ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কালীগঞ্জে শিশু গনধর্ষণে কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য আটক শায়েস্তাগন্জ উপজেলায় সংসদ সদস্য প্রার্থী কাজী মহসিন আহমেদে গণসংযোগ সাতক্ষীরা দেবহাটায় শিক্ষক ও আয়া অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় আটক শ্যামনগরে যুবদলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত রাউজানে সনাতনী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিদ্যার্থী বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ১১০ জন সদস্য এক কণ্ঠে শপথ নিলেন পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার জন্য সাপলেজার কৃতি সন্তান জেরিন তাসনিম অদিতী মেডিকেল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ন সরকার উৎখাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলকারী গ্রেপ্তার-৮ আনসার-সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে গাজা,নগদ অর্থ উদ্ধার, আটক-১ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১১ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

মাদারগঞ্জে মহিলা কলেজে এখনো বহাল ২৪-এর ছাত্র আন্দোলন বিরোধী সহকারী অধ্যাপক

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:২৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি:-

জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার মির্জা কাশেম নুরন্নাহার মহিলা কলেজে বহাল রয়েছেন ছাত্র আন্দোলনবিরোধী হিসেবে পরিচিত সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু সায়েম। জানা গেছে, তিনি একই উপজেলার ২নং কড়ইচূড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হিসেবে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় রয়েছেন।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন। এমনকি মাদারগঞ্জে ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচির বিপরীতে তিনি লাঠি মিছিলে অংশগ্রহণ করেন এবং সরকারপন্থী স্লোগানে নেতৃত্ব দেন। কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি শুধুমাত্র রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বেই সীমাবদ্ধ থাকেননি; বরং ছাত্রীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ ঠেকাতে মানসিকভাবে হয়রানি ও লাঞ্ছনার ঘটনাও ঘটিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, মোহাম্মদ আবু সায়েম কলেজে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত। একইসাথে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলোচিত এমপি মির্জা আজমের ঘনিষ্ঠ এবং ‘গুপ্ত সহকারী’ হিসেবেও পরিচিত বলে দাবি করেছেন কলেজের একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি নিজেকে উপাধ্যক্ষ হিসেবে পদোন্নতি লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এর জন্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কলেজে বরাদ্দকৃত বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তার নিজ এলাকা বিলেতটঙ্গীতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অসহায় পরিবারগুলোর জমি দখল ও সম্পদ আত্মসাতের মত অভিযোগেও জড়িত।

এ বিষয়ে মাদারগঞ্জের সচেতন মহল ও শিক্ষার্থীদের দাবি, একজন বিতর্কিত ও আন্দোলনবিরোধী ব্যক্তিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে দায়িত্ব দেয়া মানেই ন্যায়বিচার, শিক্ষার পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে অস্বীকার করা। তাই মোহাম্মদ আবু সায়েমের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মাদারগঞ্জে মহিলা কলেজে এখনো বহাল ২৪-এর ছাত্র আন্দোলন বিরোধী সহকারী অধ্যাপক

আপডেট সময় : ০৯:২৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি:-

জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার মির্জা কাশেম নুরন্নাহার মহিলা কলেজে বহাল রয়েছেন ছাত্র আন্দোলনবিরোধী হিসেবে পরিচিত সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু সায়েম। জানা গেছে, তিনি একই উপজেলার ২নং কড়ইচূড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হিসেবে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় রয়েছেন।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন। এমনকি মাদারগঞ্জে ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচির বিপরীতে তিনি লাঠি মিছিলে অংশগ্রহণ করেন এবং সরকারপন্থী স্লোগানে নেতৃত্ব দেন। কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি শুধুমাত্র রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বেই সীমাবদ্ধ থাকেননি; বরং ছাত্রীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ ঠেকাতে মানসিকভাবে হয়রানি ও লাঞ্ছনার ঘটনাও ঘটিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, মোহাম্মদ আবু সায়েম কলেজে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত। একইসাথে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলোচিত এমপি মির্জা আজমের ঘনিষ্ঠ এবং ‘গুপ্ত সহকারী’ হিসেবেও পরিচিত বলে দাবি করেছেন কলেজের একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি নিজেকে উপাধ্যক্ষ হিসেবে পদোন্নতি লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এর জন্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কলেজে বরাদ্দকৃত বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তার নিজ এলাকা বিলেতটঙ্গীতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অসহায় পরিবারগুলোর জমি দখল ও সম্পদ আত্মসাতের মত অভিযোগেও জড়িত।

এ বিষয়ে মাদারগঞ্জের সচেতন মহল ও শিক্ষার্থীদের দাবি, একজন বিতর্কিত ও আন্দোলনবিরোধী ব্যক্তিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে দায়িত্ব দেয়া মানেই ন্যায়বিচার, শিক্ষার পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে অস্বীকার করা। তাই মোহাম্মদ আবু সায়েমের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।