ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে ছয় বছরের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাকৃবির পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ৩০ খামারীকে প্রশিক্ষণ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, দশজন আহত ঢাকা সাভারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন মহাবিদ্যালয়ে নতুন অধ্যক্ষের যোগদান সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে — মির্জা আলমগীর ডাক্তার শহিদুল আলমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জি এম আব্বাস উদ্দিন ঢাকা সাভারে জামিনে বের হয়ে বাদীর স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার ২৫ দেশে প্রথমবারের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি

নীলফামারীতে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে প্রধান শিক্ষকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ আর ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে বিদ্যালয়ের পুরো বিল্ডিংই রংতুলিতে পাঠ্য বইয়ের বিভিন্ন বর্ণে অঙ্কিত করে সাজিয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কোবাদ আলী।

সরকারী বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে মাঘের এই কনকনে শীতেও আনন্দের সাথে বিদ্যালয়ে এসে অধ্যায়ন করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

শুধু তাই নয়, ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের পুনরায় স্কুলমুখী করতে ভর্তি ক্যাম্পেইনসহ নানা আয়োজন করেন তিনি। প্রধান শিক্ষকের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের খবর পেয়ে বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। পরিদর্শণ শেষে প্রধান শিক্ষকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গুলোকে সাধুবাদ জানান তিনি।

পশ্চিম পঞ্চপুকুর জামতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বলছেন, শুধু মাত্র বেতনের জন্যই নয়, নিজেদের অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশে নিরলস ভাবে কাজ করছেন তাঁরা। প্রত্যন্ত এলাকায় এ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হলেও, এটি একটি মডেল স্কুলে পরিনত করার প্রয়াস তাঁদের।

বিদ্যালয়ের প্রধান মো. কোবাদ আলী জানান, “জেলা শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় পশ্চিম পঞ্চপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। আমি গত সাত বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক সভাপতিসহ অন্যান্যরা অনেকটা আন্তরিক। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চল হলেও, অন্যান্য শিক্ষকগণসহ সবার সহযোগিতায় এটি একটি মডেল স্কুলে পরিনত করার মানসিকতা নিয়েই এখানে কাজ করছি”।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, “জেলার প্রায় ১হাজারটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে, কোমলমনি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ আর ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে পশ্চিম পঞ্চপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনেক গুলো ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যা নিত্যান্তই প্রশংসনীয়”।

জানতে চাইলে, নীলফামারী জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, বলেন, ”এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. কোবাদ আলী শিশুদের মেধা বিকাশ আর ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন।আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই”।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

নীলফামারীতে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে প্রধান শিক্ষকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

নীলফামারী প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ আর ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে বিদ্যালয়ের পুরো বিল্ডিংই রংতুলিতে পাঠ্য বইয়ের বিভিন্ন বর্ণে অঙ্কিত করে সাজিয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কোবাদ আলী।

সরকারী বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে মাঘের এই কনকনে শীতেও আনন্দের সাথে বিদ্যালয়ে এসে অধ্যায়ন করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

শুধু তাই নয়, ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের পুনরায় স্কুলমুখী করতে ভর্তি ক্যাম্পেইনসহ নানা আয়োজন করেন তিনি। প্রধান শিক্ষকের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের খবর পেয়ে বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। পরিদর্শণ শেষে প্রধান শিক্ষকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গুলোকে সাধুবাদ জানান তিনি।

পশ্চিম পঞ্চপুকুর জামতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বলছেন, শুধু মাত্র বেতনের জন্যই নয়, নিজেদের অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশে নিরলস ভাবে কাজ করছেন তাঁরা। প্রত্যন্ত এলাকায় এ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হলেও, এটি একটি মডেল স্কুলে পরিনত করার প্রয়াস তাঁদের।

বিদ্যালয়ের প্রধান মো. কোবাদ আলী জানান, “জেলা শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় পশ্চিম পঞ্চপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। আমি গত সাত বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক সভাপতিসহ অন্যান্যরা অনেকটা আন্তরিক। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চল হলেও, অন্যান্য শিক্ষকগণসহ সবার সহযোগিতায় এটি একটি মডেল স্কুলে পরিনত করার মানসিকতা নিয়েই এখানে কাজ করছি”।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, “জেলার প্রায় ১হাজারটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে, কোমলমনি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ আর ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে পশ্চিম পঞ্চপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনেক গুলো ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যা নিত্যান্তই প্রশংসনীয়”।

জানতে চাইলে, নীলফামারী জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, বলেন, ”এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. কোবাদ আলী শিশুদের মেধা বিকাশ আর ঝরেপরা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন।আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই”।