ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এলাকার প্রভাবশালী নেতার কারণে বলি হতে যাচ্ছে নবদম্পতির নতুন জীবন মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিলের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল  সাতক্ষীরায় এক নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, আদালতের নির্দেশে সদর থানায় মামলা জীবননগর থানাধীন শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্প কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার গ্রেফতার-০১জন চাঞ্চল্যকর অপহরণ পলাতক আসামী গ্রেফতার: ভিকটিম উদ্ধার রাণীশংকৈলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শাপলা রানীর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরী হয়ায় পরীক্ষা দেওয়া হলো না ঝিনাইদহে বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার পেলেন ৮’শত কৃষক জাতীয়তাবাদী তরুণদল রংপুর বিভাগীয় পূর্ব কমিটি বিলুপ্তি ও নতুন কমিটির অনুমোদন সম্প্রীতির কালিগঞ্জ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন কালিগঞ্জবাসী কৃষিগুচ্ছের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বাকৃবির, পরীক্ষা আগামী শনিবার

মুম্বাইয়ের কলেজে জিন্স ও টি-শার্ট নিষিদ্ধ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

ভারতের মুম্বাইয়ের চেম্বুর এলাকার আচার্য অ্যান্ড মারাঠে কলেজে ছেঁড়া জিন্স ও টি-শার্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পরিবর্তে নতুন একটি ‘ড্রেস কোড’ জারি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর হিজাবসহ বেশ কয়েকটি পোশাক পরিধানে নিষেধাজ্ঞা দেয় মুম্বাইয়ের এই কলেজ। পরে সেই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদন করেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন মুম্বাই হাইকোর্ট।

এরপর কলেজ থেকে গত ২৭ জুন ‘ড্রেস কোড ও অন্যান্য নিয়ম’ শীর্ষক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ‘ছেঁড়া’ জিন্স, টি-শার্ট, খোলামেলা পোশাক ও জার্সি পরে কলেজে আসা যাবে না।

কলেজের অধ্যক্ষ ড. বিদ্যাগৌরী লেলে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে থাকাকালীন আনুষ্ঠানিক ও শালীন পোশাক পরতে হবে। তারা হাফ বা ফুল শার্ট ও ট্রাউজার পরতে পারেন। মেয়েরা ভারতীয় বা পশ্চিমা যেকোনো পোশাক পরতে পারেন। তবে শিক্ষার্থীরা এমন কোনো পোশাক পরবে না, যা ধর্ম বা সাংস্কৃতিক বৈষম্য দেখায়।’

আচার্য অ্যান্ড মারাঠে কলেজের এই ড্রেস কোডের ব্যাপারে গোভান্দি সিটিজেন অ্যাসোসিয়েশনের আতিক খান বলেন, ‘গত বছর তারা হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল। এই বছর তারা জিন্স ও টি-শার্ট নিষিদ্ধ করেছে, যা শুধুমাত্র কলেজগামী যুবক-যুবতীরাই নয় বরং ধর্ম ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সবাই পরেন। আমরা বুঝতে পারছি না, তারা এ ধরনের ‘অবাস্তব’ ড্রেস কোড এনে শিক্ষার্থীদের ওপর কী চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।’

তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের করপোরেট ওয়ার্ল্ডের জন্য প্রস্তুত করার জন্যই এই নিয়ম।

অধ্যক্ষ ড. লেলের ভাষ্যমতে, ‘আমরা চাই শিক্ষার্থীরা শালীন পোশাক পরুক। আমরা কোনো ইউনিফর্ম পরতে বলছি না। তবে তাদের ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় বা পশ্চিমা পোশাক পরতে বলেছি। সর্বোপরি, চাকরি করতে গেলে তাদের এমন পোশাকই পরতে হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মুম্বাইয়ের কলেজে জিন্স ও টি-শার্ট নিষিদ্ধ

আপডেট সময় : ০১:২৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

ভারতের মুম্বাইয়ের চেম্বুর এলাকার আচার্য অ্যান্ড মারাঠে কলেজে ছেঁড়া জিন্স ও টি-শার্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পরিবর্তে নতুন একটি ‘ড্রেস কোড’ জারি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর হিজাবসহ বেশ কয়েকটি পোশাক পরিধানে নিষেধাজ্ঞা দেয় মুম্বাইয়ের এই কলেজ। পরে সেই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদন করেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন মুম্বাই হাইকোর্ট।

এরপর কলেজ থেকে গত ২৭ জুন ‘ড্রেস কোড ও অন্যান্য নিয়ম’ শীর্ষক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ‘ছেঁড়া’ জিন্স, টি-শার্ট, খোলামেলা পোশাক ও জার্সি পরে কলেজে আসা যাবে না।

কলেজের অধ্যক্ষ ড. বিদ্যাগৌরী লেলে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে থাকাকালীন আনুষ্ঠানিক ও শালীন পোশাক পরতে হবে। তারা হাফ বা ফুল শার্ট ও ট্রাউজার পরতে পারেন। মেয়েরা ভারতীয় বা পশ্চিমা যেকোনো পোশাক পরতে পারেন। তবে শিক্ষার্থীরা এমন কোনো পোশাক পরবে না, যা ধর্ম বা সাংস্কৃতিক বৈষম্য দেখায়।’

আচার্য অ্যান্ড মারাঠে কলেজের এই ড্রেস কোডের ব্যাপারে গোভান্দি সিটিজেন অ্যাসোসিয়েশনের আতিক খান বলেন, ‘গত বছর তারা হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল। এই বছর তারা জিন্স ও টি-শার্ট নিষিদ্ধ করেছে, যা শুধুমাত্র কলেজগামী যুবক-যুবতীরাই নয় বরং ধর্ম ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সবাই পরেন। আমরা বুঝতে পারছি না, তারা এ ধরনের ‘অবাস্তব’ ড্রেস কোড এনে শিক্ষার্থীদের ওপর কী চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।’

তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের করপোরেট ওয়ার্ল্ডের জন্য প্রস্তুত করার জন্যই এই নিয়ম।

অধ্যক্ষ ড. লেলের ভাষ্যমতে, ‘আমরা চাই শিক্ষার্থীরা শালীন পোশাক পরুক। আমরা কোনো ইউনিফর্ম পরতে বলছি না। তবে তাদের ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় বা পশ্চিমা পোশাক পরতে বলেছি। সর্বোপরি, চাকরি করতে গেলে তাদের এমন পোশাকই পরতে হবে।’