ঢাকা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাগেরহাটে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

রঙেঢঙে নানা আয়োজনে নববর্ষে বর্ণিল বাকৃবির বৈশাখী চত্বর

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৮২ বার পড়া হয়েছে

বাকৃবি কন্ট্রিবিউটর:- আবহমান বাংলার সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বৈশাখী চত্বরে রঙেঢঙে নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২।রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে.আর. মার্কেট থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওই শোভাযাত্রায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ অংশ নেন। সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি বৈশাখী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।পরে সকাল ৮টায় বাকৃবির বৈশাখী চত্বরে নববর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী ভাষণ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার এবং জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক।

উপাচার্য তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, “আবহমান বাংলার ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। চৈত্র সংক্রান্তি শেষে এই বৈশাখেই নতুন ফসল কাটা এবং গ্রামবাংলায় ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো, ব্যবসায়ীরা হালখাতার আয়োজন করতেন। এগুলো আজ বিলুপ্তির পথে। চৈত্রের খরতাপ শেষে বৈশাখ আসে শান্তির বার্তা নিয়ে। মুঘল সম্রাটদের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতার প্রচলন হয়। ১৪৩২ বঙ্গাব্দ সকলের জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক—এই কামনা করি।”

এছাড়া দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মাঝে ছিলো শিশু কিশোর কাউন্সিল, মহিলা সংঘ, সংগীত সংঘ ও সাহিত্য সংঘের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু কিশোর কাউন্সিল কর্তৃক শিশুদের হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, মহিলা সংঘের বালিশ খেলাসহ নানা আয়োজন।

দুপুরে বৈশাখী চত্বরে জাতীয় উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক বিভিন্ন ইভেন্টের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে কেন্দ্র করে নানান আয়োজন ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পুরো ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও আনন্দঘন। নানা কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ ও আনন্দ ছড়িয়ে দেয়, ফলে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে সৃষ্টি হয় এক উৎসবমুখর ও রঙিন পরিবেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

রঙেঢঙে নানা আয়োজনে নববর্ষে বর্ণিল বাকৃবির বৈশাখী চত্বর

আপডেট সময় : ০২:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

বাকৃবি কন্ট্রিবিউটর:- আবহমান বাংলার সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বৈশাখী চত্বরে রঙেঢঙে নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২।রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে.আর. মার্কেট থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওই শোভাযাত্রায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ অংশ নেন। সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি বৈশাখী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।পরে সকাল ৮টায় বাকৃবির বৈশাখী চত্বরে নববর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী ভাষণ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার এবং জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক।

উপাচার্য তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, “আবহমান বাংলার ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। চৈত্র সংক্রান্তি শেষে এই বৈশাখেই নতুন ফসল কাটা এবং গ্রামবাংলায় ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো, ব্যবসায়ীরা হালখাতার আয়োজন করতেন। এগুলো আজ বিলুপ্তির পথে। চৈত্রের খরতাপ শেষে বৈশাখ আসে শান্তির বার্তা নিয়ে। মুঘল সম্রাটদের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতার প্রচলন হয়। ১৪৩২ বঙ্গাব্দ সকলের জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক—এই কামনা করি।”

এছাড়া দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মাঝে ছিলো শিশু কিশোর কাউন্সিল, মহিলা সংঘ, সংগীত সংঘ ও সাহিত্য সংঘের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু কিশোর কাউন্সিল কর্তৃক শিশুদের হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, মহিলা সংঘের বালিশ খেলাসহ নানা আয়োজন।

দুপুরে বৈশাখী চত্বরে জাতীয় উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক বিভিন্ন ইভেন্টের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে কেন্দ্র করে নানান আয়োজন ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পুরো ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও আনন্দঘন। নানা কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ ও আনন্দ ছড়িয়ে দেয়, ফলে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে সৃষ্টি হয় এক উৎসবমুখর ও রঙিন পরিবেশ।