ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দুমকিতে কৃষি ব্যাংকের উদ্যোগে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন রাজনীতি অন্তিম শয্যায় সুনামগঞ্জ ছাতকে নিরাপত্তাহীনতায় কানাডা প্রবাসীর স্ত্রী সুমি বেগম,থানায় জিডি রাস্তার বেহাল অবস্থা চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসি বলুর মেলা থেকে ভুয়া হিজড়া আটক ৪ বৃহৎ জনস্বার্থে চট্টগ্রাম জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ফেনীতে মাদ্রাসা বোর্ড প্রধানের সাথে মাদ্রাসা প্রধানদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, সোনাগাজী পৌর শাখার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাভারে ক্রসফায়ারের নামে নয়ন হত্যার বিচার দাবীতে মানবন্ধন

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

রাজ রোস্তম আলী,স্টাফ রিপোর্টার সাভার ঢাকাঃ-
সাভারে ক্রস ফায়ারের নামে ৮ বছর পূর্বে পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম নয়নকে হত্যার বিচার দাবীতে আজ মঙ্গলবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাভার বাসস্ট্যান্ডে এলাকাবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও নিহতের আত্মীয় স্বজনসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া এ হত্যাকান্ডে ডাক্তার এনামসহ ৮জনকে আসামী করে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদনটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মানববন্ধনে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ওবায়দুর রহমান অভি, সাভার সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ইউসুফ, পৌর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাভার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, নিহত যুবদল নেতার সহোদর সাবেক দুই ছাত্রদল নেতা আহসান উল্লাহ খোকন ও মাসুদ আলম লিটন, সাবেক ছাত্রদল নেতা নাঈমুল ইসলাম নঈম, পৌর শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, শাহ আলম নয়ন ছিলেন এলাকার জনপ্রিয় একজন যুবনেতা। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকালে ছাত্র নেতা হিসেবে তার রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। তিনি ছিলেন সাভার পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তীতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচীতে সরব ছিলেন তিনি। যার ফলে সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে তাকে ক্রস ফায়ারের নামে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তারা বলেন, সরকার হিংসা পরায়ন হয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে। ফলে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। সাভার মডেল থানা পুলিশের এস আই তন্ময়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে বিগত ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে আটক করে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কয়েক দফায় প্রায় ১০ লাখ টাকা নেয়। তারপরও তাকে হত্যা করে।
এ বিষয়ে আদালতে ইতোমধ্যে একটি মামলা দায়ের করতে করা হয়েছে যা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। তদন্তের পরে আবেদনটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হবে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা শাহ আলম নয়ন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী পুলিশ সদস্য ও জড়িত অন্যান্যদের বিচার বিচার দাবী করেন। পরিবারের পক্ষ হতে জানানো হয়, শাহ আলম নয়ন হত্যাকান্ডে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান জড়িত। মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে। কারণ তিনি তখন মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে ইতোমধ্যে ৫ জনকে ক্রসফায়ারে দিয়েছি বলে স্বীকারউক্তি দিয়েছিলেন। এতে প্রমাণিত হয় তিনি শাহ আলম নয়নকে পুলিশের মাধ্যমে হত্যা করিয়েছেন।
এ ছাড়া মামলার আর্জিতে তৎকালী ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, ওসি এস এম কামরুজ্জামান, ওসি (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান, এস আই তন্ময় বিশ্বাস, এ এস আই আহসান কবির ও কনস্টেবল মামুনকে আসামী করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সাভারে ক্রসফায়ারের নামে নয়ন হত্যার বিচার দাবীতে মানবন্ধন

আপডেট সময় : ০৭:১৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

রাজ রোস্তম আলী,স্টাফ রিপোর্টার সাভার ঢাকাঃ-
সাভারে ক্রস ফায়ারের নামে ৮ বছর পূর্বে পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম নয়নকে হত্যার বিচার দাবীতে আজ মঙ্গলবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাভার বাসস্ট্যান্ডে এলাকাবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও নিহতের আত্মীয় স্বজনসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া এ হত্যাকান্ডে ডাক্তার এনামসহ ৮জনকে আসামী করে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদনটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মানববন্ধনে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ওবায়দুর রহমান অভি, সাভার সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ইউসুফ, পৌর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাভার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, নিহত যুবদল নেতার সহোদর সাবেক দুই ছাত্রদল নেতা আহসান উল্লাহ খোকন ও মাসুদ আলম লিটন, সাবেক ছাত্রদল নেতা নাঈমুল ইসলাম নঈম, পৌর শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, শাহ আলম নয়ন ছিলেন এলাকার জনপ্রিয় একজন যুবনেতা। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকালে ছাত্র নেতা হিসেবে তার রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। তিনি ছিলেন সাভার পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তীতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচীতে সরব ছিলেন তিনি। যার ফলে সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে তাকে ক্রস ফায়ারের নামে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তারা বলেন, সরকার হিংসা পরায়ন হয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে। ফলে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। সাভার মডেল থানা পুলিশের এস আই তন্ময়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে বিগত ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে আটক করে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কয়েক দফায় প্রায় ১০ লাখ টাকা নেয়। তারপরও তাকে হত্যা করে।
এ বিষয়ে আদালতে ইতোমধ্যে একটি মামলা দায়ের করতে করা হয়েছে যা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। তদন্তের পরে আবেদনটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হবে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা শাহ আলম নয়ন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী পুলিশ সদস্য ও জড়িত অন্যান্যদের বিচার বিচার দাবী করেন। পরিবারের পক্ষ হতে জানানো হয়, শাহ আলম নয়ন হত্যাকান্ডে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান জড়িত। মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে। কারণ তিনি তখন মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে ইতোমধ্যে ৫ জনকে ক্রসফায়ারে দিয়েছি বলে স্বীকারউক্তি দিয়েছিলেন। এতে প্রমাণিত হয় তিনি শাহ আলম নয়নকে পুলিশের মাধ্যমে হত্যা করিয়েছেন।
এ ছাড়া মামলার আর্জিতে তৎকালী ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, ওসি এস এম কামরুজ্জামান, ওসি (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান, এস আই তন্ময় বিশ্বাস, এ এস আই আহসান কবির ও কনস্টেবল মামুনকে আসামী করা হয়েছে।