ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৩১ দফা বাস্তবায়নে অটল অঙ্গীকার—দুমকিতে সদস্য নবায়নে নতুন চ্যালেঞ্জ যশোরের শার্শায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা জনসাধারণের মাঝে প্রচারের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ সরকারি অর্থের অপচয়ের আরেক নজির-দুমকিতে সংযোগ সড়ক ছাড়া সেতু সোনাগাজীর শাহজাহান সাজু কে ঢাকায় অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ‎খেলাধুলায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গর্বিত- পবিপ্রবি উপাচার্য ‎ চুয়াডাঙ্গায় মাদকসহ যুবক গ্রেফতার, ১৫ দিনের কারাদণ্ড কুতুবদিয়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার কালিগঞ্জে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় প্রাথমিকের ২ শিক্ষক বিভাগীয় জবাবদিহির মুখে বহমান বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বরেণ্য শিক্ষাবিদ মো. জিয়াউর রহমান’র ওফাতে গভীর শোক প্রকাশ সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনে এবি পার্টির আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

সরকারি অর্থের অপচয়ের আরেক নজির-দুমকিতে সংযোগ সড়ক ছাড়া সেতু

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ৪৩ বার পড়া হয়েছে



‎মোঃ সজিব সরদার,‎স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে আশুরিয়া হোতা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ব্যবহারের দুপটুয়াখালীরই বছর পরও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল–মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়নের স্লোগান যতই দেওয়া হোক, বাস্তব চিত্র দেখলে স্থানীয়দের প্রশ্ন— “এই এলাকার মানুষ কি সরকার মানুষের কাতারে ধরে?”

‎২০২৩-২৪ অর্থবছরে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়ক এখনো কাগজেই বন্দি। ফলে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকো ব্যবহার করে পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন পথচারীরা।

‎স্থানীয়দের অভিযোগ,গাবতলী ও দক্ষিণ মুরাদিয়ার হাজারো মানুষ প্রতিদিন দুমকি সদরে কাজে যেতে এই সেতুর ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় রোগী আনা-নেওয়া, কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণসহ সব কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছাতে ঘুরে যেতে হচ্ছে মাইলের পর মাইল।

‎অটোচালক আবুল হোসেন বলেন,
‎“সংযোগ সড়ক না থাকার কারণে আমরা অটো নিয়ে যাতায়াত তো করতেই পারছি না, উল্টো যাত্রীও হারাচ্ছি।”

‎স্কুলছাত্রী মালিহা আক্তার ক্ষোভ জানিয়ে বলেন,
‎“বর্ষায় জীবননাশের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হয়। অনেক সময় পিছলে পড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।”

‎স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম তালুকদার জানান,এই সেতুপথ দিয়ে কয়েকটি স্কুল–মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। অথচ প্রশাসন নির্বিকার।

‎ইউপি সদস্য কবির হোসেন মৃধা বলেন,
‎“সরকার যেন আমাদের মানুষই মনে করে না! সেতু শেষ হয়েছে বহু আগেই, কিন্তু সংযোগ সড়ক হচ্ছে না। ঠিকাদার পলাতক, এলজিইডি অফিসে ধরনা দিয়েও কাজ হচ্ছে না।

‎অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার ইমরান হোসেন জানান,বৃষ্টির কারণে কাজ করা যায়নি। খুব শিগগিরই সংযোগ সড়ক নির্মাণ শেষ করা হবে।

‎এদিকে দুমকি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন,পানি থাকায় মাটি পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন হবে।

‎এলাকাবাসীর প্রশ্ন—“দুই বছর কি যথেষ্ট সময় নয়।সংযোগ সড়ক না থাকায় সরকারি অর্থে নির্মিত সেতুটি আজ অকার্যকর। সুতরাং প্রশাসন ও ঠিকাদার পক্ষের গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন দুমকির হাজারো মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সরকারি অর্থের অপচয়ের আরেক নজির-দুমকিতে সংযোগ সড়ক ছাড়া সেতু

আপডেট সময় : ১২:৫২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫



‎মোঃ সজিব সরদার,‎স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে আশুরিয়া হোতা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ব্যবহারের দুপটুয়াখালীরই বছর পরও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল–মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়নের স্লোগান যতই দেওয়া হোক, বাস্তব চিত্র দেখলে স্থানীয়দের প্রশ্ন— “এই এলাকার মানুষ কি সরকার মানুষের কাতারে ধরে?”

‎২০২৩-২৪ অর্থবছরে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়ক এখনো কাগজেই বন্দি। ফলে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকো ব্যবহার করে পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন পথচারীরা।

‎স্থানীয়দের অভিযোগ,গাবতলী ও দক্ষিণ মুরাদিয়ার হাজারো মানুষ প্রতিদিন দুমকি সদরে কাজে যেতে এই সেতুর ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় রোগী আনা-নেওয়া, কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণসহ সব কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছাতে ঘুরে যেতে হচ্ছে মাইলের পর মাইল।

‎অটোচালক আবুল হোসেন বলেন,
‎“সংযোগ সড়ক না থাকার কারণে আমরা অটো নিয়ে যাতায়াত তো করতেই পারছি না, উল্টো যাত্রীও হারাচ্ছি।”

‎স্কুলছাত্রী মালিহা আক্তার ক্ষোভ জানিয়ে বলেন,
‎“বর্ষায় জীবননাশের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হয়। অনেক সময় পিছলে পড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।”

‎স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম তালুকদার জানান,এই সেতুপথ দিয়ে কয়েকটি স্কুল–মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। অথচ প্রশাসন নির্বিকার।

‎ইউপি সদস্য কবির হোসেন মৃধা বলেন,
‎“সরকার যেন আমাদের মানুষই মনে করে না! সেতু শেষ হয়েছে বহু আগেই, কিন্তু সংযোগ সড়ক হচ্ছে না। ঠিকাদার পলাতক, এলজিইডি অফিসে ধরনা দিয়েও কাজ হচ্ছে না।

‎অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার ইমরান হোসেন জানান,বৃষ্টির কারণে কাজ করা যায়নি। খুব শিগগিরই সংযোগ সড়ক নির্মাণ শেষ করা হবে।

‎এদিকে দুমকি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন,পানি থাকায় মাটি পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন হবে।

‎এলাকাবাসীর প্রশ্ন—“দুই বছর কি যথেষ্ট সময় নয়।সংযোগ সড়ক না থাকায় সরকারি অর্থে নির্মিত সেতুটি আজ অকার্যকর। সুতরাং প্রশাসন ও ঠিকাদার পক্ষের গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন দুমকির হাজারো মানুষ।