মুতাছিম বিল্লাহ হবিগঞ্জে ৭৫ শিক্ষার্থীকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণে বরণ!তিন মাসের কোর্স শেষে ঘরে বসেই আয়ের সুযোগ

যে কারণে গভীর রাতেও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে মানুষ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ উদ্দিন

শান্তি নেই কোথাও। ঘরে-বাইরে সমান অবস্থা। তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। এমনিতে রাজধানী ঢাকায় কোটির বেশি মানুষের বসবাস। কোথায় স্বস্তি নেই। শুধু মানুষ আর মানুষ। নেই তেমন বৃক্ষরাজি। খোলা জায়গা কিংবা জলাশয় নেই ঢাকায়। মানুষ যে কোথায় বসে একটু আরাম করবে সেই জায়গাটুকুও নেই। দখল ও কর্মজঙ্গে সব শেষ। তাই এই গরমে ঘরে স্বস্তি না পেয়ে মনুষ রাস্তায় রাস্তায় বসে থাকে গভীর রাতেও।মশা আর প্রচণ্ড গরমে রাতে ঘুমাতে পারছে না রাজধানীবাসী। গরম থেকে রেহাই পেতে নিচ্ছেন বিভিন্ন পন্থার আশ্রয়। তাতেও কাজ হচ্ছে না বললেই চলে। গরম থেকে একটু প্রশান্তি পেতে মাঝরাতেও নগরীর বিভিন্ন সড়কের পাশে কিংবা মোড়ের চায়ের দোকানগুলোতে সময় কাটাচ্ছেন মানুষ। দেখা মেলে রেললাইনের ওপর শত মত মানুষের। বিশেষ করেন মহাখালী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায়।রাজধানীর এমন গরম নিয়ে কথা বলেন সাংবাদিক মামুন খান। পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন রামপুরায়। জানান, প্রচণ্ড এই গরমে তার পুরো পরিবারই ভোগান্তিতে পড়েছে। রাতে গরমের কারণে ঘুমাতে পারি না। প্রচুর গরম। রাত তিনটা-চারটা পর্যন্ত জেগে থাকতে হচ্ছে। রাতে গামছা ভিজিয়ে শরীর মুছে গরম নিবারণের চেষ্টা করেন তিনি। তবে সেই প্রশান্তিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না বলে জানান তিনি।যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা শাহানা বেগম জানান, গরমে বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাত জেগে বাচ্চাদেরকে পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। এছাড়া, মাঝে মাঝে হাতমুখে পানি দিয়ে স্বস্তি নেয়ার চেষ্টা করেন তারা।
তীব্র এই গরমে পুরো রাজধানীবাসীই যেন এমন বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। অস্বাভাবিক গরমে কেউই নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারছেন না। মানুষের যখন গভীর নিদ্রায় থাকার কথা তখনও অনেকে ঘরের বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। তীব্র গরম যেন ঘরছাড়া করেছে তাদের। মধ্যরাতেও চায়ের দোকানে চোখে পড়ছে মানুষের জটলা।রাজধানীর মিরপুরের এক বাসিন্দা নোমান আলী বলেন, বাসায় থাকা যায় না। ফ্যানের বাতাসও গরম হয়ে যায়। সেজন্য একটু ঠান্ডা বাতাসের জন্য মাঝরাতে বাইরে বসে আছি। এমন অনেকেই রাতে রাস্তার ধারে কিংবা মোড়ে মোড়ে সময় কাটাচ্ছে।দিনমুজুর জামাল বলেন, রাতে খাওয়ার পর শুয়েছিলাম। মনে হলো- গরমে শরীর সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই আবার বাইরে চলে এসেছি। ঘরের ফ্যানের বাতাসের চেয়ে বাইরে গরম কম বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

যে কারণে গভীর রাতেও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে মানুষ

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ উদ্দিন

শান্তি নেই কোথাও। ঘরে-বাইরে সমান অবস্থা। তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। এমনিতে রাজধানী ঢাকায় কোটির বেশি মানুষের বসবাস। কোথায় স্বস্তি নেই। শুধু মানুষ আর মানুষ। নেই তেমন বৃক্ষরাজি। খোলা জায়গা কিংবা জলাশয় নেই ঢাকায়। মানুষ যে কোথায় বসে একটু আরাম করবে সেই জায়গাটুকুও নেই। দখল ও কর্মজঙ্গে সব শেষ। তাই এই গরমে ঘরে স্বস্তি না পেয়ে মনুষ রাস্তায় রাস্তায় বসে থাকে গভীর রাতেও।মশা আর প্রচণ্ড গরমে রাতে ঘুমাতে পারছে না রাজধানীবাসী। গরম থেকে রেহাই পেতে নিচ্ছেন বিভিন্ন পন্থার আশ্রয়। তাতেও কাজ হচ্ছে না বললেই চলে। গরম থেকে একটু প্রশান্তি পেতে মাঝরাতেও নগরীর বিভিন্ন সড়কের পাশে কিংবা মোড়ের চায়ের দোকানগুলোতে সময় কাটাচ্ছেন মানুষ। দেখা মেলে রেললাইনের ওপর শত মত মানুষের। বিশেষ করেন মহাখালী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায়।রাজধানীর এমন গরম নিয়ে কথা বলেন সাংবাদিক মামুন খান। পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন রামপুরায়। জানান, প্রচণ্ড এই গরমে তার পুরো পরিবারই ভোগান্তিতে পড়েছে। রাতে গরমের কারণে ঘুমাতে পারি না। প্রচুর গরম। রাত তিনটা-চারটা পর্যন্ত জেগে থাকতে হচ্ছে। রাতে গামছা ভিজিয়ে শরীর মুছে গরম নিবারণের চেষ্টা করেন তিনি। তবে সেই প্রশান্তিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না বলে জানান তিনি।যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা শাহানা বেগম জানান, গরমে বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাত জেগে বাচ্চাদেরকে পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। এছাড়া, মাঝে মাঝে হাতমুখে পানি দিয়ে স্বস্তি নেয়ার চেষ্টা করেন তারা।
তীব্র এই গরমে পুরো রাজধানীবাসীই যেন এমন বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। অস্বাভাবিক গরমে কেউই নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারছেন না। মানুষের যখন গভীর নিদ্রায় থাকার কথা তখনও অনেকে ঘরের বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। তীব্র গরম যেন ঘরছাড়া করেছে তাদের। মধ্যরাতেও চায়ের দোকানে চোখে পড়ছে মানুষের জটলা।রাজধানীর মিরপুরের এক বাসিন্দা নোমান আলী বলেন, বাসায় থাকা যায় না। ফ্যানের বাতাসও গরম হয়ে যায়। সেজন্য একটু ঠান্ডা বাতাসের জন্য মাঝরাতে বাইরে বসে আছি। এমন অনেকেই রাতে রাস্তার ধারে কিংবা মোড়ে মোড়ে সময় কাটাচ্ছে।দিনমুজুর জামাল বলেন, রাতে খাওয়ার পর শুয়েছিলাম। মনে হলো- গরমে শরীর সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই আবার বাইরে চলে এসেছি। ঘরের ফ্যানের বাতাসের চেয়ে বাইরে গরম কম বলেও জানান তিনি।