ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোংলার ওসি আজিজুল ইসলামকে অপসারণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটে ধর্ষন চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা রেকর্ডভুক্ত না করে উল্টো ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ তুলে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)’র অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ভুক্তভোগী মোংলা উপজেলাবাসির ব্যানারে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এসময় ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার, নাসিমা বেগমসহ অন্যরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, ন্যায় বিচারের জন্য মানুষ পুলিশের কাছে যায়। কিন্তু ধর্ষন চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা না নিয়ে মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম দুর্বৃত্তদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

গত ০৯ মার্চ, ২০২৪ বাড়িতে কেউ না থাকায় পার্শ্ববর্তী মোঃ জলিল মাতুব্বর (৪৫) ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে আমার শরীরের গোপন স্থানে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় জলিল মাতুব্বর। ঘটনার আধা ঘন্টা পরেই জলিল মাতুব্বরের ছেলে আমির মাতুব্বরসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে বে-আইনি ভাবে প্রবেশ করে। তারা ঘরের চালসহ ঘরের ভিতরের মালামাল ভাংচুর করে, আমির মাতুব্বর ও তার সঙ্গীয়রা। তারা আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এরপর পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে মোংলা থানার এ্সআই রমজানসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাকে উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মোংলা ২৫০ বেড শয্যা হাসপাতালে প্রেরন করে। সেদিনই ধর্ষন চেষ্টা ও হামলার মামলা নিয়ে মোংলা থানায় যায় আমার পরিবারের সদস্যরা। তবে মামলা না নিয়ে থানা থেকে বের করে দেন মোংলা থানার (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম। পরে একাধিকবার মামলার জন্য মোংলা থানায় গেলেও (ওসি) বিষয়টি আমলে নেয়নি।

এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মহোদয়ের শরনাপর্ণ হই। ইহাতে মোংলা থানার (ওসি) ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে বলে ‘তুই কতো মামলা খেতে পারিস, আমি ডোজে ডোজে তোকে দিব।’ পরে ৩১ মার্চ খুলনা সিটি মেয়রের লিখিত সুপারিশ নিয়ে গেলে অভিযোগ রাখে পুলিশ। তার পরে দেড় মাস অতিক্রম হলেও মামলাটি নথিভুক্ত করেনি পুলিশ। এখন আমাদের মামলা না নিয়ে মোংলা থানার (ওসি) আজিজুল ইসলামের হস্তক্ষেপে আমি ও আমার স্বামী মিজানুর রহমান, বোন পারভিন বেগম, ভগ্নিপতি কাওসার আকন, খালাতো ভাই শিমুল ও পারভেজকে জড়িয়ে আদালতে মানব পাচারসহ ৪টি মিথ্যা দায়ের করেন। আমরা বাড়িতে যেতে পারি না অত্যন্ত অসহায় জীবনযাপন করছি।
এই (ওসি) আজিজের অত্যাচার ও মামলার ভয়ে ২১টি পরিবার বাড়িতে ঠিক ভাবে বসবাস করতে পারছেনা। সে যদি আমাদের মোংলায় থাকে তাহলে আমাদের ২১টি পরিবার মাটির সাথে মিশে যাবে। তারা মোংলা থানার (ওসি) কেএম আজিুল ইসলামের দ্রুত অপসারন দাবি করেন।

এছাড়া মোংলা থানার (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম নানা অনিয়ম, দূর্নীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মোংলার ওসি আজিজুল ইসলামকে অপসারণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৫:৪০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটে ধর্ষন চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা রেকর্ডভুক্ত না করে উল্টো ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ তুলে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)’র অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ভুক্তভোগী মোংলা উপজেলাবাসির ব্যানারে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এসময় ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার, নাসিমা বেগমসহ অন্যরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, ন্যায় বিচারের জন্য মানুষ পুলিশের কাছে যায়। কিন্তু ধর্ষন চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা না নিয়ে মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম দুর্বৃত্তদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

গত ০৯ মার্চ, ২০২৪ বাড়িতে কেউ না থাকায় পার্শ্ববর্তী মোঃ জলিল মাতুব্বর (৪৫) ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে আমার শরীরের গোপন স্থানে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় জলিল মাতুব্বর। ঘটনার আধা ঘন্টা পরেই জলিল মাতুব্বরের ছেলে আমির মাতুব্বরসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে বে-আইনি ভাবে প্রবেশ করে। তারা ঘরের চালসহ ঘরের ভিতরের মালামাল ভাংচুর করে, আমির মাতুব্বর ও তার সঙ্গীয়রা। তারা আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এরপর পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে মোংলা থানার এ্সআই রমজানসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাকে উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মোংলা ২৫০ বেড শয্যা হাসপাতালে প্রেরন করে। সেদিনই ধর্ষন চেষ্টা ও হামলার মামলা নিয়ে মোংলা থানায় যায় আমার পরিবারের সদস্যরা। তবে মামলা না নিয়ে থানা থেকে বের করে দেন মোংলা থানার (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম। পরে একাধিকবার মামলার জন্য মোংলা থানায় গেলেও (ওসি) বিষয়টি আমলে নেয়নি।

এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মহোদয়ের শরনাপর্ণ হই। ইহাতে মোংলা থানার (ওসি) ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে বলে ‘তুই কতো মামলা খেতে পারিস, আমি ডোজে ডোজে তোকে দিব।’ পরে ৩১ মার্চ খুলনা সিটি মেয়রের লিখিত সুপারিশ নিয়ে গেলে অভিযোগ রাখে পুলিশ। তার পরে দেড় মাস অতিক্রম হলেও মামলাটি নথিভুক্ত করেনি পুলিশ। এখন আমাদের মামলা না নিয়ে মোংলা থানার (ওসি) আজিজুল ইসলামের হস্তক্ষেপে আমি ও আমার স্বামী মিজানুর রহমান, বোন পারভিন বেগম, ভগ্নিপতি কাওসার আকন, খালাতো ভাই শিমুল ও পারভেজকে জড়িয়ে আদালতে মানব পাচারসহ ৪টি মিথ্যা দায়ের করেন। আমরা বাড়িতে যেতে পারি না অত্যন্ত অসহায় জীবনযাপন করছি।
এই (ওসি) আজিজের অত্যাচার ও মামলার ভয়ে ২১টি পরিবার বাড়িতে ঠিক ভাবে বসবাস করতে পারছেনা। সে যদি আমাদের মোংলায় থাকে তাহলে আমাদের ২১টি পরিবার মাটির সাথে মিশে যাবে। তারা মোংলা থানার (ওসি) কেএম আজিুল ইসলামের দ্রুত অপসারন দাবি করেন।

এছাড়া মোংলা থানার (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম নানা অনিয়ম, দূর্নীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।