ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শায়েস্তাগঞ্জ মানব কল্যাণ পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন: সম্মাননা স্মারক প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত দেবহাটায় গুড এ্যাকুয়াকালচার প্র্যাকটিস(GAP) বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা রাজশাহীতে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারক লিপি প্রদান দুমকীতে বিএনপির নির্বাচনী পথসভায় হাজার নেতাকর্মীর ঢল ‎ লেমুয়া মধ্যম চাঁদপুরে বিধবা নারীর সঙ্গে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শেখ শরিফুজ্জামান সজীব ভাই তার অসুস্থ সহধর্মিনীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোর দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পিরোজপুর ৩ মঠবাড়ীয়া বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যশী সাইদুর রহমান লিংকনের সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভা বকশীগঞ্জে বিষাক্ত সাপের ছোবলে একজনের মৃত্যু জামালপুরের বকশীগঞ্জে ধান ক্ষেত থেকে ইয়ার হোসেন (৯) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে

লেমুয়া মধ্যম চাঁদপুরে বিধবা নারীর সঙ্গে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ হানিফ,স্টাফ রিপোর্টার ফেনী:

ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের মধ্যম চাঁদপুর ১ নং ওয়ার্ডে এক বিধবা নারীর সঙ্গে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত ইউনুস মিয়ার স্ত্রী ছকিনা বেগম (৫০) — পেনু হাজী পাটোয়ারী বাড়ির বাসিন্দা। তার স্বামী বহু বছর আগে মারা গিয়েছেন। তিনি একা বসবাস করেন, দুই মেয়ে বিবাহিত ও একমাত্র ছেলে সৌদিআরবে কর্মরত।

অভিযোগ অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছকিনা বেগমের ভাসুরের সন্তান মামুন ও আলমগীর প্রায়ই তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন এবং নানা অপবাদ রটাতেন।

গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে, স্থানীয় এক ব্যক্তি সোহাগ নামের এক যুবক ওই নারীর বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মামুন ও তার সহযোগীরা তাকে আটক করে। এরপর তারা সকিনা বেগমকে ঘর থেকে ডেকে এনে জোরপূর্বক বলেন — “এই ছেলের সঙ্গে তোমার সম্পর্ক কী?”
ছকিনা বেগম তা অস্বীকার করলে মামুন ও তার সহযোগীরা দুজনকে একটি কাচারি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে এবং জোর করে তাদের আপত্তিকর ছবি তোলে। পরে সমাজের লোকজনকে ডেকে মিথ্যা অভিযোগে অপদস্থ করে।

এ সময় সোহাগকে নির্যাতন করে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় যে, তার সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্ক আছে। সেই কথিত স্বীকারোক্তি ভিডিও করে সামাজিকভাবে প্রচার করা হয়। এরপর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও হুজুরকে ডেকে জোরপূর্বক কলমা পড়িয়ে ওই বিধবা নারী ও ছেলেকে একটি কক্ষে রাতভর বন্দী করে রাখা হয়।

পরদিন সকালে তাদের দুজনকে ইমা গাড়ি যোগে ফেনী আদালতে নিয়ে জোর করে বিবাহের এফিডেভিট করা হয়, যেখানে বিধবা ছকিনা বেগম রাজি ছিলেন না।

ছকিনা বেগম বলেন,

“আমার স্বামী মারা গেছেন ২৫ বছর আগে। আমি অসুস্থ বাড়িতে একা থাকি। তারা জায়গা-সম্পত্তির লোভে আমাকে ফাঁদে ফেলেছে। সমাজে আমাকে হেয় করেছে। আমি কোথায় বিচার পাব? আমার তো কেউ নাই।” আমাকে ওরা এলাকায় যেতে নিষেধ করেছে আমি এখন কোথায় যাব, যার সঙ্গে আমার কলমা পড়িয়েছে সে আমাকে ফেনীতে রেখে চলে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মামুন ও আলমগীর বিগত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন নাসিম এর খাস লোকছিল। যুবলীগ সন্ত্রাসী শংকর শীল, পংকজ গোস্বামী অনুসারী ছিলেন তাদের সঙ্গে ঘুরে অনেক আকাম-কুকাম করেছে। পরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলানোর সাথে সাথে মামুন ও আলমগীর দুই ভাই জামাতের ডিম বাবুলে সাথে আলাপ আলোচনা করে জামায়াতের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। এবং এলাকায় তাদের ১৭ বছর আগের পুরানো চরিত্র ফুটিয়ে তুলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

