ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুতুবদিয়ায় পূঁজা মণ্ডপ পরিদর্শন করে গেলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহাপুর আবু হুরায়রা (রাঃ) মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠন পূ’জা’র ছুটিতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ধর্মীয় সহনশীলতা ছাড়া রাষ্ট্রের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করার সম্ভব নয়’চেয়ারম্যান মঞ্জু আলমডাঙ্গায় পূজামণ্ডপে শামসুজ্জামান দুদু দুমকিতে মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রস্তুতিমূলক সভা  নিবন্ধন ব্যতীত সার মজুদ রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা গাজীরহাট পূজা মন্ডপ পরিদর্শক ও মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চুরির অভিযোগে কিশোরকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল বাকৃবিতে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মাছ শিকারেই ঈদ আনন্দ উপকূলীয় জেলেদের

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ

ঈদ মানে খুশি। এ খুশি দিনেও কাজ করতে হয় উপকূলে থাকা জেলেদের।তাদের ঈদ আনন্দ মনে থাকলেও জীবিকার তাগিদে তারা কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম। তারা রোদ বৃষ্টি, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর নদীতে মাছ শিকার করছে।মাছ শিকারেই যেন ঈদের আনন্দ তাদের।
আজ ঈদের দিন, এক শ্রেণীর মানুষ ঈদের খুশিতে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাওয়া আসা করছে, দেখাশোনা করছে কোলাকুলি করছে।
অন্যদিকে অধিকাংশ জেলেরা নদীতে সারিবদ্ধ হয়ে মাছ শিকার করছে। এখানেই যেন তাদের ঈদ আনন্দ।পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দের সময় না কাটিয়ে নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েছেন।
উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটা। এখানকার মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা, দ্বিতীয় পেশা কৃষি কাজ। এখানকার নিম্ন শিক্ষিতদের সঙ্গে শিক্ষিত বেকার যুবকেরাও জীবিকা নির্বাহ করে। নগদ টাকা পাওয়ায় প্রতিদিনই তারা ঝুঁকছে এ পেশায়। সাগর ও নদীবেষ্টিত এ অঞ্চলের বেকার যুবকেরা পূর্ব পুরুষের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহের পথ বেছে নিয়েছে। ঈদুল ফিতরের দিনও তারা এ কাজে নিয়োজিত।
গভীর বঙ্গোপসাগরের পাশাপাশি নদ-নদীতেও দিনরাত বিরামহীন কর্মযজ্ঞ। এ বিরামহীন এ কাজ ঈদের দিনেও থেমে নেই। প্রতিদিনের মতো ভোর রাতে নদীতে জাল ফেলে আবার সময় মতো জাল টানতে হবে। তাই ঈদের নামাজ শেষে বিষখালী ও বলেশ্বর নদে জাল টানতে যান কবির হোসেন, আ. জব্বার, সোহরাব ভাণ্ডারিসহ অনেক জেলে।
তারা বলেন, আমাদের কোনো বিশেষ দিন নেই। প্রতিদিনই আমাদের কাছে সমান। ঈদ ছাড়া যেমন আমাদের দিন কাটে, ঈদের দিনও ঠিক এমনভাবেই কাটে। প্রতিদিনের মতো ভোর রাতে নদীতে জাল ফেলে আসছি ঈদের নামাজটা পড়ে আবার জাল টানতে যাচ্ছি।আ. জব্বার বলেন, ঈদের দিন সকালে বাবা-মায়ের কবর জেয়ারত করে, ঈদের নামাজ শেষ করে নদীতে জাল টানার জন্য রওয়ানা হয়েছি। যদি কয়েকটা মাছ পাই তা বিক্রি করে পোলাপাইনের জন্য নতুন জামা কিনবো।একই গ্রামের নুরুল আলম বলেন, বংশপরম্পরায় এ কাজ করছি। আমরা এ পেশা ছাড়া আর কোনো কাজ শিখিনি। তিনি মুঠোফোনে বলেন, ভোর রাতেই নদীতে আইছি, এখন পর্যন্ত বাড়িতে যাইতে পারি নাই, ঈদের নামাজও পড়তে পারি নাই। এটাই আমাদের ঈদ‌।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, পাথরঘাটে অসংখ্য জেলে রয়েছে তাদের মূল পেশা হচ্ছে মাছ শিকার। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, সন্ধ্যা হয়ে সকাল পর্যন্ত কর্মব্যস্ত থাকতে হয় এসব জেলেদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মাছ শিকারেই ঈদ আনন্দ উপকূলীয় জেলেদের

