ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাগেরহাটে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

লোডশেডিং এর মাত্রা অতিক্রম জনজীবন দুর্বিষহ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ।

দক্ষিণ ফটিকছড়িতে পল্লী বিদ্যুৎ এর খামখেয়ালি কিনা নাকি ওপর মহলের নির্দেশ বা আদৌ কি এই পরিমাণ লোডশেডিং আছে কিনা জন জীবনে, সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন এ দেখা দিয়েছে। সাধারণ গ্রাহকের ধৈর্যের সীমা অতিক্রম হয়েছে অনেক আগে। ২৪ ঘন্টায় ১৭/১৮ ঘন্টা বিদুৎ ঘাটতি। অতিরিক্ত তাপমাত্রা, গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। তারপর চলতেছে পল্লী বিদ্যুৎ এর এই লোডশেডিং। সাধারণ মানুষ দিশাহারা। এই যেন এক মগের মুল্লুকে বসবাস। বলার নেই কেউ, দেখার নেই কেউ। সাধারণ জীবন যাপন কঠিন হয়ে পরেছে এই লোডশেডিং এর কারণে। গ্রাহকরা বলেন, আজাদী বাজার জোনাল অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো রকম আশ্বস্ত হচ্ছেনা গ্রাহক। অভিযোগ নম্বর ২৪ ঘনটায় ২০ ঘন্টা ব্যস্ত বলে এই নম্বর টি। এ মোবাইল নম্বরে সংযোগ পেতে অনেক েকষ্ট বলে জানান গ্রাহকরা। একজন, গ্রাহক বলেন পানি ব্যবস্থা বিদ্যুৎ নির্ভর। বিদ্যুৎ না থাকলে পানি ওঠানো বন্ধ হয়ে হয়ে যায়। এতে মানুষের বাথরুম, রান্না বান্নার কাজ একেবারে বন্ধ হয়ে থাকে। একজন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার প্রচন্ড তাপ দাহ। কিন্তু ১১ টায় বিদ্যুৎ গেছে ৩ টায় বিদ্যুৎ আসল। আসলেই ৪০/৫০ মিনিট স্থায়ী হচ্ছে না। একজন গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি অফিস আদালত,জনপ্রতিনিধিদের অফিসে, বাসায় বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আছে তারা বুঝতে পারেনা বিদ্যুৎ কখন যায় কখন আসে। তারা যদি এই কষ্ট অনুভব করত তাহলে এই লোডশেডিং এর বিরুদ্ধে তারাই প্রথম প্রতিবাদ করত কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য আমরা কোনো জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এর সুষ্ঠু বিদ্যুৎ ব্যবস্থার হস্তক্ষেপ পাচ্ছিনা। আবার এই দিকে অনেক গ্রাহক কে বলতে শুনা যায়, রাউজান উপজেলায় এই রকমের কোনো বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং নেই, যা আছে তা সহনীয় পর্যায়ে। ফটিকছড়ির বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা বলেন, এই মাসে বিদ্যুৎ বিল অতিরিক্ত এসেছে। অথচ এই মাসে লোডশেডিং ছিল অতিরিক্ত কিন্তু বিল আসল ডাবল। গ্রাহকেরা দাবি করেন লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে করতে হবে। লোডশেডিং সারা দেশ ব্যাপী আছে তা আমাদের জানা কিন্তু দক্ষিণ ফটিকছড়িতে কেন ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং করতে হবে। এই ব্যাপারে সাধারণ গ্রাহকেরা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনসচেতনত ব্যাক্তিগণকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন। তারা মনে করেন, জোনাল অফিসের ডু জি এম এর সাথে জনপ্রতিনিধিরা বৈঠক করে একটি সহনীয় পর্যায়ের লোডশেডিং করা তাগিদ দেওয়া দরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

লোডশেডিং এর মাত্রা অতিক্রম জনজীবন দুর্বিষহ

আপডেট সময় : ০৫:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ।

দক্ষিণ ফটিকছড়িতে পল্লী বিদ্যুৎ এর খামখেয়ালি কিনা নাকি ওপর মহলের নির্দেশ বা আদৌ কি এই পরিমাণ লোডশেডিং আছে কিনা জন জীবনে, সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন এ দেখা দিয়েছে। সাধারণ গ্রাহকের ধৈর্যের সীমা অতিক্রম হয়েছে অনেক আগে। ২৪ ঘন্টায় ১৭/১৮ ঘন্টা বিদুৎ ঘাটতি। অতিরিক্ত তাপমাত্রা, গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। তারপর চলতেছে পল্লী বিদ্যুৎ এর এই লোডশেডিং। সাধারণ মানুষ দিশাহারা। এই যেন এক মগের মুল্লুকে বসবাস। বলার নেই কেউ, দেখার নেই কেউ। সাধারণ জীবন যাপন কঠিন হয়ে পরেছে এই লোডশেডিং এর কারণে। গ্রাহকরা বলেন, আজাদী বাজার জোনাল অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো রকম আশ্বস্ত হচ্ছেনা গ্রাহক। অভিযোগ নম্বর ২৪ ঘনটায় ২০ ঘন্টা ব্যস্ত বলে এই নম্বর টি। এ মোবাইল নম্বরে সংযোগ পেতে অনেক েকষ্ট বলে জানান গ্রাহকরা। একজন, গ্রাহক বলেন পানি ব্যবস্থা বিদ্যুৎ নির্ভর। বিদ্যুৎ না থাকলে পানি ওঠানো বন্ধ হয়ে হয়ে যায়। এতে মানুষের বাথরুম, রান্না বান্নার কাজ একেবারে বন্ধ হয়ে থাকে। একজন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার প্রচন্ড তাপ দাহ। কিন্তু ১১ টায় বিদ্যুৎ গেছে ৩ টায় বিদ্যুৎ আসল। আসলেই ৪০/৫০ মিনিট স্থায়ী হচ্ছে না। একজন গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি অফিস আদালত,জনপ্রতিনিধিদের অফিসে, বাসায় বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আছে তারা বুঝতে পারেনা বিদ্যুৎ কখন যায় কখন আসে। তারা যদি এই কষ্ট অনুভব করত তাহলে এই লোডশেডিং এর বিরুদ্ধে তারাই প্রথম প্রতিবাদ করত কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য আমরা কোনো জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এর সুষ্ঠু বিদ্যুৎ ব্যবস্থার হস্তক্ষেপ পাচ্ছিনা। আবার এই দিকে অনেক গ্রাহক কে বলতে শুনা যায়, রাউজান উপজেলায় এই রকমের কোনো বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং নেই, যা আছে তা সহনীয় পর্যায়ে। ফটিকছড়ির বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা বলেন, এই মাসে বিদ্যুৎ বিল অতিরিক্ত এসেছে। অথচ এই মাসে লোডশেডিং ছিল অতিরিক্ত কিন্তু বিল আসল ডাবল। গ্রাহকেরা দাবি করেন লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে করতে হবে। লোডশেডিং সারা দেশ ব্যাপী আছে তা আমাদের জানা কিন্তু দক্ষিণ ফটিকছড়িতে কেন ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং করতে হবে। এই ব্যাপারে সাধারণ গ্রাহকেরা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনসচেতনত ব্যাক্তিগণকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন। তারা মনে করেন, জোনাল অফিসের ডু জি এম এর সাথে জনপ্রতিনিধিরা বৈঠক করে একটি সহনীয় পর্যায়ের লোডশেডিং করা তাগিদ দেওয়া দরকার।