ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

মাদারগঞ্জে কালোবাজারে বিক্রি’র সময় ভিজিএফের ৫৮ বস্তা চাল জব্দ 

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:১২:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

শাকিল আহমেদ,জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের মাদারগঞ্জে ভিজিএফ এর ৫৮ বস্তা চাল জব্দ করেছে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।  শনিবার রাত আনুমানিক ১২ টার সময় উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর পাকা রাস্তার মোড় থেকে মাহিন্দ্র গাড়ী সহ ৫৮ বস্তা ভিজিএফ এর  চাল আটক করে জনসাধারণ।  ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে গাড়ীসহ ৫৮ বস্তা ভিজিএফ এর চাল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।  এ ঘটনায় জড়িতরা পলাতক রয়েছে। 

যে বাড়ি থেকে চাল গুলো নিয়ে যায় সে বাড়ী সূত্রে জানা গেছে ভিজিএফ এর চাল গুলো রেখেছিল মোশারফ। আমরা বাড়ীতে ছিলাম অনেক রাতে তারা চাল নিয়ে যায়।  

 ডাইভার সিহাব  জানান আমাকে অন্য কথা বলে নিয়ে আসছিল এসে দেখি  ভিজিএফ চাল,  ছিল  মোশাররফ হোসেনের এবং বিক্রি করে আলমগীর এর কাছে ভেলামারী এলাকায় নিয়ে যাইতে বলছিল । পথের মধ্যে  জনসাধারণের সন্দেহ হলে গাড়ী আটকিয়ে দেয় এবং পুলিশ এসে নিয়ে যায়। মোশারফ হোসেন এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কল ধরেন নি। উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর সোনারো পাড়ার কুহিল মন্ডলের ছেলে মোশাররফ হোসেন।  সে বর্তমানে ৩ নং গুনারীতলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করছেন।  

 এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ঠান্ডু মিয়ার সাথে মোবাইলে  যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কল ধরেনি। 

ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সাজু পারভেজ এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে বলেন  আমি পরে কথা বলছি বলে লাইন কেটে দেন।  বার বার ফোন দিলেও ধরেন নি তিনি।   মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি তদন্ত ফিরোজ উদ্দিন জানান  জনসাধারণ কালোবাজারি চাল আটক করছে আমরা গিয়ে থানায় নিয়ে আসি এবং এ ঘটনায় তৎখনাত  জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি,  চাল জব্দের পর একটি জিডি হয়েছে।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত জানান চাল জব্দ করা হয়েছে তবে এইটা যে সরকারি চাল, বস্তার কোন ল্যাগো নেই  তার কোন প্রমাণ নেই।  অভিযোগকারীরা প্রমান করতে পারলে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মাদারগঞ্জে কালোবাজারে বিক্রি’র সময় ভিজিএফের ৫৮ বস্তা চাল জব্দ 

আপডেট সময় : ০৯:১২:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

শাকিল আহমেদ,জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের মাদারগঞ্জে ভিজিএফ এর ৫৮ বস্তা চাল জব্দ করেছে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।  শনিবার রাত আনুমানিক ১২ টার সময় উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর পাকা রাস্তার মোড় থেকে মাহিন্দ্র গাড়ী সহ ৫৮ বস্তা ভিজিএফ এর  চাল আটক করে জনসাধারণ।  ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে গাড়ীসহ ৫৮ বস্তা ভিজিএফ এর চাল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।  এ ঘটনায় জড়িতরা পলাতক রয়েছে। 

যে বাড়ি থেকে চাল গুলো নিয়ে যায় সে বাড়ী সূত্রে জানা গেছে ভিজিএফ এর চাল গুলো রেখেছিল মোশারফ। আমরা বাড়ীতে ছিলাম অনেক রাতে তারা চাল নিয়ে যায়।  

 ডাইভার সিহাব  জানান আমাকে অন্য কথা বলে নিয়ে আসছিল এসে দেখি  ভিজিএফ চাল,  ছিল  মোশাররফ হোসেনের এবং বিক্রি করে আলমগীর এর কাছে ভেলামারী এলাকায় নিয়ে যাইতে বলছিল । পথের মধ্যে  জনসাধারণের সন্দেহ হলে গাড়ী আটকিয়ে দেয় এবং পুলিশ এসে নিয়ে যায়। মোশারফ হোসেন এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কল ধরেন নি। উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর সোনারো পাড়ার কুহিল মন্ডলের ছেলে মোশাররফ হোসেন।  সে বর্তমানে ৩ নং গুনারীতলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করছেন।  

 এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ঠান্ডু মিয়ার সাথে মোবাইলে  যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কল ধরেনি। 

ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সাজু পারভেজ এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে বলেন  আমি পরে কথা বলছি বলে লাইন কেটে দেন।  বার বার ফোন দিলেও ধরেন নি তিনি।   মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি তদন্ত ফিরোজ উদ্দিন জানান  জনসাধারণ কালোবাজারি চাল আটক করছে আমরা গিয়ে থানায় নিয়ে আসি এবং এ ঘটনায় তৎখনাত  জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি,  চাল জব্দের পর একটি জিডি হয়েছে।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত জানান চাল জব্দ করা হয়েছে তবে এইটা যে সরকারি চাল, বস্তার কোন ল্যাগো নেই  তার কোন প্রমাণ নেই।  অভিযোগকারীরা প্রমান করতে পারলে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।