ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেনী প্রবাসী ফোরামের নব গঠিত কমিটির অভিষেক ও মিলন মেলা অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালালেও শয়তানি ছাড়েনি: মির্জা ফখরুল দুমকীতে অবহেলায় ধ্বংসের পথে সরকারী কমিউনিটি সেন্টার বকশীগঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পরিচিতি সভা ও মতবিনিময় করেছেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাউজানে সনাতনী সমাজে আলোচিত ব্যক্তিত্ব – সুমন দাশ গুপ্ত গাজীপুর জেলা জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া বিএনপির সমাবেশ সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে এলাকায় অবৈধভাবে মাছ শিকারকালে আটক ৮ রাণীশংকৈলে কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে নদী ভাঙন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বস্তা ডাম্পিং কাজ শুরু শ্যামনগর উপজেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ সভা

দুমকীতে অবহেলায় ধ্বংসের পথে সরকারী কমিউনিটি সেন্টার

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সজিব সরদার,স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার একটি সরকারি কমিউনিটি সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থেকে ভুতুড়ে রূপ নিয়েছে। অর্ধশতাব্দী আগে নির্মিত এ ভবনটি এখন লতাগুল্মে আচ্ছাদিত, চারপাশে জমে আছে জলাবদ্ধতা।

‎মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর পাশে মোল্লা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জরাজীর্ণ ভবনটির দেয়াল ঘেঁষে উঠেছে গাছপালা এবং চারপাশ জলাবদ্ধ হয়ে আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবনের পূর্ব ও উত্তর পাশের কিছু জমি আশপাশের বাসিন্দারা দখল করে নিয়েছেন।

‎স্থানীয় মতি মোল্লা জানান, ভবনটি প্রথমে কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে, পরে রেজিস্ট্রি অফিস এবং সর্বশেষ পশু হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ অব্যবহৃত।

‎খালেক মোল্লা বলেন, তৎকালীন কেবিনেট সচিব এম কেরামত আলীর উদ্যোগে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের জন্য জমির প্রয়োজন হয়। তখন স্থানীয় হাজী আবদুল মন্নান মোল্লা ও ইউনুস মোল্লা প্রায় ১২ শতক জমি সরকারি কাজে দলিল করে দেন।

‎জমিদাতা হাজী আবদুল মন্নান মোল্লা  বলেন, “আমরা চাই এই ভবন ও জমির সঠিক ব্যবহার হোক। উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে এখানে ফায়ার সার্ভিস অফিস স্থাপন করা যেতে পারে।”

‎শ্রীরামপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য হারুন মোল্লা বলেন, “ভবনটি অনেক দিন ধরে পরিত্যক্ত। যদি সংস্কার করে নতুন অফিস চালু করা যায়, তাহলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।”

‎শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী মৃধা জানান, “এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।”

‎উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মোঃ ইজাজুল হক বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

দুমকীতে অবহেলায় ধ্বংসের পথে সরকারী কমিউনিটি সেন্টার

আপডেট সময় : ০২:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোঃ সজিব সরদার,স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার একটি সরকারি কমিউনিটি সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থেকে ভুতুড়ে রূপ নিয়েছে। অর্ধশতাব্দী আগে নির্মিত এ ভবনটি এখন লতাগুল্মে আচ্ছাদিত, চারপাশে জমে আছে জলাবদ্ধতা।

‎মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর পাশে মোল্লা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জরাজীর্ণ ভবনটির দেয়াল ঘেঁষে উঠেছে গাছপালা এবং চারপাশ জলাবদ্ধ হয়ে আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবনের পূর্ব ও উত্তর পাশের কিছু জমি আশপাশের বাসিন্দারা দখল করে নিয়েছেন।

‎স্থানীয় মতি মোল্লা জানান, ভবনটি প্রথমে কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে, পরে রেজিস্ট্রি অফিস এবং সর্বশেষ পশু হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ অব্যবহৃত।

‎খালেক মোল্লা বলেন, তৎকালীন কেবিনেট সচিব এম কেরামত আলীর উদ্যোগে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের জন্য জমির প্রয়োজন হয়। তখন স্থানীয় হাজী আবদুল মন্নান মোল্লা ও ইউনুস মোল্লা প্রায় ১২ শতক জমি সরকারি কাজে দলিল করে দেন।

‎জমিদাতা হাজী আবদুল মন্নান মোল্লা  বলেন, “আমরা চাই এই ভবন ও জমির সঠিক ব্যবহার হোক। উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে এখানে ফায়ার সার্ভিস অফিস স্থাপন করা যেতে পারে।”

‎শ্রীরামপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য হারুন মোল্লা বলেন, “ভবনটি অনেক দিন ধরে পরিত্যক্ত। যদি সংস্কার করে নতুন অফিস চালু করা যায়, তাহলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।”

‎শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী মৃধা জানান, “এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।”

‎উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মোঃ ইজাজুল হক বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