ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনমত গড়ে তুলুন:আজমল চৌধুরী জাবেদ সোনাগাজীতে ডা. ফখরুদ্দিন মানিকের পক্ষ থেকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প রাজাপুরে মোবাইল ফোনে কথা বলায় মাদ্রাসা ছাত্র রক্তাক্ত ঝিনাইদহে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দৈনিক কালবেলা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত সাতক্ষীরার লাবসায় মা কোচিং সেন্টারের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর উপর হামলা চুয়াডাঙ্গা দুর্ঘটনায় মৃত্যু শয্যায় রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড চুয়াডাঙ্গায় একতা মুরগি ফার্মে শিয়ালের তাণ্ডব মারা গেল ৫৫০ মুরগি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাকৃবি ছাত্রদলের সুপেয় পানির ফিল্টার স্থাপনের দাবি

রাজাপুরে মোবাইল ফোনে কথা বলায় মাদ্রাসা ছাত্র রক্তাক্ত

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:১৯:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃঝালকাঠির রাজাপুরে মাদ্রাসা থেকে বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নিজ গালুয়া এলাকার দারুল কোরআন নুরানী হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে শিশুটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

আহত শিক্ষার্থী মো. আবুবকর বেপারী (১৩) উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার মো. মহসিন বেপরীর ছেলে ও দারুল কোরআন নুরানী হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার হেফজ শাখার ছাত্র। বর্তমানে সে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শিশু শিক্ষার্থী মো. আবুবকর জানায়, মাদ্রাসার শিক্ষক আবুবকরওে বাড়িতে কথা বলতে দিতনা। হুজুরে বলতো বাড়িতে কথা বললে মায়া বাড়বে। এ কারণে আবুবকরের ফোনে কথা বলা নিষেধ ছিল। বৃহস্পতিবার মন খারাপ হলে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মীর তানবীরের মোবাইল থেকে বাড়িতে বাবাকে ফোন দেয় আবুবকর। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষক জুনায়েত হুজুর ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় শিক্ষক শিশুটিকে শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে পিছনের দিকেও আঘাত করেন। এতে তার সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে পরিবার শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মীর মো. তানবীর বলেন, “ছেলেটাকে জুনায়েত হুজুরের হাতে দিয়ে বলেছিলাম যেন না মারে। তার পরেও এরকম মারা ঠিক হয়নি।”

অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মো. জুনায়েত বলেন, “ছেলেটাকে ভালোভাবে শাসন করার জন্যই মেরেছি।”

মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. মজিবুর রহমান বলেন, “জুনায়েত শাসন করতে গিয়ে একটু বেশি কওে ফেলেছে।”

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

রাজাপুরে মোবাইল ফোনে কথা বলায় মাদ্রাসা ছাত্র রক্তাক্ত

আপডেট সময় : ০৬:১৯:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃঝালকাঠির রাজাপুরে মাদ্রাসা থেকে বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নিজ গালুয়া এলাকার দারুল কোরআন নুরানী হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে শিশুটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

আহত শিক্ষার্থী মো. আবুবকর বেপারী (১৩) উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার মো. মহসিন বেপরীর ছেলে ও দারুল কোরআন নুরানী হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার হেফজ শাখার ছাত্র। বর্তমানে সে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শিশু শিক্ষার্থী মো. আবুবকর জানায়, মাদ্রাসার শিক্ষক আবুবকরওে বাড়িতে কথা বলতে দিতনা। হুজুরে বলতো বাড়িতে কথা বললে মায়া বাড়বে। এ কারণে আবুবকরের ফোনে কথা বলা নিষেধ ছিল। বৃহস্পতিবার মন খারাপ হলে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মীর তানবীরের মোবাইল থেকে বাড়িতে বাবাকে ফোন দেয় আবুবকর। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষক জুনায়েত হুজুর ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় শিক্ষক শিশুটিকে শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে পিছনের দিকেও আঘাত করেন। এতে তার সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে পরিবার শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মীর মো. তানবীর বলেন, “ছেলেটাকে জুনায়েত হুজুরের হাতে দিয়ে বলেছিলাম যেন না মারে। তার পরেও এরকম মারা ঠিক হয়নি।”

অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মো. জুনায়েত বলেন, “ছেলেটাকে ভালোভাবে শাসন করার জন্যই মেরেছি।”

মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. মজিবুর রহমান বলেন, “জুনায়েত শাসন করতে গিয়ে একটু বেশি কওে ফেলেছে।”

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।