ঢাকা ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঝালকাঠতে জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত ৯দিনের ছুটি শেষে প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত পবিপ্রবি ক্যাম্পাস দেবহাটা বহেরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট হেলাল উদ্দিন ও সাদিয়া অনৈতিক অবস্থায় জনগণের হাতে আটক স্বামীর লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন আগৈলঝাড়ায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল্লাহ সরদার গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে জাল টাকা সহ আটক ১ রাউজানে শ্যামা সংঘের উদ্যোগে সর্বজনীন কালিপূজা ও ৪৩ তম বার্ষিক মহোৎসব রাণীশংকৈলে বিএনপি ও শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম রাণীশংকৈলে গলা টিপে হত্যা করতে না পেরে দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা শ্যামনগরে বিএনপি নেতা সোলাইমান কবীরের বহিষ্কারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে

ভিসির পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল নোবিপ্রবি

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ৭৩ বার পড়া হয়েছে

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:-
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার উল আলমকে স্বৈরাচারের দোসর ও দুর্নীতিবাজ দাবি করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকীর পদত্যাগও দাবি করা হয়।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ভবনের তালা ভেঙে বাসভবনে প্রবেশ করে। পরে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বনি ইয়ামিন, মেহেদী হাসান মেহেদী, জাহিদুল ইসলাম হাসান এবং হাসিব আহমেদ প্রমুখ।
মারুফা মজুমদার বলেন, মা বাবার পর শিক্ষকের স্থান কিন্তু আমাদের নির্লজ্জ ভিসি আমরা যখন আন্দোলন করি তখন তিনি তার নির্লজ্জ কিছু শিক্ষক নিয়ে জম্মু দিবস পালন করে। সে কেমন ভিসি হতে পারে। তিনি ছোট একটা রাস্তা করতে ২কোটি টাকা খরচ করে। আমরা এই ভিসি চাই না, তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
মেহেদি হাসান বলেন,আপনার জানেন এই কোটা সংস্কার দিয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা ও গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আন্দোলন কারীদের দমন ও অতিরিক্ত বল প্রয়োগ এর কারণে পরিণত হয় জুলাই বিপ্লব এ । কিন্তু আমরা যখন দেশের প্রতিটি কোনায় হত্যা এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলাম , যখন আমার ভাইয়ের লাশের স্তূপ তৈরি হয়ে গিয়েছিল, যখন পিতা তার সন্তানের লাশ শনাক্ত করতে পারছিল না, মা যখন তার কন্যার রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারছিল না, ঠিক তখনই আমাদের শত শহীদের রক্ত মাড়িয়ে এই নির্লজ্জ প্রশাসন মাস ব্যাপী শোক দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন করে।যেই প্রশাসনের কাছে তাদের ছাত্রদের জীবনের চেয়ে চাটুকারিতার মূল্য বেশি সেই প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় থাকতে পারে না। কারণ এই প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়, এই প্রশাসন খুনি হাসিনার প্রশাসন, তাই আমরা তাদেরকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।
অবিলম্বে যদি পদত্যাগ না করা হয় তাহলে আমরা পদত্যাগ পত্র লিখে নিয়ে ভিসির বাসভবনের উদ্দেশ্য লং মার্চ করব এবং তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব ইনশাল্লাহ।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা ভিসিকে দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর বলে অবহিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন বলেও ছাত্ররা দাবি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ভিসির পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল নোবিপ্রবি

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:-
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার উল আলমকে স্বৈরাচারের দোসর ও দুর্নীতিবাজ দাবি করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকীর পদত্যাগও দাবি করা হয়।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ভবনের তালা ভেঙে বাসভবনে প্রবেশ করে। পরে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বনি ইয়ামিন, মেহেদী হাসান মেহেদী, জাহিদুল ইসলাম হাসান এবং হাসিব আহমেদ প্রমুখ।
মারুফা মজুমদার বলেন, মা বাবার পর শিক্ষকের স্থান কিন্তু আমাদের নির্লজ্জ ভিসি আমরা যখন আন্দোলন করি তখন তিনি তার নির্লজ্জ কিছু শিক্ষক নিয়ে জম্মু দিবস পালন করে। সে কেমন ভিসি হতে পারে। তিনি ছোট একটা রাস্তা করতে ২কোটি টাকা খরচ করে। আমরা এই ভিসি চাই না, তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
মেহেদি হাসান বলেন,আপনার জানেন এই কোটা সংস্কার দিয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা ও গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আন্দোলন কারীদের দমন ও অতিরিক্ত বল প্রয়োগ এর কারণে পরিণত হয় জুলাই বিপ্লব এ । কিন্তু আমরা যখন দেশের প্রতিটি কোনায় হত্যা এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলাম , যখন আমার ভাইয়ের লাশের স্তূপ তৈরি হয়ে গিয়েছিল, যখন পিতা তার সন্তানের লাশ শনাক্ত করতে পারছিল না, মা যখন তার কন্যার রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারছিল না, ঠিক তখনই আমাদের শত শহীদের রক্ত মাড়িয়ে এই নির্লজ্জ প্রশাসন মাস ব্যাপী শোক দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন করে।যেই প্রশাসনের কাছে তাদের ছাত্রদের জীবনের চেয়ে চাটুকারিতার মূল্য বেশি সেই প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় থাকতে পারে না। কারণ এই প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়, এই প্রশাসন খুনি হাসিনার প্রশাসন, তাই আমরা তাদেরকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।
অবিলম্বে যদি পদত্যাগ না করা হয় তাহলে আমরা পদত্যাগ পত্র লিখে নিয়ে ভিসির বাসভবনের উদ্দেশ্য লং মার্চ করব এবং তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব ইনশাল্লাহ।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা ভিসিকে দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর বলে অবহিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন বলেও ছাত্ররা দাবি করেন।