ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গাজীরহাট পূজা মন্ডপ পরিদর্শক ও মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চুরির অভিযোগে কিশোরকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল বাকৃবিতে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মৃত্যুর চেয়েও মারাত্মক সময় অপচয়: সফল জীবনের পথে সতর্কবার্তা ১৩ বছরে কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি নীলফামারীর সমিতার: তবুও ফিরতে চান স্বামীর সংসারে শ্যামনগর কৈখালীতে বিশুদ্ধ পানির প্লান্ট উদ্বোধন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক ফেনীতে স্বামীকে হ’ত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা বরিশাল রেঞ্জ কমান্ডার জিরো পয়েন্ট থেকে সোনাগাজী হাসপাতাল রিক্সা ভাড ৪০ টাকা রাজাপুরে জমি দখল করতে গিয়ে গাছ কেটে তিন লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ

১৩ বছরে কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি নীলফামারীর সমিতার: তবুও ফিরতে চান স্বামীর সংসারে

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১৩ বছরেও কোন পুঁজোয় স্বামীর কাছ থেকে একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি সমিতার। মাত্র কয়েক মাসের সংসার জীবনে মিলেছে তুচ্ছ-তাচ্ছিলতা আর নানান শারিরীক ও মানসিক যন্ত্রণা। স্বামীর সংসার থেকে বিতারিত হয়ে খেয়ে না খেয়ে স্বামীর সংসারের আশায় বুক বেঁধেই রয়েছেন তিনি।

বলছি, নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বামনা-বামনী হরিসভাপাড়া গ্রামের শ্রী রতন চন্দ্র রায়ের স্ত্রীর কথা। ১৩ বছর আগে হিন্দু ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সমিতার বিয়ে হলেও, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই স্বামীর সংসার থেকে বিতারিত হয়ে বয়স্ক বাবার বাড়ীতে অসহায় দিন যাপন করছেন সমিতা।

জানতে চাইলে, ভুক্তভোগী সমিতা রানী বলেন, “জেলার জলঢাকা উপজেলার বামনা-বামনী হরিসভাপাড়া এলাকার অতুল চন্দ্র রায়ের ছেলে রতনের সাথে হিন্দুধর্মীয় রীতিনীতি মেয়েই আমার বিয়ে হয়েছে। আমার বাবা গরীব, বিয়ের সময় রতনকে যথাসাধ্য উপঢৌকন দিয়েছে। কয়েকটা মাস যেতে না যেতেই যৌতুক লোভী স্বামী ও তার পরিবারের অন্যান্যরা যৌতুকের কারণে কারণে আমাকে প্রায় সময় অমানসিক নির্যাতন করতো। আমি স্বামীর সংসার করার মানসে সকল অন্যায় অত্যাচার নীরবে সহ্য করতাম। এক পর্যায়ে যৌতুকের কারণে আমাকে বেধরক মারধর করে আমার বাড়ীর পার্শ্বে ফেলে চলে যায় তারা। আমার বয়স্ক বাবা মা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করান। পরে আমি আবারও আমার স্বামীর বাড়ীতে গেলে, তারা আমাকে তাদের বাড়ী থেকে বের করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে স্বামীর অপেক্ষায় বয়স্ক বাবার বাড়ীতে অসহায় জীবন যাপন করছি, এই ১৩ বছরেও সে আমার কোন খোঁজ নেয়নি। ১৩ বছরের কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও এনে দেয়নি, কিন্তু সে (রতন) নতুন বিয়ে করে বউকে নিয়ে উচ্ছাসিত রয়েছে। হিন্দু ধর্মের নারীদের বিয়ে এক বারেই হয়”।

রতনের সাথে নিজের হাতেই সমিতার বিয়ে দিয়েছেন এমন দাবী করে খুটামারা ইউনিয়নের সাবেক ইউ,পি সদস্য দেলোয়ার রহমান বলেন, “বিয়ের সময় সমিতার স্বামী রতনের বাবাকে দেড় লক্ষ টাকা উপঢৌকণ দিয়েছে। পরবর্তীতে যৌতুকের দাবীতে সমিতাকে বেধরক মারপিট করে। সমিতার বাবা টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় সমিতাকে তারা (রতন ও তার পরিবার) তাদের বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে, নতুন বিয়ে করে সংসার করছে। সমিতা দীর্ঘ ১৩বছর ধরে তার বয়স্ক বাবার টানা পোড়ানের সংসারে রয়েছে”।

বিষয়টি নিয়ে অতুল চন্দ্র রায়ের ছেলে রতনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করবেন না বলে সাংবাদিকদের সাফ জানিয়ে দেন।

দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বাবার বাড়ীতে অসহায় পড়ে রয়েছেন সমিতা। দিন গুনছেন, কবে ফিরতে পারবেন স্বামীর সংসারে। কবে শেষ হবে সমিতার অপেক্ষার পোহর, আদৌ কি ফিরতে পারবেন স্বামীর সংসারে? এমন গুঞ্জনই চলছে এলাকা জুড়ে স্থানীয়দের মাঝে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

১৩ বছরে কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি নীলফামারীর সমিতার: তবুও ফিরতে চান স্বামীর সংসারে

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নীলফামারী প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১৩ বছরেও কোন পুঁজোয় স্বামীর কাছ থেকে একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি সমিতার। মাত্র কয়েক মাসের সংসার জীবনে মিলেছে তুচ্ছ-তাচ্ছিলতা আর নানান শারিরীক ও মানসিক যন্ত্রণা। স্বামীর সংসার থেকে বিতারিত হয়ে খেয়ে না খেয়ে স্বামীর সংসারের আশায় বুক বেঁধেই রয়েছেন তিনি।

বলছি, নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বামনা-বামনী হরিসভাপাড়া গ্রামের শ্রী রতন চন্দ্র রায়ের স্ত্রীর কথা। ১৩ বছর আগে হিন্দু ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সমিতার বিয়ে হলেও, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই স্বামীর সংসার থেকে বিতারিত হয়ে বয়স্ক বাবার বাড়ীতে অসহায় দিন যাপন করছেন সমিতা।

জানতে চাইলে, ভুক্তভোগী সমিতা রানী বলেন, “জেলার জলঢাকা উপজেলার বামনা-বামনী হরিসভাপাড়া এলাকার অতুল চন্দ্র রায়ের ছেলে রতনের সাথে হিন্দুধর্মীয় রীতিনীতি মেয়েই আমার বিয়ে হয়েছে। আমার বাবা গরীব, বিয়ের সময় রতনকে যথাসাধ্য উপঢৌকন দিয়েছে। কয়েকটা মাস যেতে না যেতেই যৌতুক লোভী স্বামী ও তার পরিবারের অন্যান্যরা যৌতুকের কারণে কারণে আমাকে প্রায় সময় অমানসিক নির্যাতন করতো। আমি স্বামীর সংসার করার মানসে সকল অন্যায় অত্যাচার নীরবে সহ্য করতাম। এক পর্যায়ে যৌতুকের কারণে আমাকে বেধরক মারধর করে আমার বাড়ীর পার্শ্বে ফেলে চলে যায় তারা। আমার বয়স্ক বাবা মা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করান। পরে আমি আবারও আমার স্বামীর বাড়ীতে গেলে, তারা আমাকে তাদের বাড়ী থেকে বের করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে স্বামীর অপেক্ষায় বয়স্ক বাবার বাড়ীতে অসহায় জীবন যাপন করছি, এই ১৩ বছরেও সে আমার কোন খোঁজ নেয়নি। ১৩ বছরের কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও এনে দেয়নি, কিন্তু সে (রতন) নতুন বিয়ে করে বউকে নিয়ে উচ্ছাসিত রয়েছে। হিন্দু ধর্মের নারীদের বিয়ে এক বারেই হয়”।

রতনের সাথে নিজের হাতেই সমিতার বিয়ে দিয়েছেন এমন দাবী করে খুটামারা ইউনিয়নের সাবেক ইউ,পি সদস্য দেলোয়ার রহমান বলেন, “বিয়ের সময় সমিতার স্বামী রতনের বাবাকে দেড় লক্ষ টাকা উপঢৌকণ দিয়েছে। পরবর্তীতে যৌতুকের দাবীতে সমিতাকে বেধরক মারপিট করে। সমিতার বাবা টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় সমিতাকে তারা (রতন ও তার পরিবার) তাদের বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে, নতুন বিয়ে করে সংসার করছে। সমিতা দীর্ঘ ১৩বছর ধরে তার বয়স্ক বাবার টানা পোড়ানের সংসারে রয়েছে”।

বিষয়টি নিয়ে অতুল চন্দ্র রায়ের ছেলে রতনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করবেন না বলে সাংবাদিকদের সাফ জানিয়ে দেন।

দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বাবার বাড়ীতে অসহায় পড়ে রয়েছেন সমিতা। দিন গুনছেন, কবে ফিরতে পারবেন স্বামীর সংসারে। কবে শেষ হবে সমিতার অপেক্ষার পোহর, আদৌ কি ফিরতে পারবেন স্বামীর সংসারে? এমন গুঞ্জনই চলছে এলাকা জুড়ে স্থানীয়দের মাঝে।