ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানকে ক্রেস প্রদান সাতক্ষীরায় শহীদ আসিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত করে শিবির উঁকি দিচ্ছে ধানের শীষ স্বপ্ন দেখছেন হরিপুরের আমন চাষীরা মানিকগঞ্জে অবৈধ দোকানে দখলদারিত্ব: জনদুর্ভোগ চরমে গাজীপুরে অটো গাড়ি চুরি, স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার জামালপুরে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের উপর হামলা, হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী কন্যাকে ফিরে পেলেন স্বামী দীপংকর সোনাগাজী উপজেলা পরিষদে ও ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের জামায়াতের প্রার্থীতা ঘোষণা ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার রাউজানে বাবার ২৯৫তম আর্ভির্ভাব উৎসব উপলক্ষে বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধার দুই বিদ্যালয়ে এসএসসির ফলাফলে সবাই ফেল

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৫০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫ ৮০ বার পড়া হয়েছে

শিরিন আক্তার,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:-

গাইবান্ধার এমপিওভভুক্ত দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫’র এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেনি কেউই। বিদ্যালয় দুইটির মধ্যে একটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার “বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়” এবং অপরটি সাঘাটা উপজেলার “গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়”।

এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার “বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়” এর পরীক্ষার্থী ছিল ৬ জন এবং সাঘাটার গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থী ছিল ২৪ জন।

১০ জুলাই বৃহস্পতিবার বিষয়টি মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আতাউর রহমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়টির ২৪ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ১০ জন এবং মানবিক বিভাগের ছিল ১৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের একজনও পাস করেনি। বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয় ২০০০ সালে। যেখানে বর্তমানে ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে শিক্ষকের সংখ্যা ১২ জন।

অন্যদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার “বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ৬ জন। তারা সবাই মানবিক বিভাগের। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয় ২০২২ সালে। বিদ্যালয়টির ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে শিক্ষক ১০ জন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: শাহেদা বেগম মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবারের প্রশ্ন অনেক হার্ড (কঠিন) হয়েছিল। এজন্য সবাই ফেল করেছে। সবাই একটি, দুইটি করে বিষয়ে ফেল করেছে। এখনো মার্কশিট বের করিনি, এজন্য কে কোন বিষয়ে ফেল করেছে এখনি বলতে পারছিনা’। এর পরেই ফোনটি কেটে যায়। পরে তাকে আবারো ফোন করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে “বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসাইন ফেল করা প্রশ্নে সাংবাদিকদের বলেন, এটি আমার বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন অনুমোদিত এসএসসির প্রথম ব্যাচ। আমরা ২৩ সালের নভেম্বর বোর্ডের অনুমতি পেয়েছি। তার আগে মার্চেই রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়েছে। ফলে পরীক্ষার্থী সংখ্যা এবং তাদের ফলাফলের এমন অবস্থা।

তিনি বলেন, ৬ জনের একজন গণিতে এবং বাকি ৫ জন দুই তিনটি করে বিষয়ে ফেল করেছে।

সাঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আহসান হাবীব বলেন, গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ে কেউই পাস করেনি বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।

শতভাগ ফেল প্রসঙে জানতে চেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ,কে, এম মামুনুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, “আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলি।

এসময় বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন পরীক্ষার্থীও পাস করেনি বিষয়টি আপনি জানেন কি-না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন” আমি এখনো জানিনা”।

জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আতাউর রহমান বলেন, কোনো বিদ্যালয়ই পরিক্ষার ফলাফলে শতকরা শূন্যের হারের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। গাইবান্ধার দুইটি প্রতিষ্ঠালে শতভাগ পরিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার ব্যাপারে বোর্ড থেকে নোটিশ দেওয়া হবে। আমরা প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা ফেল করা বিষয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের জবাব দিতে বলবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

গাইবান্ধার দুই বিদ্যালয়ে এসএসসির ফলাফলে সবাই ফেল

আপডেট সময় : ১০:৫০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

শিরিন আক্তার,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:-

গাইবান্ধার এমপিওভভুক্ত দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫’র এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেনি কেউই। বিদ্যালয় দুইটির মধ্যে একটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার “বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়” এবং অপরটি সাঘাটা উপজেলার “গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়”।

এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার “বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়” এর পরীক্ষার্থী ছিল ৬ জন এবং সাঘাটার গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থী ছিল ২৪ জন।

১০ জুলাই বৃহস্পতিবার বিষয়টি মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আতাউর রহমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়টির ২৪ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ১০ জন এবং মানবিক বিভাগের ছিল ১৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের একজনও পাস করেনি। বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয় ২০০০ সালে। যেখানে বর্তমানে ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে শিক্ষকের সংখ্যা ১২ জন।

অন্যদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার “বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ৬ জন। তারা সবাই মানবিক বিভাগের। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয় ২০২২ সালে। বিদ্যালয়টির ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে শিক্ষক ১০ জন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: শাহেদা বেগম মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবারের প্রশ্ন অনেক হার্ড (কঠিন) হয়েছিল। এজন্য সবাই ফেল করেছে। সবাই একটি, দুইটি করে বিষয়ে ফেল করেছে। এখনো মার্কশিট বের করিনি, এজন্য কে কোন বিষয়ে ফেল করেছে এখনি বলতে পারছিনা’। এর পরেই ফোনটি কেটে যায়। পরে তাকে আবারো ফোন করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে “বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসাইন ফেল করা প্রশ্নে সাংবাদিকদের বলেন, এটি আমার বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন অনুমোদিত এসএসসির প্রথম ব্যাচ। আমরা ২৩ সালের নভেম্বর বোর্ডের অনুমতি পেয়েছি। তার আগে মার্চেই রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়েছে। ফলে পরীক্ষার্থী সংখ্যা এবং তাদের ফলাফলের এমন অবস্থা।

তিনি বলেন, ৬ জনের একজন গণিতে এবং বাকি ৫ জন দুই তিনটি করে বিষয়ে ফেল করেছে।

সাঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আহসান হাবীব বলেন, গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ে কেউই পাস করেনি বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।

শতভাগ ফেল প্রসঙে জানতে চেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ,কে, এম মামুনুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, “আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলি।

এসময় বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন পরীক্ষার্থীও পাস করেনি বিষয়টি আপনি জানেন কি-না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন” আমি এখনো জানিনা”।

জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আতাউর রহমান বলেন, কোনো বিদ্যালয়ই পরিক্ষার ফলাফলে শতকরা শূন্যের হারের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। গাইবান্ধার দুইটি প্রতিষ্ঠালে শতভাগ পরিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার ব্যাপারে বোর্ড থেকে নোটিশ দেওয়া হবে। আমরা প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা ফেল করা বিষয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের জবাব দিতে বলবো।