ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপির ১১৩ আসনে প্রার্থী বদলে রেকর্ড: শীর্ষ আলোচিত সর্ব মহলে আগৈলঝাড়ায় সুজন সুশাসনের জন্য নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ৬ বছরেরও উদ্বোধন হয়নি মডেল মসজিদ মনিরামপুরে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইফতেখার সেলিম অগ্নি — জনগণের আস্থার প্রতীক তৃণমূলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ঝিনাইদহ-২ আসন শরীকদের ছেড়ে দিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বিএনপি কাঠালিয়ায় বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় গোলাম আজম সৈকত নীলফামারীর ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা রংপুরের গঙ্গাচড়ায় 18 মাস বয়সের শিশুকন্যা আনহা বলাৎকারের শিকার সোনাগাজীর মুন্সি খুরশিদ আলম বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত এনামুল হক এনাম সভাপতি ফেনীতে বিএনপি’র তিন আসনের প্রার্থী ঘোষণা

রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হলের কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪ ১১৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রাবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ছয়টা সোহরাওয়ার্দী হলের গেটে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী কর্মচারি মনিরুল ইসলাম। তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গার্ডের দায়িত্বে আছেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সোহরাওয়ার্দী হলের সহসভাপতি ও ইনিস্টিউট অব এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (আইইআর) বিভাগের আতিকুর রহমান, মাদার বক্স হল ছাত্রলীগ কর্মী ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আরিফিন খান সানি এবং একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ও মতিহার হল ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশসহ আরও কয়েকজন। সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছো।

ভুক্তভোগী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম বলেন, সকালে সাড়ে ছয়টার দিকে আতিকের নেতৃত্বে আকাশ, সানিসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। আমি নাকি নিয়াজ মোর্শেদকে সহযোগিতা করেছি সেজন্য তারা আমাকে হাতে, গালে, মাথায় কিল-ঘুশি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমি বিষয়টি হল প্রোভোস্টকে জানিয়েছি। তারা আমাকে অভিযোগ পত্র দিতে বলেছেন। আমি এর সুষ্টু বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মতিহার হল ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশ বলেন, আমরা সকালে হলে যাই। সেখানে গিয়ে গার্ডকে আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা তার ফোন চেক করে দেখতে পাই সে শিবির, ছাত্রদল ও নিয়াজ মোর্শদকে আমাদের তথ্য পাচার করেছে৷ মারধরের তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি তবে দুই একটা চর-থাপ্পর দেওয়া হয়েছে।

আরেক অভিযুক্ত মাদার বক্স ছাত্রলীগ কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মারধরের ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটাও আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে জানতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর সাথে ফোন কল এবং মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধাক্ষ্য ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, গতকালকের ঘটনার পরে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাতে হলেই অবস্থান করি। এরপর আজ সকালে আতিকের নেতৃত্বে সানি, আকাশসহ বেশ কয়েকজন হলের গার্ড মনিরুল ইসলামকে প্রচন্ড মারধর করে। আজ ছাত্রকে মারছে, কর্মচারীকে মারছে যারা আমাদের হলকে নিরাপত্তা দেয়। কয়েকদিন পর হয়তো আমাদেরও মার খেতে হবে। এই ঘটনায় আমরা ওই কর্মচারীকে অভিযোগ দিতে বলেছি। আজ সন্ধ্যায় আমাদের একটা মিটিং আছে। আমরা দ্রুত একটা তদন্ত কমিটি গঠন করবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, সকালের ঘটনা আমরা জেনেছি। যেহেতু এটি হলের বিষয় তাই হল প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। হল প্রশাসন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল দিবাগত রাতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব গ্রুপ ও সোহরাওয়ার্দী হল সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। তিন ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। সেখানেই নিয়াজ মোর্শেদকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার সন্দেহে সোহরাওয়ার্দী হলের গার্ডকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হলের কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:১৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রাবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ছয়টা সোহরাওয়ার্দী হলের গেটে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী কর্মচারি মনিরুল ইসলাম। তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গার্ডের দায়িত্বে আছেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সোহরাওয়ার্দী হলের সহসভাপতি ও ইনিস্টিউট অব এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (আইইআর) বিভাগের আতিকুর রহমান, মাদার বক্স হল ছাত্রলীগ কর্মী ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আরিফিন খান সানি এবং একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ও মতিহার হল ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশসহ আরও কয়েকজন। সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছো।

ভুক্তভোগী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম বলেন, সকালে সাড়ে ছয়টার দিকে আতিকের নেতৃত্বে আকাশ, সানিসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। আমি নাকি নিয়াজ মোর্শেদকে সহযোগিতা করেছি সেজন্য তারা আমাকে হাতে, গালে, মাথায় কিল-ঘুশি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমি বিষয়টি হল প্রোভোস্টকে জানিয়েছি। তারা আমাকে অভিযোগ পত্র দিতে বলেছেন। আমি এর সুষ্টু বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মতিহার হল ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশ বলেন, আমরা সকালে হলে যাই। সেখানে গিয়ে গার্ডকে আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা তার ফোন চেক করে দেখতে পাই সে শিবির, ছাত্রদল ও নিয়াজ মোর্শদকে আমাদের তথ্য পাচার করেছে৷ মারধরের তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি তবে দুই একটা চর-থাপ্পর দেওয়া হয়েছে।

আরেক অভিযুক্ত মাদার বক্স ছাত্রলীগ কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মারধরের ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটাও আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে জানতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর সাথে ফোন কল এবং মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধাক্ষ্য ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, গতকালকের ঘটনার পরে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাতে হলেই অবস্থান করি। এরপর আজ সকালে আতিকের নেতৃত্বে সানি, আকাশসহ বেশ কয়েকজন হলের গার্ড মনিরুল ইসলামকে প্রচন্ড মারধর করে। আজ ছাত্রকে মারছে, কর্মচারীকে মারছে যারা আমাদের হলকে নিরাপত্তা দেয়। কয়েকদিন পর হয়তো আমাদেরও মার খেতে হবে। এই ঘটনায় আমরা ওই কর্মচারীকে অভিযোগ দিতে বলেছি। আজ সন্ধ্যায় আমাদের একটা মিটিং আছে। আমরা দ্রুত একটা তদন্ত কমিটি গঠন করবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, সকালের ঘটনা আমরা জেনেছি। যেহেতু এটি হলের বিষয় তাই হল প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। হল প্রশাসন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল দিবাগত রাতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব গ্রুপ ও সোহরাওয়ার্দী হল সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। তিন ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। সেখানেই নিয়াজ মোর্শেদকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার সন্দেহে সোহরাওয়ার্দী হলের গার্ডকে মারধরের ঘটনা ঘটে।