আপডেট সময় : ১২:৪১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ

ঈদ মানে খুশি। এ খুশি দিনেও কাজ করতে হয় উপকূলে থাকা জেলেদের।তাদের ঈদ আনন্দ মনে থাকলেও জীবিকার তাগিদে তারা কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম। তারা রোদ বৃষ্টি, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর নদীতে মাছ শিকার করছে।মাছ শিকারেই যেন ঈদের আনন্দ তাদের।
আজ ঈদের দিন, এক শ্রেণীর মানুষ ঈদের খুশিতে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাওয়া আসা করছে, দেখাশোনা করছে কোলাকুলি করছে।
অন্যদিকে অধিকাংশ জেলেরা নদীতে সারিবদ্ধ হয়ে মাছ শিকার করছে। এখানেই যেন তাদের ঈদ আনন্দ।পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দের সময় না কাটিয়ে নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েছেন।
উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটা। এখানকার মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা, দ্বিতীয় পেশা কৃষি কাজ। এখানকার নিম্ন শিক্ষিতদের সঙ্গে শিক্ষিত বেকার যুবকেরাও জীবিকা নির্বাহ করে। নগদ টাকা পাওয়ায় প্রতিদিনই তারা ঝুঁকছে এ পেশায়। সাগর ও নদীবেষ্টিত এ অঞ্চলের বেকার যুবকেরা পূর্ব পুরুষের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহের পথ বেছে নিয়েছে। ঈদুল ফিতরের দিনও তারা এ কাজে নিয়োজিত।
গভীর বঙ্গোপসাগরের পাশাপাশি নদ-নদীতেও দিনরাত বিরামহীন কর্মযজ্ঞ। এ বিরামহীন এ কাজ ঈদের দিনেও থেমে নেই। প্রতিদিনের মতো ভোর রাতে নদীতে জাল ফেলে আবার সময় মতো জাল টানতে হবে। তাই ঈদের নামাজ শেষে বিষখালী ও বলেশ্বর নদে জাল টানতে যান কবির হোসেন, আ. জব্বার, সোহরাব ভাণ্ডারিসহ অনেক জেলে।
তারা বলেন, আমাদের কোনো বিশেষ দিন নেই। প্রতিদিনই আমাদের কাছে সমান। ঈদ ছাড়া যেমন আমাদের দিন কাটে, ঈদের দিনও ঠিক এমনভাবেই কাটে। প্রতিদিনের মতো ভোর রাতে নদীতে জাল ফেলে আসছি ঈদের নামাজটা পড়ে আবার জাল টানতে যাচ্ছি।আ. জব্বার বলেন, ঈদের দিন সকালে বাবা-মায়ের কবর জেয়ারত করে, ঈদের নামাজ শেষ করে নদীতে জাল টানার জন্য রওয়ানা হয়েছি। যদি কয়েকটা মাছ পাই তা বিক্রি করে পোলাপাইনের জন্য নতুন জামা কিনবো।একই গ্রামের নুরুল আলম বলেন, বংশপরম্পরায় এ কাজ করছি। আমরা এ পেশা ছাড়া আর কোনো কাজ শিখিনি। তিনি মুঠোফোনে বলেন, ভোর রাতেই নদীতে আইছি, এখন পর্যন্ত বাড়িতে যাইতে পারি নাই, ঈদের নামাজও পড়তে পারি নাই। এটাই আমাদের ঈদ‌।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, পাথরঘাটে অসংখ্য জেলে রয়েছে তাদের মূল পেশা হচ্ছে মাছ শিকার। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, সন্ধ্যা হয়ে সকাল পর্যন্ত কর্মব্যস্ত থাকতে হয় এসব জেলেদের।