ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাণীশংকৈলে ৬ বছরেরও উদ্বোধন হয়নি মডেল মসজিদ মনিরামপুরে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইফতেখার সেলিম অগ্নি — জনগণের আস্থার প্রতীক তৃণমূলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ঝিনাইদহ-২ আসন শরীকদের ছেড়ে দিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বিএনপি কাঠালিয়ায় বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় গোলাম আজম সৈকত নীলফামারীর ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা রংপুরের গঙ্গাচড়ায় 18 মাস বয়সের শিশুকন্যা আনহা বলাৎকারের শিকার সোনাগাজীর মুন্সি খুরশিদ আলম বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত এনামুল হক এনাম সভাপতি ফেনীতে বিএনপি’র তিন আসনের প্রার্থী ঘোষণা আজ যশোর উন্নয়নের কারিগর তরিকুল ইসলামের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী চট্টগ্রামে বিএনপি’র ১০ প্রার্থী ঘোষণা কোন্দল শংকায় ৬টি বাকি: মহাসড়ক অবরোধ

সাতক্ষীরার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভাঙন

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

বিউটি খাতুন স্টাফ রিপোর্টার:-সাতক্ষীরা জেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে গতকাল ৩১ শে মার্চ সকাল আনু: ৮ ঘটিকার দিকে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভাঙ্গন হতে দেখা যায়।নদীটি সরাসরি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। হালকা বর্ষন হলে সমস্যায় পড়তে হয় আনুলিয়াসহ পাশ্ববর্তী সকল ইউনিয়নের লোকজনকে। প্রতিবছরের ন্যায় কোন বর্ষন ছাড়াই গতকাল ঈদ উল ফিতর উদযাপনের দিন আনুলিয়া ইউনিয়নের লোকজন ঈদের নামাজরত অবস্থায় জানতে পারে ভাঙনের খবর।আনুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব রুহুল কুদ্দুস,আনুলিয়া ইউনিয়নের বি এন পির সভাপতি শওকত সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে সাধারণ জনগণকে নিয়ে প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে ভাঙন এলাকায় গিয়ে বাঁধার জন্য অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু প্রচন্ড স্রোতের টানে ব্যর্থ হয় এবং তাদের সাথে থাকা বস্তাসহ অন্যান্য জিনিস স্রোতের টানে চলে যায়। তারা আশায় থাকে ভাটার টানে বাঁধার জন্য। এলাকায় এলাকায় জনগনকে ডাকা হয় মাইকের আওয়াজে কিন্তু জনগণ আসলেও কোন ভাবেই বাঁধা সম্ভব হয় নি। চারিদিকে মানুষের হাহাকার ভেসে আসছে। মানুষ যে কোথায় যাবে তার কোন ঠিক নেই সাথে ছাগল, হাঁস, মুরগি জিনিসপত্র পানিতে ভেসে চলে যাচ্ছে। প্রথমে ভাঙনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৫০ ফুট। এখন ভাঙনের পরিমাণ আস্তে আস্তে যে কত ফুট হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। এখন শুধু আনুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিছট এলাকা নয় পুরো আনুলিয়া ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী খাজরাসহ বড়দল ইউনিয়ন ও পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পুরো তিন ইউনিয়নের আহাজারিতে কাঁদছে আশাশুনিবাসী ।আনুলিয়া ইউনিয়নের বি এন পির সভাপতি শওকত বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডে ফোন দিলে তারা আসতে চেয়ে আসে নি। থানায় জানানো হয়েছে থানা থেকে ফোর্স এসে দেখে গিয়েছেন। এটা স্থানীয় জনগণের একার পক্ষে সম্ভব নয় । তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসক ও সরকার উদ্যোগ নিলে আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীতে খুব বাঁধ নির্মাণ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সাতক্ষীরার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভাঙন

আপডেট সময় : ০৭:১১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

বিউটি খাতুন স্টাফ রিপোর্টার:-সাতক্ষীরা জেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে গতকাল ৩১ শে মার্চ সকাল আনু: ৮ ঘটিকার দিকে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভাঙ্গন হতে দেখা যায়।নদীটি সরাসরি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। হালকা বর্ষন হলে সমস্যায় পড়তে হয় আনুলিয়াসহ পাশ্ববর্তী সকল ইউনিয়নের লোকজনকে। প্রতিবছরের ন্যায় কোন বর্ষন ছাড়াই গতকাল ঈদ উল ফিতর উদযাপনের দিন আনুলিয়া ইউনিয়নের লোকজন ঈদের নামাজরত অবস্থায় জানতে পারে ভাঙনের খবর।আনুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব রুহুল কুদ্দুস,আনুলিয়া ইউনিয়নের বি এন পির সভাপতি শওকত সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে সাধারণ জনগণকে নিয়ে প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে ভাঙন এলাকায় গিয়ে বাঁধার জন্য অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু প্রচন্ড স্রোতের টানে ব্যর্থ হয় এবং তাদের সাথে থাকা বস্তাসহ অন্যান্য জিনিস স্রোতের টানে চলে যায়। তারা আশায় থাকে ভাটার টানে বাঁধার জন্য। এলাকায় এলাকায় জনগনকে ডাকা হয় মাইকের আওয়াজে কিন্তু জনগণ আসলেও কোন ভাবেই বাঁধা সম্ভব হয় নি। চারিদিকে মানুষের হাহাকার ভেসে আসছে। মানুষ যে কোথায় যাবে তার কোন ঠিক নেই সাথে ছাগল, হাঁস, মুরগি জিনিসপত্র পানিতে ভেসে চলে যাচ্ছে। প্রথমে ভাঙনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৫০ ফুট। এখন ভাঙনের পরিমাণ আস্তে আস্তে যে কত ফুট হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। এখন শুধু আনুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিছট এলাকা নয় পুরো আনুলিয়া ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী খাজরাসহ বড়দল ইউনিয়ন ও পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পুরো তিন ইউনিয়নের আহাজারিতে কাঁদছে আশাশুনিবাসী ।আনুলিয়া ইউনিয়নের বি এন পির সভাপতি শওকত বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডে ফোন দিলে তারা আসতে চেয়ে আসে নি। থানায় জানানো হয়েছে থানা থেকে ফোর্স এসে দেখে গিয়েছেন। এটা স্থানীয় জনগণের একার পক্ষে সম্ভব নয় । তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসক ও সরকার উদ্যোগ নিলে আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীতে খুব বাঁধ নির্মাণ হবে।