ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

নীলফামারীতে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে প্রধান শিক্ষকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ আর ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে বিদ্যালয়ের পুরো বিল্ডিংই রংতুলিতে পাঠ্য বইয়ের বিভিন্ন বর্ণে অঙ্কিত করে সাজিয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কোবাদ আলী।

সরকারী বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে মাঘের এই কনকনে শীতেও আনন্দের সাথে বিদ্যালয়ে এসে অধ্যায়ন করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

শুধু তাই নয়, ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের পুনরায় স্কুলমুখী করতে ভর্তি ক্যাম্পেইনসহ নানা আয়োজন করেন তিনি। প্রধান শিক্ষকের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের খবর পেয়ে বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। পরিদর্শণ শেষে প্রধান শিক্ষকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গুলোকে সাধুবাদ জানান তিনি।

পশ্চিম পঞ্চপুকুর জামতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বলছেন, শুধু মাত্র বেতনের জন্যই নয়, নিজেদের অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশে নিরলস ভাবে কাজ করছেন তাঁরা। প্রত্যন্ত এলাকায় এ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হলেও, এটি একটি মডেল স্কুলে পরিনত করার প্রয়াস তাঁদের।

বিদ্যালয়ের প্রধান মো. কোবাদ আলী জানান, “জেলা শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় পশ্চিম পঞ্চপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। আমি গত সাত বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক সভাপতিসহ অন্যান্যরা অনেকটা আন্তরিক। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চল হলেও, অন্যান্য শিক্ষকগণসহ সবার সহযোগিতায় এটি একটি মডেল স্কুলে পরিনত করার মানসিকতা নিয়েই এখানে কাজ করছি”।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, “জেলার প্রায় ১হাজারটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে, কোমলমনি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ আর ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে পশ্চিম পঞ্চপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনেক গুলো ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যা নিত্যান্তই প্রশংসনীয়”।

জানতে চাইলে, নীলফামারী জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, বলেন, ”এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. কোবাদ আলী শিশুদের মেধা বিকাশ আর ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন।আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই”।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নীলফামারীতে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে প্রধান শিক্ষকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

নীলফামারী প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ আর ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে বিদ্যালয়ের পুরো বিল্ডিংই রংতুলিতে পাঠ্য বইয়ের বিভিন্ন বর্ণে অঙ্কিত করে সাজিয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কোবাদ আলী।

সরকারী বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে মাঘের এই কনকনে শীতেও আনন্দের সাথে বিদ্যালয়ে এসে অধ্যায়ন করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

শুধু তাই নয়, ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের পুনরায় স্কুলমুখী করতে ভর্তি ক্যাম্পেইনসহ নানা আয়োজন করেন তিনি। প্রধান শিক্ষকের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের খবর পেয়ে বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। পরিদর্শণ শেষে প্রধান শিক্ষকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গুলোকে সাধুবাদ জানান তিনি।

পশ্চিম পঞ্চপুকুর জামতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বলছেন, শুধু মাত্র বেতনের জন্যই নয়, নিজেদের অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশে নিরলস ভাবে কাজ করছেন তাঁরা। প্রত্যন্ত এলাকায় এ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হলেও, এটি একটি মডেল স্কুলে পরিনত করার প্রয়াস তাঁদের।

বিদ্যালয়ের প্রধান মো. কোবাদ আলী জানান, “জেলা শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় পশ্চিম পঞ্চপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। আমি গত সাত বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক সভাপতিসহ অন্যান্যরা অনেকটা আন্তরিক। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চল হলেও, অন্যান্য শিক্ষকগণসহ সবার সহযোগিতায় এটি একটি মডেল স্কুলে পরিনত করার মানসিকতা নিয়েই এখানে কাজ করছি”।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, “জেলার প্রায় ১হাজারটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে, কোমলমনি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ আর ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে পশ্চিম পঞ্চপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনেক গুলো ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যা নিত্যান্তই প্রশংসনীয়”।

জানতে চাইলে, নীলফামারী জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, বলেন, ”এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. কোবাদ আলী শিশুদের মেধা বিকাশ আর ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন।আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই”।