ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যশোরে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নারীর আঙুল কামড়ে ছিঁড়ে ফেললেন যুবক, অবশেষে ধরা রাজাপুরে এনসিপির উঠান বৈঠক মঠবাড়ীয়া উপজেলার বিএনপিতে ফ্যাসিষ্ট দোসরদের পদ পদবী পাওয়ার কারনে ঝুকি পূর্ন সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ লা সেপ্টেম্বর খুলছে প্রবেশের দ্বার রাণীশংকৈলে আদালতে মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তানের লাশ কবর থেকে উত্তোলন বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জনাব তারেক রহমান ঠাকুরগায়ে গন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার দীর্ঘ ২৩ বছর পরে আজিজ আহমেদ কলেজ ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল কমপ্লিট শাটডাউনে পবিপ্রবি বরিশাল ক্যাম্পাস একটি সুন্দর পরিবেশ বান্ধব উন্নত ও সমৃদ্ধ রূপগঞ্জ গড়ার লক্ষ্যে, জনাব মোঃ দুলাল হোসেনের অঙ্গীকার

ভালো হওয়া কঠিন, খারাপ হওয়া সহজ: নষ্ট সমাজে নষ্টতার বিস্তার উদ্বেগজনক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে


‎মোঃ সজিব সরদার: বর্তমান সমাজে ভালো থাকা, ভালো চিন্তা করা এবং সৎ পথে চলা যেন দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। একদিকে অসৎ উপার্জন, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার আর স্বার্থপরতার দৌরাত্ম্য; অন্যদিকে সৎ, নৈতিক ও সঠিক পথে চলা মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। ফলে সহজেই খারাপ পথে গিয়ে পড়ছে অনেক মানুষ।

‎সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, “খারাপ হওয়া সবসময়ই সহজ, কারণ সেখানে স্বার্থপরতা ও অস্থায়ী লাভের মোহ কাজ করে। কিন্তু ভালো হতে হলে প্রয়োজন ধৈর্য, নীতি এবং আত্মসংযম।”

‎আজকাল ছোট-বড় সবার মধ্যেই ভোগবাদী মানসিকতার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তরুণ সমাজের একটি অংশ তাৎক্ষণিক সাফল্যের জন্য শর্টকাট পথ বেছে নিচ্ছে, যা তাদের দ্রুত বিপদে ফেলছে। একসময় যেখানে সততা ও পরিশ্রমকে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি মনে করা হতো, সেখানে এখন প্রতারণা, দুর্নীতি ও অসাধু উপায়ে লক্ষ্য অর্জন করাকেই অনেকে বুদ্ধিমত্তার নিদর্শন মনে করছে।

‎মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভালো থাকা মানে শুধু সৎ থাকা নয়, বরং অন্যদের জন্য উপকার করা, ন্যায়ের পথে হাঁটা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। কিন্তু তা করতে গিয়ে প্রায়শই মানুষকে নানা চাপ, হুমকি এবং সামাজিক বাধার মুখোমুখি হতে হয়।

‎এখনো অনেক তরুণ নৈতিকতা ও নীতির পতাকা উঁচিয়ে ধরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিশ্বাস করেন, কঠিন হলেও সৎ থাকা এবং ভালো পথে চলার ফল একদিন সবার সামনে পৌঁছাবে।

‎সমাজ বিশ্লেষকরা মনে করেন, পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গণমাধ্যম—সবখানে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের চর্চা বাড়ানো জরুরি। তবেই “ভালো হওয়া কঠিন, খারাপ হওয়া সহজ” এই বাস্তবতা বদলানো সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ভালো হওয়া কঠিন, খারাপ হওয়া সহজ: নষ্ট সমাজে নষ্টতার বিস্তার উদ্বেগজনক

আপডেট সময় : ০৬:৪০:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫


‎মোঃ সজিব সরদার: বর্তমান সমাজে ভালো থাকা, ভালো চিন্তা করা এবং সৎ পথে চলা যেন দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। একদিকে অসৎ উপার্জন, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার আর স্বার্থপরতার দৌরাত্ম্য; অন্যদিকে সৎ, নৈতিক ও সঠিক পথে চলা মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। ফলে সহজেই খারাপ পথে গিয়ে পড়ছে অনেক মানুষ।

‎সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, “খারাপ হওয়া সবসময়ই সহজ, কারণ সেখানে স্বার্থপরতা ও অস্থায়ী লাভের মোহ কাজ করে। কিন্তু ভালো হতে হলে প্রয়োজন ধৈর্য, নীতি এবং আত্মসংযম।”

‎আজকাল ছোট-বড় সবার মধ্যেই ভোগবাদী মানসিকতার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তরুণ সমাজের একটি অংশ তাৎক্ষণিক সাফল্যের জন্য শর্টকাট পথ বেছে নিচ্ছে, যা তাদের দ্রুত বিপদে ফেলছে। একসময় যেখানে সততা ও পরিশ্রমকে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি মনে করা হতো, সেখানে এখন প্রতারণা, দুর্নীতি ও অসাধু উপায়ে লক্ষ্য অর্জন করাকেই অনেকে বুদ্ধিমত্তার নিদর্শন মনে করছে।

‎মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভালো থাকা মানে শুধু সৎ থাকা নয়, বরং অন্যদের জন্য উপকার করা, ন্যায়ের পথে হাঁটা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। কিন্তু তা করতে গিয়ে প্রায়শই মানুষকে নানা চাপ, হুমকি এবং সামাজিক বাধার মুখোমুখি হতে হয়।

‎এখনো অনেক তরুণ নৈতিকতা ও নীতির পতাকা উঁচিয়ে ধরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিশ্বাস করেন, কঠিন হলেও সৎ থাকা এবং ভালো পথে চলার ফল একদিন সবার সামনে পৌঁছাবে।

‎সমাজ বিশ্লেষকরা মনে করেন, পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গণমাধ্যম—সবখানে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের চর্চা বাড়ানো জরুরি। তবেই “ভালো হওয়া কঠিন, খারাপ হওয়া সহজ” এই বাস্তবতা বদলানো সম্ভব হবে।