ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে কৃষক দলের উদ্বেগে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রাংশ বিতরণ নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

ভোলায় অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, বিপাকে রোগীরা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪ ২২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ উদ্দিন

নিরাপদ পার্কিং ব্যবস্থার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ভোলা প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও শ্রমিক সমিতি।সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকেই হঠাৎ করেই অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকায় চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
বিষয়টি নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে রোগীদের পরিবহন ব্যবস্থা ও সেবা কার্যক্রম।বিপাকে পড়েছর মুমূর্ষু রোগীরা।জানা গেছে, রোগী পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম অ্যাম্বুলেন্স।জেলায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্সর পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে শতাধিক। তবে ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রিক সরকারি মাত্র তিনটি ও প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ৩০টিরও বেশি।যারা খুব সহজেই রোগীদের পরিবহনের জন্য হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান করে আসছিলো। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় চরমভাবে বিপাকে পড়েছে অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা।অ্যাম্বুলেন্স চালকরা জানান, হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধ থাকায় যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাসের সিলিন্ডারসহ গাড়ির অন্যান্য যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাচ্ছে।অ্যাম্বুলেন্স চালক হাবিবুর রহমান, আ. রহমান, মিলন ও অনিকসহ অনেকেই জানান, হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স রাখলে খুব সহজেই রোগীরা গাড়িতে উঠে গন্তব্য যেতে পারেন। কিন্তু হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স রাখতে না দেওয়ায় রোগীরা সেবা পাচ্ছেন না। রোগীদের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আমাদের দাবি, রোগীদের স্বার্থে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা।এদিকে হাসপাতাল চত্বরেই নিরাপদ পার্কিংয়ের জন্য বার বার অনুরোধ করা হলে কোনো সুরহা হয়নি। তাই অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার কথা জানান মালিক সমিতির নেতারা।অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি মো. মাহমুদ চৌধূরী বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করেছি, বৈঠক করেছি কিন্তু তারা আমাদের দাবি মানেনি। তাই বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহন বন্ধ থাকায় ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কল করেও অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অটোরিকশা বা সিএনজি করে রোগী পরিবহনে করছে অনেকেই।
একাধিক রোগীর স্বজন বলেছেন, এভাবে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ থাকলে রোগীরা কীভাবে চিকিৎসা নিতে আসবেন। তাদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।রোগী ভোগান্তি কমাতে হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স রাখায় নিষেধাজ্ঞা করার কথা জানিয়ে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ আবু মোহাম্মদ শাফী বলেন, ধর্মঘটের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে আমাদের হাসপাতালের তিনটি অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ভোলায় অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, বিপাকে রোগীরা

আপডেট সময় : ০৪:৫১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ উদ্দিন

নিরাপদ পার্কিং ব্যবস্থার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ভোলা প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও শ্রমিক সমিতি।সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকেই হঠাৎ করেই অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকায় চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
বিষয়টি নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে রোগীদের পরিবহন ব্যবস্থা ও সেবা কার্যক্রম।বিপাকে পড়েছর মুমূর্ষু রোগীরা।জানা গেছে, রোগী পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম অ্যাম্বুলেন্স।জেলায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্সর পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে শতাধিক। তবে ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রিক সরকারি মাত্র তিনটি ও প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ৩০টিরও বেশি।যারা খুব সহজেই রোগীদের পরিবহনের জন্য হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান করে আসছিলো। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় চরমভাবে বিপাকে পড়েছে অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা।অ্যাম্বুলেন্স চালকরা জানান, হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধ থাকায় যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাসের সিলিন্ডারসহ গাড়ির অন্যান্য যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাচ্ছে।অ্যাম্বুলেন্স চালক হাবিবুর রহমান, আ. রহমান, মিলন ও অনিকসহ অনেকেই জানান, হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স রাখলে খুব সহজেই রোগীরা গাড়িতে উঠে গন্তব্য যেতে পারেন। কিন্তু হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স রাখতে না দেওয়ায় রোগীরা সেবা পাচ্ছেন না। রোগীদের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আমাদের দাবি, রোগীদের স্বার্থে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা।এদিকে হাসপাতাল চত্বরেই নিরাপদ পার্কিংয়ের জন্য বার বার অনুরোধ করা হলে কোনো সুরহা হয়নি। তাই অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার কথা জানান মালিক সমিতির নেতারা।অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি মো. মাহমুদ চৌধূরী বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করেছি, বৈঠক করেছি কিন্তু তারা আমাদের দাবি মানেনি। তাই বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহন বন্ধ থাকায় ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কল করেও অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অটোরিকশা বা সিএনজি করে রোগী পরিবহনে করছে অনেকেই।
একাধিক রোগীর স্বজন বলেছেন, এভাবে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ থাকলে রোগীরা কীভাবে চিকিৎসা নিতে আসবেন। তাদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।রোগী ভোগান্তি কমাতে হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স রাখায় নিষেধাজ্ঞা করার কথা জানিয়ে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ আবু মোহাম্মদ শাফী বলেন, ধর্মঘটের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে আমাদের হাসপাতালের তিনটি অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করছে।