ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাউজানে সনাতনী সমাজে আলোচিত ব্যক্তিত্ব – সুমন দাশ গুপ্ত গাজীপুর জেলা জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া বিএনপির সমাবেশ সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে এলাকায় অবৈধভাবে মাছ শিকারকালে আটক ৮ রাণীশংকৈলে কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে নদী ভাঙন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বস্তা ডাম্পিং কাজ শুরু শ্যামনগর উপজেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ সভা মায়ের অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়া দুই ভাইবোনের সংগ্রামের গল্প বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরে ড্যাবের বর্ণাঢ্য র‍্যালী নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে আজিজ আহম্মেদ কলেজে ছাত্রদলের মানববন্ধন ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে সোনাগাজীতে রাজনৈতিক ও সাংবাদিক মহলের প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া

রাজগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা: নির্যাতনের অভিযোগ পরিবার ও স্থানীয়দের

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক, নিজেস্ব প্রতিনিধিঃযশোরের মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামে প্রবাসী স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে খাদিজা খাতুন (৩০) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৯ এপ্রিল সকালে নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র ও নিহতের পরিবারের বরাতে জানা গেছে, দশ বছর আগে গালদা গ্রামের আব্দুল মুমিনের মেয়ে খাদিজা খাতুনের সঙ্গে চালুয়াহাটি গ্রামের সিঙ্গাপুরপ্রবাসী আরিফ হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের ছয় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

বিয়ের পর প্রথমদিকে সংসার ভালো চললেও আরিফ প্রবাসে যাওয়ার পর থেকেই স্ত্রী খাদিজার উপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। শুধু স্বামী নয়, শ্বশুর মশিউর রহমানও একইভাবে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। কয়েকবার বিষয়টি নিয়ে সালিশ হলেও সমস্যা মেটেনি।

গত বছর প্রবাসে থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেন আরিফ। তবে দেশে ফিরে আবারো তাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং কিছুদিন পর পুনরায় বিদেশে চলে যান। প্রবাসে থেকেও স্ত্রীর উপর মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন আরিফ।

পরিবারের দাবি, নির্যাতনের ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন খাদিজা। ২৯ এপ্রিল সকাল ৯টায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তিনি আত্মহত্যা করেন।

আরিফের বাবা মশিউর রহমান বলেন, “আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। সেই সুযোগে সে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর বেশি কিছু জানি না।”

তবে নিহতের মামাতো ভাই শামীম বলেন, “খাদিজা নিজে আত্মহত্যা করতে পারে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে এতটাই নির্যাতিত হয়েছে যে বাধ্য হয়ে এমন পথ বেছে নিতে হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।”

তিনি আরও জানান, উভয় পরিবারে পূর্বে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল এবং তারা মামাতো-ফুফাতো ভাইবোন। এই আত্মীয়তার কারণে অনেক বিষয় গোপন রাখা হয়েছিল।

চালুয়াহাটি তদন্ত কেন্দ্রের এসআই হেলাল উদ্দিন জানান, “লাশের গলায় ফাঁসের চিহ্ন এবং পিঠে জমাট রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। আমরা প্রাথমিক তদন্ত করেছি এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

রাজগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা: নির্যাতনের অভিযোগ পরিবার ও স্থানীয়দের

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

এমদাদুল হক, নিজেস্ব প্রতিনিধিঃযশোরের মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামে প্রবাসী স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে খাদিজা খাতুন (৩০) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৯ এপ্রিল সকালে নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র ও নিহতের পরিবারের বরাতে জানা গেছে, দশ বছর আগে গালদা গ্রামের আব্দুল মুমিনের মেয়ে খাদিজা খাতুনের সঙ্গে চালুয়াহাটি গ্রামের সিঙ্গাপুরপ্রবাসী আরিফ হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের ছয় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

বিয়ের পর প্রথমদিকে সংসার ভালো চললেও আরিফ প্রবাসে যাওয়ার পর থেকেই স্ত্রী খাদিজার উপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। শুধু স্বামী নয়, শ্বশুর মশিউর রহমানও একইভাবে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। কয়েকবার বিষয়টি নিয়ে সালিশ হলেও সমস্যা মেটেনি।

গত বছর প্রবাসে থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেন আরিফ। তবে দেশে ফিরে আবারো তাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং কিছুদিন পর পুনরায় বিদেশে চলে যান। প্রবাসে থেকেও স্ত্রীর উপর মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন আরিফ।

পরিবারের দাবি, নির্যাতনের ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন খাদিজা। ২৯ এপ্রিল সকাল ৯টায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তিনি আত্মহত্যা করেন।

আরিফের বাবা মশিউর রহমান বলেন, “আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। সেই সুযোগে সে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর বেশি কিছু জানি না।”

তবে নিহতের মামাতো ভাই শামীম বলেন, “খাদিজা নিজে আত্মহত্যা করতে পারে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে এতটাই নির্যাতিত হয়েছে যে বাধ্য হয়ে এমন পথ বেছে নিতে হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।”

তিনি আরও জানান, উভয় পরিবারে পূর্বে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল এবং তারা মামাতো-ফুফাতো ভাইবোন। এই আত্মীয়তার কারণে অনেক বিষয় গোপন রাখা হয়েছিল।

চালুয়াহাটি তদন্ত কেন্দ্রের এসআই হেলাল উদ্দিন জানান, “লাশের গলায় ফাঁসের চিহ্ন এবং পিঠে জমাট রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। আমরা প্রাথমিক তদন্ত করেছি এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।”