ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে ভুটানের রাজা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের চতুর্থ ও শেষ দিনে রানি জেৎসুন পেমাকে নিয়ে কুড়িগ্রাম আসেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক। সেখানে ধরলা নদীর তীরবর্তী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানের জন্য নির্ধারিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রানিসহ ১৪ জন সফরসঙ্গী নিয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতনের পর সড়কপথে দুপুর সাড়ে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউসে পৌঁছান ভুটানের রাজা। সেখানে দুপুরের ভোজ সেরে দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন শেষে সড়কপথে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে নিজ দেশে যান।

এদিকে অঞ্চলটিতে রাজাকে স্বাগত জানাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পুর্ণ করা হয়েছে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, এলাকার বিভিন্ন ম্যুরাল সংস্কার, রঙ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ প্রায় শেষ। প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ, রাস্তা। ভুটানের রাজার সফর ঘিরে এলাকায় বিরাজ করছে সাজসাজ রব।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভুটানকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে ভুটান বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির উদ্যোগ নেয়। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩৩ একর জমি বেজার কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। আরও ৮৬ একর জমির অধিগ্রহণের বন্দোবস্ত চলছে। এখানে মোট ২১১ একর জমির প্রয়োজন হবে।

প্রসঙ্গত, কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে ভুটানের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। ফলে এই পথে পণ্য নিয়ে সহজে যাতায়াত করা যাবে। এ ছাড়া জেলার চিলমারী নৌবন্দরের কার্যক্রম এর সঙ্গে যুক্ত করে এই বিশেষ অঞ্চলকে আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে ভুটানের রাজা

আপডেট সময় : ০৯:৫২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের চতুর্থ ও শেষ দিনে রানি জেৎসুন পেমাকে নিয়ে কুড়িগ্রাম আসেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক। সেখানে ধরলা নদীর তীরবর্তী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানের জন্য নির্ধারিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রানিসহ ১৪ জন সফরসঙ্গী নিয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতনের পর সড়কপথে দুপুর সাড়ে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউসে পৌঁছান ভুটানের রাজা। সেখানে দুপুরের ভোজ সেরে দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন শেষে সড়কপথে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে নিজ দেশে যান।

এদিকে অঞ্চলটিতে রাজাকে স্বাগত জানাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পুর্ণ করা হয়েছে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, এলাকার বিভিন্ন ম্যুরাল সংস্কার, রঙ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ প্রায় শেষ। প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ, রাস্তা। ভুটানের রাজার সফর ঘিরে এলাকায় বিরাজ করছে সাজসাজ রব।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভুটানকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে ভুটান বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির উদ্যোগ নেয়। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩৩ একর জমি বেজার কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। আরও ৮৬ একর জমির অধিগ্রহণের বন্দোবস্ত চলছে। এখানে মোট ২১১ একর জমির প্রয়োজন হবে।

প্রসঙ্গত, কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে ভুটানের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। ফলে এই পথে পণ্য নিয়ে সহজে যাতায়াত করা যাবে। এ ছাড়া জেলার চিলমারী নৌবন্দরের কার্যক্রম এর সঙ্গে যুক্ত করে এই বিশেষ অঞ্চলকে আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।