ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মিলারদের কারসাজিতে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ তৌহিদ ইসলাম বাপ্পি

খুলনা দৌলতপুর ক্রাইম রিপোর্টার

মিলার ও রিফাইনারি কোম্পানিগুলোর কারসাজিতে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ক্যাব সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন সময় সংবাদকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, বাজারে মিলার ও রিফাইনারি কোম্পানিগুলোর একটি চক্র সয়াবিন তেলের সংকট সৃষ্টিতে পাঁয়তারা করছে। বিশেষ করে ১ লিটার ও ২ লিটারের বোতলজাত তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে এ সংকট সৃষ্টি করতে চাইছেন তারা।

কী কারণে মিলাররা এ ধরনের কারসাজি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নাজের বলেন, ঈদের আগেই মিলাররা চেয়েছিলেন লিটার প্রতি সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়াতে। তাদের কথা না শুনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়ানোয় স্বার্থে আঘাত লেগেছে এসব প্রতিষ্ঠানের। সরকারকে চাপ দিতে এবার বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে চাইছেন তারা।

নিজেদের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে ক্যাব জানায়, ট্যারিফ কমিশনকে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েই মিলাররা বাড়তি দামে বোতলজাত সয়াবিন তেলে ট্যাগ লাগানো শুরু করে। পরে নিজেদের দাবি অনুযায়ী দাম না বাড়ায়, নাখোশ হয়ে এখন অন্য পথ ধরেছেন তারা। যখনই দাম বাড়ানোর প্রশ্ন ওঠে, তখনই মিলাররা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দেয়। এবারও সরবরাহ কমিয়ে আরেক দফা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা।

সরবরাহ কমায় বাজারে কতখানি সংকট সৃষ্টি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ক্যাব সহ-সভাপতি বলেন, এখনও বাজারে সংকট এতটা তীব্র হয়ে ওঠেনি। তবে যে ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা আগাচ্ছেন, তাতে করে যে কোনো সময়ে সংকট প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে শঙ্কা করা যাচ্ছে।

১৮ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজারে সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। বেঁধে দেয়া নতুন দাম অনুযায়ী, বর্তমানে বাজারে লিটার প্রতি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৯ টাকায় এবং বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭ টাকায়।

সরকার দাম বেঁধে দেয়ার ২ দিন আগে থেকেই তেলের দাম নিয়ে বাজারে ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৭৩ টাকায়। এছাড়া বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ৮৪৫ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২ টাকা।

সেদিন এ ব্যাপারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত কিছু জানে না। এর দুইদিন পর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয় করে লিটারপ্রতি ১০ টাকার বদলে ৪ টাকা বাড়ানো হয়।

লিটারে ৬ টাকা দামের হেরফেরের জন্যই মিলার ও রিফাইনারি কোম্পানিগুলো বাজারে চাপ সৃষ্টির জন্য ছক কষছে বলে শঙ্কা করছে ক্যাব। এই কারসাজির অংশ হিসেবেই বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে ভোক্তা সংগঠনটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মিলারদের কারসাজিতে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট

আপডেট সময় : ০৮:২২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ তৌহিদ ইসলাম বাপ্পি

খুলনা দৌলতপুর ক্রাইম রিপোর্টার

মিলার ও রিফাইনারি কোম্পানিগুলোর কারসাজিতে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ক্যাব সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন সময় সংবাদকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, বাজারে মিলার ও রিফাইনারি কোম্পানিগুলোর একটি চক্র সয়াবিন তেলের সংকট সৃষ্টিতে পাঁয়তারা করছে। বিশেষ করে ১ লিটার ও ২ লিটারের বোতলজাত তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে এ সংকট সৃষ্টি করতে চাইছেন তারা।

কী কারণে মিলাররা এ ধরনের কারসাজি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নাজের বলেন, ঈদের আগেই মিলাররা চেয়েছিলেন লিটার প্রতি সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়াতে। তাদের কথা না শুনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়ানোয় স্বার্থে আঘাত লেগেছে এসব প্রতিষ্ঠানের। সরকারকে চাপ দিতে এবার বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে চাইছেন তারা।

নিজেদের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে ক্যাব জানায়, ট্যারিফ কমিশনকে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েই মিলাররা বাড়তি দামে বোতলজাত সয়াবিন তেলে ট্যাগ লাগানো শুরু করে। পরে নিজেদের দাবি অনুযায়ী দাম না বাড়ায়, নাখোশ হয়ে এখন অন্য পথ ধরেছেন তারা। যখনই দাম বাড়ানোর প্রশ্ন ওঠে, তখনই মিলাররা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দেয়। এবারও সরবরাহ কমিয়ে আরেক দফা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা।

সরবরাহ কমায় বাজারে কতখানি সংকট সৃষ্টি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ক্যাব সহ-সভাপতি বলেন, এখনও বাজারে সংকট এতটা তীব্র হয়ে ওঠেনি। তবে যে ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা আগাচ্ছেন, তাতে করে যে কোনো সময়ে সংকট প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে শঙ্কা করা যাচ্ছে।

১৮ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজারে সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। বেঁধে দেয়া নতুন দাম অনুযায়ী, বর্তমানে বাজারে লিটার প্রতি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৯ টাকায় এবং বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭ টাকায়।

সরকার দাম বেঁধে দেয়ার ২ দিন আগে থেকেই তেলের দাম নিয়ে বাজারে ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৭৩ টাকায়। এছাড়া বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ৮৪৫ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২ টাকা।

সেদিন এ ব্যাপারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত কিছু জানে না। এর দুইদিন পর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয় করে লিটারপ্রতি ১০ টাকার বদলে ৪ টাকা বাড়ানো হয়।

লিটারে ৬ টাকা দামের হেরফেরের জন্যই মিলার ও রিফাইনারি কোম্পানিগুলো বাজারে চাপ সৃষ্টির জন্য ছক কষছে বলে শঙ্কা করছে ক্যাব। এই কারসাজির অংশ হিসেবেই বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে ভোক্তা সংগঠনটি।