লেমুয়া মধ্যম চাঁদপুরে বিধবা নারীর সঙ্গে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

মোহাম্মদ হানিফ,স্টাফ রিপোর্টার ফেনী:

ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের মধ্যম চাঁদপুর ১ নং ওয়ার্ডে এক বিধবা নারীর সঙ্গে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত ইউনুস মিয়ার স্ত্রী ছকিনা বেগম (৫০) — পেনু হাজী পাটোয়ারী বাড়ির বাসিন্দা। তার স্বামী বহু বছর আগে মারা গিয়েছেন। তিনি একা বসবাস করেন, দুই মেয়ে বিবাহিত ও একমাত্র ছেলে সৌদিআরবে কর্মরত।

অভিযোগ অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছকিনা বেগমের ভাসুরের সন্তান মামুন ও আলমগীর প্রায়ই তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন এবং নানা অপবাদ রটাতেন।

গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে, স্থানীয় এক ব্যক্তি সোহাগ নামের এক যুবক ওই নারীর বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মামুন ও তার সহযোগীরা তাকে আটক করে। এরপর তারা সকিনা বেগমকে ঘর থেকে ডেকে এনে জোরপূর্বক বলেন — “এই ছেলের সঙ্গে তোমার সম্পর্ক কী?”
ছকিনা বেগম তা অস্বীকার করলে মামুন ও তার সহযোগীরা দুজনকে একটি কাচারি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে এবং জোর করে তাদের আপত্তিকর ছবি তোলে। পরে সমাজের লোকজনকে ডেকে মিথ্যা অভিযোগে অপদস্থ করে।

এ সময় সোহাগকে নির্যাতন করে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় যে, তার সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্ক আছে। সেই কথিত স্বীকারোক্তি ভিডিও করে সামাজিকভাবে প্রচার করা হয়। এরপর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও হুজুরকে ডেকে জোরপূর্বক কলমা পড়িয়ে ওই বিধবা নারী ও ছেলেকে একটি কক্ষে রাতভর বন্দী করে রাখা হয়।

পরদিন সকালে তাদের দুজনকে ইমা গাড়ি যোগে ফেনী আদালতে নিয়ে জোর করে বিবাহের এফিডেভিট করা হয়, যেখানে বিধবা ছকিনা বেগম রাজি ছিলেন না।

ছকিনা বেগম বলেন,

“আমার স্বামী মারা গেছেন ২৫ বছর আগে। আমি অসুস্থ বাড়িতে একা থাকি। তারা জায়গা-সম্পত্তির লোভে আমাকে ফাঁদে ফেলেছে। সমাজে আমাকে হেয় করেছে। আমি কোথায় বিচার পাব? আমার তো কেউ নাই।” আমাকে ওরা এলাকায় যেতে নিষেধ করেছে আমি এখন কোথায় যাব, যার সঙ্গে আমার কলমা পড়িয়েছে সে আমাকে ফেনীতে রেখে চলে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মামুন ও আলমগীর বিগত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন নাসিম এর খাস লোকছিল। যুবলীগ সন্ত্রাসী শংকর শীল, পংকজ গোস্বামী অনুসারী ছিলেন তাদের সঙ্গে ঘুরে অনেক আকাম-কুকাম করেছে। পরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলানোর সাথে সাথে মামুন ও আলমগীর দুই ভাই জামাতের ডিম বাবুলে সাথে আলাপ আলোচনা করে জামায়াতের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। এবং এলাকায় তাদের ১৭ বছর আগের পুরানো চরিত্র ফুটিয়ে তুলছে।