ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃঝালকাঠির রাজাপুরে মাদ্রাসা থেকে বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নিজ গালুয়া এলাকার দারুল কোরআন নুরানী হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে শিশুটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
আহত শিক্ষার্থী মো. আবুবকর বেপারী (১৩) উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার মো. মহসিন বেপরীর ছেলে ও দারুল কোরআন নুরানী হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার হেফজ শাখার ছাত্র। বর্তমানে সে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিশু শিক্ষার্থী মো. আবুবকর জানায়, মাদ্রাসার শিক্ষক আবুবকরওে বাড়িতে কথা বলতে দিতনা। হুজুরে বলতো বাড়িতে কথা বললে মায়া বাড়বে। এ কারণে আবুবকরের ফোনে কথা বলা নিষেধ ছিল। বৃহস্পতিবার মন খারাপ হলে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মীর তানবীরের মোবাইল থেকে বাড়িতে বাবাকে ফোন দেয় আবুবকর। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষক জুনায়েত হুজুর ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় শিক্ষক শিশুটিকে শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে পিছনের দিকেও আঘাত করেন। এতে তার সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে পরিবার শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মীর মো. তানবীর বলেন, “ছেলেটাকে জুনায়েত হুজুরের হাতে দিয়ে বলেছিলাম যেন না মারে। তার পরেও এরকম মারা ঠিক হয়নি।”
অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মো. জুনায়েত বলেন, “ছেলেটাকে ভালোভাবে শাসন করার জন্যই মেরেছি।”
মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. মজিবুর রহমান বলেন, “জুনায়েত শাসন করতে গিয়ে একটু বেশি কওে ফেলেছে।”
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.