নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ উদ্দিন
শান্তি নেই কোথাও। ঘরে-বাইরে সমান অবস্থা। তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। এমনিতে রাজধানী ঢাকায় কোটির বেশি মানুষের বসবাস। কোথায় স্বস্তি নেই। শুধু মানুষ আর মানুষ। নেই তেমন বৃক্ষরাজি। খোলা জায়গা কিংবা জলাশয় নেই ঢাকায়। মানুষ যে কোথায় বসে একটু আরাম করবে সেই জায়গাটুকুও নেই। দখল ও কর্মজঙ্গে সব শেষ। তাই এই গরমে ঘরে স্বস্তি না পেয়ে মনুষ রাস্তায় রাস্তায় বসে থাকে গভীর রাতেও।মশা আর প্রচণ্ড গরমে রাতে ঘুমাতে পারছে না রাজধানীবাসী। গরম থেকে রেহাই পেতে নিচ্ছেন বিভিন্ন পন্থার আশ্রয়। তাতেও কাজ হচ্ছে না বললেই চলে। গরম থেকে একটু প্রশান্তি পেতে মাঝরাতেও নগরীর বিভিন্ন সড়কের পাশে কিংবা মোড়ের চায়ের দোকানগুলোতে সময় কাটাচ্ছেন মানুষ। দেখা মেলে রেললাইনের ওপর শত মত মানুষের। বিশেষ করেন মহাখালী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায়।রাজধানীর এমন গরম নিয়ে কথা বলেন সাংবাদিক মামুন খান। পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন রামপুরায়। জানান, প্রচণ্ড এই গরমে তার পুরো পরিবারই ভোগান্তিতে পড়েছে। রাতে গরমের কারণে ঘুমাতে পারি না। প্রচুর গরম। রাত তিনটা-চারটা পর্যন্ত জেগে থাকতে হচ্ছে। রাতে গামছা ভিজিয়ে শরীর মুছে গরম নিবারণের চেষ্টা করেন তিনি। তবে সেই প্রশান্তিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না বলে জানান তিনি।যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা শাহানা বেগম জানান, গরমে বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাত জেগে বাচ্চাদেরকে পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। এছাড়া, মাঝে মাঝে হাতমুখে পানি দিয়ে স্বস্তি নেয়ার চেষ্টা করেন তারা।
তীব্র এই গরমে পুরো রাজধানীবাসীই যেন এমন বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। অস্বাভাবিক গরমে কেউই নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারছেন না। মানুষের যখন গভীর নিদ্রায় থাকার কথা তখনও অনেকে ঘরের বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। তীব্র গরম যেন ঘরছাড়া করেছে তাদের। মধ্যরাতেও চায়ের দোকানে চোখে পড়ছে মানুষের জটলা।রাজধানীর মিরপুরের এক বাসিন্দা নোমান আলী বলেন, বাসায় থাকা যায় না। ফ্যানের বাতাসও গরম হয়ে যায়। সেজন্য একটু ঠান্ডা বাতাসের জন্য মাঝরাতে বাইরে বসে আছি। এমন অনেকেই রাতে রাস্তার ধারে কিংবা মোড়ে মোড়ে সময় কাটাচ্ছে।দিনমুজুর জামাল বলেন, রাতে খাওয়ার পর শুয়েছিলাম। মনে হলো- গরমে শরীর সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই আবার বাইরে চলে এসেছি। ঘরের ফ্যানের বাতাসের চেয়ে বাইরে গরম কম বলেও জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.