শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ সমন্বিত উদ্যোগ, প্রতিরোধ করি দুর্যোগ, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও এনজিও পরিষদের সহযোগীতায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র্যালিটি সড়ক ও উপজেলা চত্বর প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুন সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার ভূমি রাশেদ হোসাইন , উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল আযম মনির, বীর মুক্তিযোদ্ধা জি এম ওসমান গনি, এনজিও প্রতিনিধি গাজী আল ইমরান,ছাত্র প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ, সাবেক উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান নূরজাহান পারভিন ঝর্না, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা, শ্যামনগর থানার এস আই গিয়াস উদ্দীন, শিক্ষক প্রতিনিধি, ভূরুলিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান, সিপিপি প্রতিনিধি সাহজাহান প্রমূখ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি এস এম মোস্তফা কামাল, মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য বৃন্দ, শ্যামনগর উপজেলা অনলাইন নিউজ ক্লাবের মিলন, উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ,সাংবাদিকবৃন্দ,বিভিন্ন এনজিও প্রধানগন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিপিপি, বারসিকের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্বেচাসেবক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সভাপতি বক্তব্যে বলেন,’শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ কেন্দ্রিক হওয়ায় সবসময় মানুষকে দুর্যোগের মুখোমুখি থাকতে হয়। প্রাকৃতিক দর্যোগ কমাতে হলে মানুষ সৃষ্টি দূর্যোগ কমানোর কোন বিকল্প নেই। দুর্যোগ এড়ানো সম্ভব নয়— কিন্তু সময়োপযোগী প্রস্তুতি, স্থানীয় সম্পৃক্ততা ও বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারে, প্রাণ বাঁচাতে পারে। কারণ, উপকূলের মানুষ দুর্যোগে নয়, প্রতিরোধেই জিততে চায়। সঠিক পরিকল্পনা, জনগণের অংশগ্রহণ আর সমন্বিত উদ্যোগই পারে বাংলাদেশের উপকূলকে টেকসই সুরক্ষার পথে এগিয়ে নিতে। তিনি সকল দূর্যোগে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন করে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।এসময় বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকায় টেকসই নদী বাঁধ, জোয়ার-ভাটার সঠিক প্রবাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, মিষ্টি পানির সংরক্ষণ এবং বিকল্প জীবিকার সুযোগ তৈরি করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।অবৈধ দখল ও অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষে বহু খাল ও জলাধার ভরাট হয়ে যাওয়ায় নিষ্কাশন ব্যবস্থার ভঙ্গুরতায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত সহ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের পানি নামতে না পেরে গ্রাম ডুবে যাচ্ছে, বেড়িবাঁধ বারবার ভেঙে পড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় জনগণের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এ সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়।