
সেলিম চৌধুরী, জেলা প্রতিনিধি রংপুর:
রংপুর জেলার গংগাচড়া মডেল থানার ছোটরূপাই, আলেমার বাজার গ্রামের মোঃ লিমন মিয়ার স্ত্রী মোছাম্মদ শিখা বেগম (৪০) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৪-১১-২৫ ইং তার বসতবাড়ির উপরের সামান্য সুপারি গাছ কাটা কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন শিখা বেগম ও তার ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল আলিফ (১৭)।
ঘটনাস্থলে শিখা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় যে বিবাদী (১) মোছাম্মদ সোহাগী বেগম (৩৫), স্বামী মোঃ আতিয়ার রহমান, (২) মোঃ আতিয়ার রহমান (৪২),(৩) মোঃ কামরুজ্জামান (৪৩) উভয়ের পিতা মোঃ আজিজার রহমান (৪) মোছাম্মৎ কাজুলি বেগম (৬০), স্বামী মোঃ আজিজার রহমান(৫) মোঃ আজিজার রহমান (৬৫), পিতা মৃত মোহাম্মদ আলী (৬) মোছাম্মদ রঞ্জিনা বেগম (৩৬) স্বামী মোঃ কামরুজ্জামান (৭) মোঃ মোরশেদ আলম (৫৭),(৮) মোছাম্মদ দুলালী বেগম (৫০) স্বামী মোঃ মোরশেদ আলম। সর্ব শাং ছোটরুপাই, আলেমার বাজার, গঙ্গাচড়া রংপুর।
সরেজমিনে গেলে শিখা বেগম সাংবাদিকদের বলেন বিবাদী গন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের মারধরসহ সাংসারিক নানাবিধ ক্ষতিসাধনের জন্য সুযোগ খুঁজিয়া আসিতেছিল।
ঘটনার দিন ১৪-১১-২৫ ইং তারিখ আনুমানিক সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় আমার স্বামীর নিজস্ব বসতভিটায় থাকা একটি মরা সুপারির গাছ ও একটি বাস কাটিলে বিবাদীগণ উহাতে ক্ষিপ্ত হইয়া আমার সহিত তর্ক বিতর্কে জরায় এবং ১ নং আসামি আমার ছেলের গলায় ধান কাটা কাচি লাগিয়ে গলা ফেলাইয়া দেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আবার ঐদিনেই বিকেল আনুমানিক ৪ ঘটিকায় বিবাদীগণ পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠি সোটা লোহার রড ইত্যাদি, দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার বাড়ির উঠানে আসিয়া আমার ও আমার পরিবারের লোকজনদের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া বাড়ির বাহির হওয়ার জন্য শাসাইতে থাকে। আমি বাড়ি থেকে বাহির হইয়া কারণ জিজ্ঞাসা করিলে বিবাদীগণ আমাকে ও আমার ছেলেকে এলো পাথারি ভাবে কিল ঘুসি মারডাং করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফোলা জখম করে। এবং আমার তলপেটে লাথি ও ঘুসি মারে আমি সিজার হওয়া ও ক্যান্সার অপারেশনের রোগী।
১,৪ ও ৬ নং বিবাদী আমার চুলের মুঠি ধরিয়া টানা হেচড়া করে এবং ২ নং বিবাদী আমার পরনের কাপড়-চোপড় টানা হেচড়া কোরিয়া ছিন্নভিন্ন করে। সেই সুযোগে ১ ও ২ নং বিবাদী আমার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন টান দিয়ে খুলিয়ে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য ৪,০০,০০০/চার লক্ষ টাকা। এবং আমার ছেলের হাতে থাকা একটি স্মার্টফোন যাহার কভারের ভিতর আমার ছেলের কলেজের মাসের বেতন ও কলেজ ড্রেস বানানোর জন্য ৭১০০/টাকা সহ মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়।
আমাদের অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয় সাক্ষী গন (১) মোঃ বাবুল মিয়া (২) রাফান মিয়া (৩) আবুজার রহমান, সর্ব শাং ছোটরূপাই, আলেমার বাজার, গংগাচড়া রংপুর।
উপস্থিত সাক্ষী গনের সহায়তায় আমার স্বামী বিবাদীগণের কবল হইতে আমাদের রক্ষা করিয়া গংগাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এদিকে বিবাদীগণ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি ও ভয় ভীতি দেখাইয়া ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন।
আমি আমার ও আমার পরিবারের কথা চিন্তা করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের শহীত আলোচনা করে ১৪-১১-২৫ ইং তারিখে গংগাচড়া মডেল থানায় আসিয়া একটি অভিযোগ দায়ের করি।
সর্বশেষে আমি সাংবাদিক ভাইদের কলমের লিখন এর মাধ্যমে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.