শিরিন আক্তার,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:-
গাইবান্ধার এমপিওভভুক্ত দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫’র এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেনি কেউই। বিদ্যালয় দুইটির মধ্যে একটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার "বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়" এবং অপরটি সাঘাটা উপজেলার "গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়"।
এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার "বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়" এর পরীক্ষার্থী ছিল ৬ জন এবং সাঘাটার গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থী ছিল ২৪ জন।
১০ জুলাই বৃহস্পতিবার বিষয়টি মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আতাউর রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়টির ২৪ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ১০ জন এবং মানবিক বিভাগের ছিল ১৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের একজনও পাস করেনি। বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয় ২০০০ সালে। যেখানে বর্তমানে ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে শিক্ষকের সংখ্যা ১২ জন।
অন্যদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার "বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ৬ জন। তারা সবাই মানবিক বিভাগের। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয় ২০২২ সালে। বিদ্যালয়টির ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে শিক্ষক ১০ জন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: শাহেদা বেগম মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, 'এবারের প্রশ্ন অনেক হার্ড (কঠিন) হয়েছিল। এজন্য সবাই ফেল করেছে। সবাই একটি, দুইটি করে বিষয়ে ফেল করেছে। এখনো মার্কশিট বের করিনি, এজন্য কে কোন বিষয়ে ফেল করেছে এখনি বলতে পারছিনা'। এর পরেই ফোনটি কেটে যায়। পরে তাকে আবারো ফোন করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে "বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসাইন ফেল করা প্রশ্নে সাংবাদিকদের বলেন, এটি আমার বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন অনুমোদিত এসএসসির প্রথম ব্যাচ। আমরা ২৩ সালের নভেম্বর বোর্ডের অনুমতি পেয়েছি। তার আগে মার্চেই রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়েছে। ফলে পরীক্ষার্থী সংখ্যা এবং তাদের ফলাফলের এমন অবস্থা।
তিনি বলেন, ৬ জনের একজন গণিতে এবং বাকি ৫ জন দুই তিনটি করে বিষয়ে ফেল করেছে।
সাঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আহসান হাবীব বলেন, গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ে কেউই পাস করেনি বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।
শতভাগ ফেল প্রসঙে জানতে চেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ,কে, এম মামুনুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, "আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলি।
এসময় বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন পরীক্ষার্থীও পাস করেনি বিষয়টি আপনি জানেন কি-না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন" আমি এখনো জানিনা"।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আতাউর রহমান বলেন, কোনো বিদ্যালয়ই পরিক্ষার ফলাফলে শতকরা শূন্যের হারের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। গাইবান্ধার দুইটি প্রতিষ্ঠালে শতভাগ পরিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার ব্যাপারে বোর্ড থেকে নোটিশ দেওয়া হবে। আমরা প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা ফেল করা বিষয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের জবাব দিতে বলবো।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.