ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এলাকার প্রভাবশালী নেতার কারণে বলি হতে যাচ্ছে নবদম্পতির নতুন জীবন মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিলের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল  সাতক্ষীরায় এক নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, আদালতের নির্দেশে সদর থানায় মামলা জীবননগর থানাধীন শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্প কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার গ্রেফতার-০১জন চাঞ্চল্যকর অপহরণ পলাতক আসামী গ্রেফতার: ভিকটিম উদ্ধার রাণীশংকৈলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শাপলা রানীর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরী হয়ায় পরীক্ষা দেওয়া হলো না ঝিনাইদহে বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার পেলেন ৮’শত কৃষক জাতীয়তাবাদী তরুণদল রংপুর বিভাগীয় পূর্ব কমিটি বিলুপ্তি ও নতুন কমিটির অনুমোদন সম্প্রীতির কালিগঞ্জ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন কালিগঞ্জবাসী কৃষিগুচ্ছের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বাকৃবির, পরীক্ষা আগামী শনিবার

রাসেলস ভাইপার কারনে সাধারণ মানুষ বেশি ভীত হচ্ছে

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
রাসেলস ভাইপার ইন্ডিয়ান সাপ না। এইটা ভারতীয় উপমহাদেশের সাপ, সেই অনাদিকাল থেকে আছে। এই হালকা লাল অঞ্চল রাসেলস ভাইপারের বিচরণের এলাকা। এটার আসল নাম চন্দ্রবোড়া। দেশের পত্রিকায় বিদেশি নাম ব্যবহার মারাত্মক ভীতি ছড়িয়েছে এবং মনে করা হচ্ছে এটা দেশের সাপ নয়।

চন্দ্রবোড়া মুলত বরেন্দ্র অঞ্চলে বেশী দেখা যায়। আর পানিতে কচুরিপানাতে ভেসে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যায়। তাই বরেন্দ্র অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর অববাহিকায় দেখা যায় চন্দ্রবোড়া।

চন্দ্রবোড়া বিষধর, তবে আক্রমনাত্মক না। কোন সাপই সিনেমার মতো আগ বাড়ায়ে আক্রমণ করে না। বিরক্ত হলে সে হিসহিস শব্দ করে তাড়ায়ে দিতে চায় মানুষকে।

চন্দ্রবোড়ার বিষ ম্যানেজ করার জন্য আলাদা স্কিল লাগে। কোন সাপে আক্রান্ত হয়েছেন সেটা বর্ননা করতে পারলে, ডাক্তারের জন্য চিকিৎসা দেয়া সহজ হবে। চন্দ্রবোড়া বিলুপ্ত প্রজাতির সাপ। একে মারবেন না। প্রকৃতির কোন কিছুই আজাইরা না। বেজি গুইসাপ মেরে ফেলাতে নানা ধরনের সাপ বেড়েছে।

চন্দ্রবোড়ার বিষ থেকে ওষুধ তৈরি হয়। এই সাপ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে এই ওষুধগুলো বানানো যাবেনা।

দুনিয়াতে মানুষ শুধু থাকেনা, সাপ খোপ, বাঘ ভাল্লুক, মাকড়সা, আরশোলা সব থাকবে। দুনিয়াতে সব প্রাণেরই দরকার আছে। কোন প্রাণ সৃষ্টিকর্তা আজাইরা বানান নাই।

চন্দ্রবোড়া মুলত ক্ষেতে থাকে। কচুরিপানার মধ্যে থাকে। খালি পায়ে ক্ষেতে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের বদলাতে হবে। কৃষকদের ক্ষেতে কাজ করার সময়ে গামবুট পরতে উৎসাহিত করতে হবে।

সাপের আওয়াজ পেলে সরে আসুন। আমাদের পুর্বপুরুষেরা চন্দ্রবোড়া, গোখড়া, বাঘ কুমিরের সাথে লড়াই করে জঙ্গল কেটে এই ফসলি জমি তৈরি করেছিলো। এক চন্দ্রবোড়া দেখে পুরা জাতি আতংকিত হলে চলবে?

