ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব দুমকীতে পূজা মন্ডপে এনসিপির শুভেচ্ছা বিনিময় বিদায়ের সুরে শ্যামনগরের পূজা মণ্ডপগুলো

সাভারের করুণ ট্র্যাজেডি: বাবার হাতে সন্তানের ক্ষত, প্রতিশোধের আগুনে পিতৃহত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

ঘুমের ওষুধে নিস্তব্ধতা, ছুরির কোপে চিরবিদায় ২০২৫ সালের ৮ মে, সাভারের মজিদপুর কাঠালবাগান এলাকায় ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। ২৩ বছর বয়সী তরুণী জান্নাতুল জাহান শিফা তার বাবা আব্দুস সাত্তারকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ছুরি দিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর, তিনি নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে আত্মসমর্পণ করেন।

বিচারের আকুতি থেকে প্রতিশোধের পথে:-
এ ব্যপারে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে শিফা তার বাবার দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি নাটোরের সিংড়া থানায় বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। সাত্তার দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে মেয়ের সঙ্গে সাভারে বসবাস শুরু করেন। তবে, তিনি মেয়েকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকেন এবং একপর্যায়ে তার বিরুদ্ধে চুরির মামলাও দায়ের করেন।

ঘটনার বিবরণ:-
বুধবার রাতে, শিফা খাবারের সঙ্গে ২০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবাকে খাওয়ান। বাবা ঘুমিয়ে পড়লে, ভোর ৪টার দিকে তিনি ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর, তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে হত্যার বিষয়টি জানান এবং আত্মসমর্পণ করেন।

মানসিক যন্ত্রণা ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া:-
এই ঘটনা সমাজে গভীর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। একদিকে, এটি পিতার হাতে সন্তানের নির্যাতনের করুণ চিত্র তুলে ধরে; অন্যদিকে, প্রতিশোধের নামে পিতৃহত্যার মতো চরম পদক্ষেপের প্রশ্ন তোলে। মানসিক স্বাস্থ্য, পারিবারিক সহিংসতা ও আইনি সহায়তার অভাব এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শেষ কথা:-
সাভারের এই ঘটনা আমাদের সমাজের অন্ধকার দিকগুলোকে উন্মোচন করেছে। এটি শুধুমাত্র একটি পারিবারিক ট্র্যাজেডি নয়, বরং একটি সামাজিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। যেখানে নির্যাতনের শিকাররা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম পথ বেছে নিতে বাধ্য হন। এই ঘটনা আমাদের সকলকে সচেতন করে তোলে, যেন ভবিষ্যতে এমন করুণ পরিণতি এড়ানো যায়।

তথ্যসূত্র
প্রথম আলো:
যুগান্তর:
ইত্তেফাক:
bdnews24.com:

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সাভারের করুণ ট্র্যাজেডি: বাবার হাতে সন্তানের ক্ষত, প্রতিশোধের আগুনে পিতৃহত্যা

আপডেট সময় : ১১:০৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

ঘুমের ওষুধে নিস্তব্ধতা, ছুরির কোপে চিরবিদায় ২০২৫ সালের ৮ মে, সাভারের মজিদপুর কাঠালবাগান এলাকায় ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। ২৩ বছর বয়সী তরুণী জান্নাতুল জাহান শিফা তার বাবা আব্দুস সাত্তারকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ছুরি দিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর, তিনি নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে আত্মসমর্পণ করেন।

বিচারের আকুতি থেকে প্রতিশোধের পথে:-
এ ব্যপারে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে শিফা তার বাবার দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি নাটোরের সিংড়া থানায় বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। সাত্তার দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে মেয়ের সঙ্গে সাভারে বসবাস শুরু করেন। তবে, তিনি মেয়েকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকেন এবং একপর্যায়ে তার বিরুদ্ধে চুরির মামলাও দায়ের করেন।

ঘটনার বিবরণ:-
বুধবার রাতে, শিফা খাবারের সঙ্গে ২০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবাকে খাওয়ান। বাবা ঘুমিয়ে পড়লে, ভোর ৪টার দিকে তিনি ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর, তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে হত্যার বিষয়টি জানান এবং আত্মসমর্পণ করেন।

মানসিক যন্ত্রণা ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া:-
এই ঘটনা সমাজে গভীর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। একদিকে, এটি পিতার হাতে সন্তানের নির্যাতনের করুণ চিত্র তুলে ধরে; অন্যদিকে, প্রতিশোধের নামে পিতৃহত্যার মতো চরম পদক্ষেপের প্রশ্ন তোলে। মানসিক স্বাস্থ্য, পারিবারিক সহিংসতা ও আইনি সহায়তার অভাব এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শেষ কথা:-
সাভারের এই ঘটনা আমাদের সমাজের অন্ধকার দিকগুলোকে উন্মোচন করেছে। এটি শুধুমাত্র একটি পারিবারিক ট্র্যাজেডি নয়, বরং একটি সামাজিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। যেখানে নির্যাতনের শিকাররা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম পথ বেছে নিতে বাধ্য হন। এই ঘটনা আমাদের সকলকে সচেতন করে তোলে, যেন ভবিষ্যতে এমন করুণ পরিণতি এড়ানো যায়।

তথ্যসূত্র
প্রথম আলো:
যুগান্তর:
ইত্তেফাক:
bdnews24.com: