ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাণীশংকৈলে জবাই করা গাভীন গরুর পেটে বাচ্চা কসাইকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ হাজার টাকা জরিমানা গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বাকৃবিতে বিক্ষোভ মিছিল গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে খুবিতে সমাবেশ ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে পলাশবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ফিলিস্তিনিদের প্রতি নোবিপ্রবিতে সংহতি সমাবেশ বোয়ালখীতে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে অস্ত্র ও মাদক সহ ৪ জন আটক ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ গাজায় হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ঠাকুরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দের অর্থে দূর্নীতি হিজলা উপজেলার হিজলা গৌরবদি ইউনিয়ন এ হত দরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ

সাতক্ষীরার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভাঙন

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

বিউটি খাতুন স্টাফ রিপোর্টার:-সাতক্ষীরা জেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে গতকাল ৩১ শে মার্চ সকাল আনু: ৮ ঘটিকার দিকে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভাঙ্গন হতে দেখা যায়।নদীটি সরাসরি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। হালকা বর্ষন হলে সমস্যায় পড়তে হয় আনুলিয়াসহ পাশ্ববর্তী সকল ইউনিয়নের লোকজনকে। প্রতিবছরের ন্যায় কোন বর্ষন ছাড়াই গতকাল ঈদ উল ফিতর উদযাপনের দিন আনুলিয়া ইউনিয়নের লোকজন ঈদের নামাজরত অবস্থায় জানতে পারে ভাঙনের খবর।আনুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব রুহুল কুদ্দুস,আনুলিয়া ইউনিয়নের বি এন পির সভাপতি শওকত সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে সাধারণ জনগণকে নিয়ে প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে ভাঙন এলাকায় গিয়ে বাঁধার জন্য অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু প্রচন্ড স্রোতের টানে ব্যর্থ হয় এবং তাদের সাথে থাকা বস্তাসহ অন্যান্য জিনিস স্রোতের টানে চলে যায়। তারা আশায় থাকে ভাটার টানে বাঁধার জন্য। এলাকায় এলাকায় জনগনকে ডাকা হয় মাইকের আওয়াজে কিন্তু জনগণ আসলেও কোন ভাবেই বাঁধা সম্ভব হয় নি। চারিদিকে মানুষের হাহাকার ভেসে আসছে। মানুষ যে কোথায় যাবে তার কোন ঠিক নেই সাথে ছাগল, হাঁস, মুরগি জিনিসপত্র পানিতে ভেসে চলে যাচ্ছে। প্রথমে ভাঙনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৫০ ফুট। এখন ভাঙনের পরিমাণ আস্তে আস্তে যে কত ফুট হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। এখন শুধু আনুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিছট এলাকা নয় পুরো আনুলিয়া ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী খাজরাসহ বড়দল ইউনিয়ন ও পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পুরো তিন ইউনিয়নের আহাজারিতে কাঁদছে আশাশুনিবাসী ।আনুলিয়া ইউনিয়নের বি এন পির সভাপতি শওকত বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডে ফোন দিলে তারা আসতে চেয়ে আসে নি। থানায় জানানো হয়েছে থানা থেকে ফোর্স এসে দেখে গিয়েছেন। এটা স্থানীয় জনগণের একার পক্ষে সম্ভব নয় । তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসক ও সরকার উদ্যোগ নিলে আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীতে খুব বাঁধ নির্মাণ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

সাতক্ষীরার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভাঙন

আপডেট সময় : ০৭:১১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

বিউটি খাতুন স্টাফ রিপোর্টার:-সাতক্ষীরা জেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে গতকাল ৩১ শে মার্চ সকাল আনু: ৮ ঘটিকার দিকে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভাঙ্গন হতে দেখা যায়।নদীটি সরাসরি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। হালকা বর্ষন হলে সমস্যায় পড়তে হয় আনুলিয়াসহ পাশ্ববর্তী সকল ইউনিয়নের লোকজনকে। প্রতিবছরের ন্যায় কোন বর্ষন ছাড়াই গতকাল ঈদ উল ফিতর উদযাপনের দিন আনুলিয়া ইউনিয়নের লোকজন ঈদের নামাজরত অবস্থায় জানতে পারে ভাঙনের খবর।আনুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব রুহুল কুদ্দুস,আনুলিয়া ইউনিয়নের বি এন পির সভাপতি শওকত সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে সাধারণ জনগণকে নিয়ে প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে ভাঙন এলাকায় গিয়ে বাঁধার জন্য অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু প্রচন্ড স্রোতের টানে ব্যর্থ হয় এবং তাদের সাথে থাকা বস্তাসহ অন্যান্য জিনিস স্রোতের টানে চলে যায়। তারা আশায় থাকে ভাটার টানে বাঁধার জন্য। এলাকায় এলাকায় জনগনকে ডাকা হয় মাইকের আওয়াজে কিন্তু জনগণ আসলেও কোন ভাবেই বাঁধা সম্ভব হয় নি। চারিদিকে মানুষের হাহাকার ভেসে আসছে। মানুষ যে কোথায় যাবে তার কোন ঠিক নেই সাথে ছাগল, হাঁস, মুরগি জিনিসপত্র পানিতে ভেসে চলে যাচ্ছে। প্রথমে ভাঙনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৫০ ফুট। এখন ভাঙনের পরিমাণ আস্তে আস্তে যে কত ফুট হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। এখন শুধু আনুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিছট এলাকা নয় পুরো আনুলিয়া ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী খাজরাসহ বড়দল ইউনিয়ন ও পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পুরো তিন ইউনিয়নের আহাজারিতে কাঁদছে আশাশুনিবাসী ।আনুলিয়া ইউনিয়নের বি এন পির সভাপতি শওকত বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডে ফোন দিলে তারা আসতে চেয়ে আসে নি। থানায় জানানো হয়েছে থানা থেকে ফোর্স এসে দেখে গিয়েছেন। এটা স্থানীয় জনগণের একার পক্ষে সম্ভব নয় । তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসক ও সরকার উদ্যোগ নিলে আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীতে খুব বাঁধ নির্মাণ হবে।