সাপে কাটলে ওই অংশটায় কোন বাধন দেবেন না কাটবেন না, মুখ লাগিয়ে বেহুলার মতো বিষ চুষে নেয়ার চেষ্টা করবেন না। সাপের কামড় খাওয়া ওই অংশটা যেন নড়াচড়া না করে সেই ব্যবস্থা করবেন। আমরা বলি ইমমোবিলাইজ করতে। আক্রান্তকে শান্ত থাকতে বলবেন, আশ্বস্ত করবেন যে সে সুস্থ হয়ে যাবে। কামড়ের জায়গায় প্যান্ট পরা থাকলে কেটে দেবেন প্যান্ট। কামড়ের জায়গার কাছে কোন অলংকার থাকলে খুলে ফেলবেন। আক্রান্ত জায়গা ফুলে যাবে, তাই অলংকার বা প্যান্ট চেপে বসতে পারে ওই জায়গায়। পরিষ্কার পানি দিয়ে হালকা করে আক্রান্ত জায়গা ধুয়ে ফেলবেন, স্যভলন বা ডেটল লাগাবেন না। আক্রান্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

রাসেলস ভাইপার কারনে সাধারণ মানুষ বেশি ভীত হচ্ছে

আপডেট সময় : ০১:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
রাসেলস ভাইপার ইন্ডিয়ান সাপ না। এইটা ভারতীয় উপমহাদেশের সাপ, সেই অনাদিকাল থেকে আছে। এই হালকা লাল অঞ্চল রাসেলস ভাইপারের বিচরণের এলাকা। এটার আসল নাম চন্দ্রবোড়া। দেশের পত্রিকায় বিদেশি নাম ব্যবহার মারাত্মক ভীতি ছড়িয়েছে এবং মনে করা হচ্ছে এটা দেশের সাপ নয়।

চন্দ্রবোড়া মুলত বরেন্দ্র অঞ্চলে বেশী দেখা যায়। আর পানিতে কচুরিপানাতে ভেসে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যায়। তাই বরেন্দ্র অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর অববাহিকায় দেখা যায় চন্দ্রবোড়া।

চন্দ্রবোড়া বিষধর, তবে আক্রমনাত্মক না। কোন সাপই সিনেমার মতো আগ বাড়ায়ে আক্রমণ করে না। বিরক্ত হলে সে হিসহিস শব্দ করে তাড়ায়ে দিতে চায় মানুষকে।

চন্দ্রবোড়ার বিষ ম্যানেজ করার জন্য আলাদা স্কিল লাগে। কোন সাপে আক্রান্ত হয়েছেন সেটা বর্ননা করতে পারলে, ডাক্তারের জন্য চিকিৎসা দেয়া সহজ হবে। চন্দ্রবোড়া বিলুপ্ত প্রজাতির সাপ। একে মারবেন না। প্রকৃতির কোন কিছুই আজাইরা না। বেজি গুইসাপ মেরে ফেলাতে নানা ধরনের সাপ বেড়েছে।

চন্দ্রবোড়ার বিষ থেকে ওষুধ তৈরি হয়। এই সাপ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে এই ওষুধগুলো বানানো যাবেনা।

দুনিয়াতে মানুষ শুধু থাকেনা, সাপ খোপ, বাঘ ভাল্লুক, মাকড়সা, আরশোলা সব থাকবে। দুনিয়াতে সব প্রাণেরই দরকার আছে। কোন প্রাণ সৃষ্টিকর্তা আজাইরা বানান নাই।

চন্দ্রবোড়া মুলত ক্ষেতে থাকে। কচুরিপানার মধ্যে থাকে। খালি পায়ে ক্ষেতে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের বদলাতে হবে। কৃষকদের ক্ষেতে কাজ করার সময়ে গামবুট পরতে উৎসাহিত করতে হবে।

সাপের আওয়াজ পেলে সরে আসুন। আমাদের পুর্বপুরুষেরা চন্দ্রবোড়া, গোখড়া, বাঘ কুমিরের সাথে লড়াই করে জঙ্গল কেটে এই ফসলি জমি তৈরি করেছিলো। এক চন্দ্রবোড়া দেখে পুরা জাতি আতংকিত হলে চলবে?

সাপে কাটলে ওই অংশটায় কোন বাধন দেবেন না কাটবেন না, মুখ লাগিয়ে বেহুলার মতো বিষ চুষে নেয়ার চেষ্টা করবেন না। সাপের কামড় খাওয়া ওই অংশটা যেন নড়াচড়া না করে সেই ব্যবস্থা করবেন। আমরা বলি ইমমোবিলাইজ করতে। আক্রান্তকে শান্ত থাকতে বলবেন, আশ্বস্ত করবেন যে সে সুস্থ হয়ে যাবে। কামড়ের জায়গায় প্যান্ট পরা থাকলে কেটে দেবেন প্যান্ট। কামড়ের জায়গার কাছে কোন অলংকার থাকলে খুলে ফেলবেন। আক্রান্ত জায়গা ফুলে যাবে, তাই অলংকার বা প্যান্ট চেপে বসতে পারে ওই জায়গায়। পরিষ্কার পানি দিয়ে হালকা করে আক্রান্ত জায়গা ধুয়ে ফেলবেন, স্যভলন বা ডেটল লাগাবেন না। আক্রান্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।