ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জের ছাতকে কানাডা প্রবাসীর স্ত্রীর উপর সন্ত্রাসী হামলা ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ভাড়া বাড়ি থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার মনিরামপুরের ঢাকুরিয়া কলেজে প্রথম বর্ষের ক্লাস উদ্বোধন বাংলাদেশে আসছেন হানিয়া আমির রোহিঙ্গা সুন্দরী তৈয়বার মালয়েশিয়ায় ‘বিয়ে বাণিজ্য’ নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার ১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন সাবেক ভিপি নুর কুতুবদিয়ায় জলদস্যু,মাদক ও সন্ত্রাস দমনে থানা, কোস্ট গার্ড এবং মৎস্য অফিসের যৌথ সচেতনতামূলক সভা তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত

মনিরামপুরের ঢাকুরিয়া কলেজে প্রথম বর্ষের ক্লাস উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক,ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর:যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া কলেজে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নতুন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় প্রথম বর্ষের উদ্বোধনী ক্লাস।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, মনিরামপুর থানা আমীর ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ বাবু তাপস কুমার কুন্ডু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক এসএম খবিরুল ইসলাম, মনিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ জাকির হোসেনসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন—শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, ভদ্রতা ও শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব রাখতে হবে। নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণ এবং সৎ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী সমাজে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

১৯৯৯ সালে এক অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে ঢাকুরিয়া কলেজের হাল ধরেন বাবু তাপস কুমার কুন্ডু। সীমিত সুযোগ-সুবিধা, নানা প্রতিকূলতা আর আর্থিক টানাপোড়েনকে পাশে ঠেলে তিনি শুরু করেন নতুন শিক্ষালোক গড়ার চ্যালেঞ্জ। অনেকেই তখন সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন—গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে একটি কলেজকে টিকিয়ে রাখা আদৌ সম্ভব হবে কি না।

কিন্তু দুই যুগ পর সেই প্রশ্নের জবাব মিলেছে বাস্তবতায়। আজ ঢাকুরিয়া কলেজ শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের জন্য আশা ও স্বপ্নের প্রতীক। এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা অধ্যক্ষ বাবু তাপস কুমার কুন্ডুর দূরদর্শী নেতৃত্ব, কঠোর পরিশ্রম আর শিক্ষার প্রতি অগাধ ভালোবাসা।

অধ্যক্ষ কুন্ডু সবসময় বিশ্বাস করেন—শিক্ষা কেবল বইয়ের ভেতরে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো একজন মানুষকে সৎ, নৈতিক, দেশপ্রেমিক ও মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। এ কারণে তিনি কলেজে শুরু থেকেই শৃঙ্খলা, নৈতিকতা আর ভদ্র আচরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ চর্চার সুযোগ তৈরি করেছেন তিনি। তার ভাষায়, শিক্ষা যদি চরিত্র গঠনে সাহায্য না করে, তবে তা কখনোই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা নয়।

স্থানীয় অভিভাবকরা মনে করেন, ঢাকুরিয়া কলেজের অগ্রগতির পেছনে অধ্যক্ষ বাবু তাপস কুমার কুন্ডুর অবদান অনন্য। তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা যেমন মানসম্পন্ন শিক্ষা পাচ্ছে, তেমনি পাচ্ছে একটি নিরাপদ ও নৈতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ।

একজন অভিভাবক বলেন -এই কলেজ আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ বদলে দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাপস কুমার কুন্ডুর হাতে কলেজটি আরও সমৃদ্ধ হবে।

অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষকরা ফুল দিয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করেন। সেই মুহূর্তে কলেজ প্রাঙ্গণ ভরে ওঠে আনন্দ আর উৎসাহে। নতুন শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনকে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর অন্যতম সেরা দিন হিসেবে অভিহিত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মনিরামপুরের ঢাকুরিয়া কলেজে প্রথম বর্ষের ক্লাস উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এমদাদুল হক,ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর:যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া কলেজে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নতুন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় প্রথম বর্ষের উদ্বোধনী ক্লাস।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, মনিরামপুর থানা আমীর ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ বাবু তাপস কুমার কুন্ডু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক এসএম খবিরুল ইসলাম, মনিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ জাকির হোসেনসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন—শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, ভদ্রতা ও শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব রাখতে হবে। নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণ এবং সৎ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী সমাজে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

১৯৯৯ সালে এক অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে ঢাকুরিয়া কলেজের হাল ধরেন বাবু তাপস কুমার কুন্ডু। সীমিত সুযোগ-সুবিধা, নানা প্রতিকূলতা আর আর্থিক টানাপোড়েনকে পাশে ঠেলে তিনি শুরু করেন নতুন শিক্ষালোক গড়ার চ্যালেঞ্জ। অনেকেই তখন সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন—গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে একটি কলেজকে টিকিয়ে রাখা আদৌ সম্ভব হবে কি না।

কিন্তু দুই যুগ পর সেই প্রশ্নের জবাব মিলেছে বাস্তবতায়। আজ ঢাকুরিয়া কলেজ শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের জন্য আশা ও স্বপ্নের প্রতীক। এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা অধ্যক্ষ বাবু তাপস কুমার কুন্ডুর দূরদর্শী নেতৃত্ব, কঠোর পরিশ্রম আর শিক্ষার প্রতি অগাধ ভালোবাসা।

অধ্যক্ষ কুন্ডু সবসময় বিশ্বাস করেন—শিক্ষা কেবল বইয়ের ভেতরে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো একজন মানুষকে সৎ, নৈতিক, দেশপ্রেমিক ও মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। এ কারণে তিনি কলেজে শুরু থেকেই শৃঙ্খলা, নৈতিকতা আর ভদ্র আচরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ চর্চার সুযোগ তৈরি করেছেন তিনি। তার ভাষায়, শিক্ষা যদি চরিত্র গঠনে সাহায্য না করে, তবে তা কখনোই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা নয়।

স্থানীয় অভিভাবকরা মনে করেন, ঢাকুরিয়া কলেজের অগ্রগতির পেছনে অধ্যক্ষ বাবু তাপস কুমার কুন্ডুর অবদান অনন্য। তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা যেমন মানসম্পন্ন শিক্ষা পাচ্ছে, তেমনি পাচ্ছে একটি নিরাপদ ও নৈতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ।

একজন অভিভাবক বলেন -এই কলেজ আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ বদলে দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাপস কুমার কুন্ডুর হাতে কলেজটি আরও সমৃদ্ধ হবে।

অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষকরা ফুল দিয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করেন। সেই মুহূর্তে কলেজ প্রাঙ্গণ ভরে ওঠে আনন্দ আর উৎসাহে। নতুন শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনকে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর অন্যতম সেরা দিন হিসেবে অভিহিত করেন।