ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব দুমকীতে পূজা মন্ডপে এনসিপির শুভেচ্ছা বিনিময় বিদায়ের সুরে শ্যামনগরের পূজা মণ্ডপগুলো

যারা পশুর চড়া দাম হাঁকাবে দিন শেষে তাদের মাথায় হাত পড়বে

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:০১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
যারা কোরবানির পশুর চড়া দাম হাঁকাবে দিন শেষে তাদের মাথায় হাত পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাজারে এখন কোরবানির গরুর যে দাম চাওয়া যাচ্ছে, তাতে প্রতিকেজির দাম এক হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছে। তাহলে কোরবানির পশু বাড়তি থেকে লাভ কি? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এই পরিসংখ্যান আপনি কোথায় পেলেন? তখন ওই সাংবাদিক বলেন, যারা বিক্রি করছে এবং যারা কিনছেন তারা জানাচ্ছে। এ সময় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আপনি এতো ডিটেইলসে গেলেন কি পরীক্ষায় বা কোনভাবে আপনি জানতে পারলেন।

এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বাজারে যেকোনো পণ্যের দাম নির্ধারিত হয় চাহিদা এবং সরবরাহের ওপরে। আমার দায়িত্ব হলো প্রয়োজনের তুলনায় সেই সরবরাহ আছে কি না। আমি তো পরিসংখ্যান দিলাম। আরও ২২ লাখ পশু বাড়তি আছে, উদ্বৃত্ত আছে।

তিনি বলেন, আজকে হয়তো কেউ নানাভাবে হ্যাল্ডেলিং করে গরুর দাম বাড়াতে পারে। চড়া দাম হাঁকাতে পার। কিন্তু দিন শেষে ওদের মাথায় হাত পড়বে। কারণ গরু তো যোগান আছে।

তিনি আরও বলেন, যারা কৌশলে বা নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে দাম হাঁকাচ্ছে ওদের মাথায় হাত পড়তে বাধ্য।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব আমার না। দাম নির্ধারণ করবে বাজার। আমরা সাধারণত অর্থনীতির সংজ্ঞায় বুঝি সরবরাহ ও চাহিদার যদি সমন্বয় থাকে সেক্ষেত্রে বাজরই বাজারমূল্য নির্ধারণ করে। আমি কীভাবে বাজার মূল্য নির্ধারণ করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় পশু সরবরাহের ব্যবস্থা বেশি আছে। কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা এক কোটি ৭ লাখ। গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ সব মিলিয়ে। সেখানে আমাদের প্রস্তুত আছে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ। অনেক পশু বাড়তি রয়েছে।

ডিমের দাম নিয়ে করা এক প্রশ্নে উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন তাদের (খামারি) সঙ্গে বসি, তারা একটা অজুহাত দেয় খাদ্যশস্যের দাম বেশি। আমদানি করতে হয়। আমি আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটা বৈঠক করব। তাদের এই অজুহাত কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য না। প্রয়োজন আমরা তাদের সঙ্গে আবার বসে তাদের একটা ডিমের জন্য কত খরচ হয় এবং লাভ কত করতে হয়, তারপর দাম নির্ধারণ করব। এই ব্যাপারে নিশ্চই আমাদের নজরদারি থাকবে, বলেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

যারা পশুর চড়া দাম হাঁকাবে দিন শেষে তাদের মাথায় হাত পড়বে

আপডেট সময় : ০৪:০১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
যারা কোরবানির পশুর চড়া দাম হাঁকাবে দিন শেষে তাদের মাথায় হাত পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাজারে এখন কোরবানির গরুর যে দাম চাওয়া যাচ্ছে, তাতে প্রতিকেজির দাম এক হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছে। তাহলে কোরবানির পশু বাড়তি থেকে লাভ কি? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এই পরিসংখ্যান আপনি কোথায় পেলেন? তখন ওই সাংবাদিক বলেন, যারা বিক্রি করছে এবং যারা কিনছেন তারা জানাচ্ছে। এ সময় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আপনি এতো ডিটেইলসে গেলেন কি পরীক্ষায় বা কোনভাবে আপনি জানতে পারলেন।

এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বাজারে যেকোনো পণ্যের দাম নির্ধারিত হয় চাহিদা এবং সরবরাহের ওপরে। আমার দায়িত্ব হলো প্রয়োজনের তুলনায় সেই সরবরাহ আছে কি না। আমি তো পরিসংখ্যান দিলাম। আরও ২২ লাখ পশু বাড়তি আছে, উদ্বৃত্ত আছে।

তিনি বলেন, আজকে হয়তো কেউ নানাভাবে হ্যাল্ডেলিং করে গরুর দাম বাড়াতে পারে। চড়া দাম হাঁকাতে পার। কিন্তু দিন শেষে ওদের মাথায় হাত পড়বে। কারণ গরু তো যোগান আছে।

তিনি আরও বলেন, যারা কৌশলে বা নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে দাম হাঁকাচ্ছে ওদের মাথায় হাত পড়তে বাধ্য।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব আমার না। দাম নির্ধারণ করবে বাজার। আমরা সাধারণত অর্থনীতির সংজ্ঞায় বুঝি সরবরাহ ও চাহিদার যদি সমন্বয় থাকে সেক্ষেত্রে বাজরই বাজারমূল্য নির্ধারণ করে। আমি কীভাবে বাজার মূল্য নির্ধারণ করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় পশু সরবরাহের ব্যবস্থা বেশি আছে। কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা এক কোটি ৭ লাখ। গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ সব মিলিয়ে। সেখানে আমাদের প্রস্তুত আছে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ। অনেক পশু বাড়তি রয়েছে।

ডিমের দাম নিয়ে করা এক প্রশ্নে উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন তাদের (খামারি) সঙ্গে বসি, তারা একটা অজুহাত দেয় খাদ্যশস্যের দাম বেশি। আমদানি করতে হয়। আমি আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটা বৈঠক করব। তাদের এই অজুহাত কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য না। প্রয়োজন আমরা তাদের সঙ্গে আবার বসে তাদের একটা ডিমের জন্য কত খরচ হয় এবং লাভ কত করতে হয়, তারপর দাম নির্ধারণ করব। এই ব্যাপারে নিশ্চই আমাদের নজরদারি থাকবে, বলেন তিনি।