ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিশেষ অভিযানে অবৈধ বেহুন্দী,চড়গড়া জাল জব্দ ও বিনষ্ট শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অপহরণ মামলার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক ০৩ আসামী গ্রেফতার শ্যামনগরে বাগদা চিংড়িতে জেলি পুশের সময় আটক ১ ও জরিমানা আদায় রাউজানে আদ্যাপীঠ মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি সুনামগঞ্জের শাল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে বিজয়-২৪ হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ছেলের চুরির অভিযোগের অপবাদে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫ সোনাগাজী মডেল থানায় ‘চুরি-ডাকাতি’ হয়, মামলা হয় না বাবা চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখা মাদক বিরোধী অভিযানে এক কেজি গাঁজা উদ্ধার গ্রেফতার-০১ জন

ব্লেড দিয়ে স্ত্রীর হাতে পায়ের রগ কেটে হত্যা করেন পাষন্ড স্বামী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীকে ব্লেড দিয়ে হাতসহ নানা জায়গায় কেটে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামীসহ বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার ভোরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের ফকিরপাড়ায়। সাজু মিয়ার মেয়ে শাহীনা আকতার রংপুর মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত বছর তাকে বিয়ে করেন একই গ্রামের জাহাঙ্গীর মেম্বর। জাহাঙ্গীর মাদকাসক্ত হিসাবে সবার কাছে পরিচিত। প্রতিদিনই মাদকের টাকা লাগত। টাকা না থাকলেই স্ত্রী শাহীনাকে মারধর করতেন। বাধ্য হয়ে শাহীনা তার বাবার বাড়ি থেকে মাঝে মধ্যেই টাকা এনে স্বামীকে দিতেন। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট ছিলেন না জাহাঙ্গীর। গত সোমবার সন্ধ্যায় তিনি টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন এবং মারধর করেন। নেশায় করে রাত ১১টার দিকে বাড়ি এসে স্ত্রীকে ব্রেড দিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেন। তারপর তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্লেড দিয়ে কেটে ও হাতে পেরেক লাগিয়ে ফুটো করে দেন। এ অবস্থা শাহীনা তার বাবাকে জানান। গত মঙ্গলবার সকালে তার বাবা-মা ও স্বজনরা মেয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান দরজার চৌকাঠের সঙ্গে শাহীনার রক্তাক্ত লাশ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে স্বামী জাহাঙ্গীর মেম্বরসহ বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শাহীনার ভাই জাফর মিয়া বাদী হয়ে গাইবান্ধা থানায় মামলা করেন। গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, শাহীনার শরীরের বিভিন্ন স্থান ব্লেড দিয়ে কাটা ছেঁড়া। হাত-পায়ে পেরেক দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ব্লেড দিয়ে স্ত্রীর হাতে পায়ের রগ কেটে হত্যা করেন পাষন্ড স্বামী

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীকে ব্লেড দিয়ে হাতসহ নানা জায়গায় কেটে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামীসহ বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার ভোরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের ফকিরপাড়ায়। সাজু মিয়ার মেয়ে শাহীনা আকতার রংপুর মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত বছর তাকে বিয়ে করেন একই গ্রামের জাহাঙ্গীর মেম্বর। জাহাঙ্গীর মাদকাসক্ত হিসাবে সবার কাছে পরিচিত। প্রতিদিনই মাদকের টাকা লাগত। টাকা না থাকলেই স্ত্রী শাহীনাকে মারধর করতেন। বাধ্য হয়ে শাহীনা তার বাবার বাড়ি থেকে মাঝে মধ্যেই টাকা এনে স্বামীকে দিতেন। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট ছিলেন না জাহাঙ্গীর। গত সোমবার সন্ধ্যায় তিনি টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন এবং মারধর করেন। নেশায় করে রাত ১১টার দিকে বাড়ি এসে স্ত্রীকে ব্রেড দিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেন। তারপর তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্লেড দিয়ে কেটে ও হাতে পেরেক লাগিয়ে ফুটো করে দেন। এ অবস্থা শাহীনা তার বাবাকে জানান। গত মঙ্গলবার সকালে তার বাবা-মা ও স্বজনরা মেয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান দরজার চৌকাঠের সঙ্গে শাহীনার রক্তাক্ত লাশ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে স্বামী জাহাঙ্গীর মেম্বরসহ বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শাহীনার ভাই জাফর মিয়া বাদী হয়ে গাইবান্ধা থানায় মামলা করেন। গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, শাহীনার শরীরের বিভিন্ন স্থান ব্লেড দিয়ে কাটা ছেঁড়া। হাত-পায়ে পেরেক দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।