ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজাপুরে জমি দখল করতে গিয়ে গাছ কেটে তিন লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ তানোরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বিএনপির নেতা কর্মীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হরিপুরে স্বপ্নসারথী গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান ২০২৫ সর্বস্তরের জনগণ প্রথম আলো ও ইনকিলাব পত্রিকায় সাতক্ষীরার উন্নয়নের বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার

ব্যস্ততা বাড়ছে কামারশালায়, দা-ছুরি-চাপাতির দাম বাড়তি

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
আর মাত্র চারদিন পরেই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা। পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন করেন মুসলমানরা।ফলে কোরবানির জন্য পশু সংগ্রহের পরই সবচেয়ে প্রয়োজন হয় দা, ছুরি, চাপাতি ও কাঠের গুঁড়ি কেটে তৈরি খাইট্টার।প্রয়োজনীয় এসব জিনিসের জোগান দিতে ঈদের আগে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারশালার কর্মীরা। অন্যদিকে লোহার দাম বাড়ায় বেড়েছে এগুলো দিয়ে তৈরি হাতিয়ারের।

ক্রেতারা বলেছেন- বাজারে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে পশু কোরবানিতে অতি প্রয়োজনীয় হাতিয়ারেরও।দামের সঙ্গে হাতিয়ারগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন আছে এখন।অন্যদিকে কোরবানির ঈদ সন্নিকটে হলেও দা-ছুরি-চাপাতি-খাইট্টার ব্যবসায়ীদের দাবি— আগের মতো সাড়া নেই ক্রেতাদের।বিক্রিও তেমন একটা বাড়েনি। চাইনিজ হাতিয়ারের তুলনায় দেশি হাতিয়ারের মান ভালো।

হাতিয়ারের দোকানগুলোতে দেখা যায়, কিছু দোকানের সামনে কয়েকজন ক্রেতার ভিড়, বেশিরভাগ দোকানই ক্রেতাশূন্য। দোকানগুলোর পেছনেই রয়েছে ছোট ছোট কামারশালা। কামারশালায় চলছে নিরবচ্ছিন্ন হাতিয়ার তৈরির কর্মযজ্ঞ। এছাড়াও পুরোনো হাতিয়ারগুলো শাণ দিচ্ছেন কর্মীরা।

দোকানিরা জানান, পাকিস্তান আমল থেকে এখানে ছুরি-চাপাতির ব্যবসা। এখানের সবাই বেশ পুরোনো ব্যবসায়ী। বছরের অন্য সময় কম চললেও ঈদের আগে ছুরি-চাপাতি-কুড়ালের চাহিদা বাড়ে। তবে এ বছর এখনও ক্রেতার অতটা সমাগম হয়নি।

দোকানগুলোতে বড় ছুরির দাম (ডেউ) প্রতিটি ৬০০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে। ছোট-মাঝারি ছুরিগুলো প্রতিটি ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। পাকা লোহার তৈরি চাপাতিগুলো কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে এবং দেশি কুড়াল প্রতিটি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। চাইনিজ কুড়াল প্রতিটি পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে এবং খাইট্টা পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ৪০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে । অন্যদিকে বটি, দা-এর কেজি ৭০০ টাকা এবং প্রতিটির দাম ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে।

তবে জানা যায়, গতবারের তুলনায় এবার লোহার তৈরি সবকিছুর দাম বেশি। একটা বড় ছুরি (ডেউ) ১৩০০-১৪০০ টাকার নিচে কেউ দিতে চাইছে না।অথচ এগুলোই এক দুই বছর আগে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যেই ছিল। ২০০-২৫০ টাকার গাছের খাইট্টাগুলোও এখন ৪০০-৫০০ টাকার নিচে কেউ দিচ্ছে না।মান ভেদে একেক দাম। যেসব পছন্দ হয় সেগুলোর দাম প্রায় ৫০০ টাকা। এই মানের বটিগুলো আগে ৩০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতো।

দোকান মালিকেরা জানান লোহার দাম বাড়ার কারণে পাকা লোহার তৈরি জিনিসের দাম বেশি। আগে আমরাও কম দামেই বিক্রি করেছি। এখন আমাদের পাত কিনে বানানোর খরচ বেশি, তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।চাইনিজ হাতিয়ারের দাম একটু কম। দেশি ও চাইনিজ দুই ধরনের হাতিয়ারেরই চাহিদা আছে।

তারা আরও বলেন, এখন ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন। এরমধ্যে কেউ কেউ কিনছেন। আগে দূর জেলা থেকে মানুষ আসতো হাতিয়ার কিনতে। এখন আর আগের মতো মানুষ আসে না। এখন শহরের লোকজনই বেশি আসে। এখন ক্রেতা কম, সময়তো আরও চারদিন আছে, হয়ত ক্রেতারা আসবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ব্যস্ততা বাড়ছে কামারশালায়, দা-ছুরি-চাপাতির দাম বাড়তি

আপডেট সময় : ০২:১৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
আর মাত্র চারদিন পরেই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা। পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন করেন মুসলমানরা।ফলে কোরবানির জন্য পশু সংগ্রহের পরই সবচেয়ে প্রয়োজন হয় দা, ছুরি, চাপাতি ও কাঠের গুঁড়ি কেটে তৈরি খাইট্টার।প্রয়োজনীয় এসব জিনিসের জোগান দিতে ঈদের আগে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারশালার কর্মীরা। অন্যদিকে লোহার দাম বাড়ায় বেড়েছে এগুলো দিয়ে তৈরি হাতিয়ারের।

ক্রেতারা বলেছেন- বাজারে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে পশু কোরবানিতে অতি প্রয়োজনীয় হাতিয়ারেরও।দামের সঙ্গে হাতিয়ারগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন আছে এখন।অন্যদিকে কোরবানির ঈদ সন্নিকটে হলেও দা-ছুরি-চাপাতি-খাইট্টার ব্যবসায়ীদের দাবি— আগের মতো সাড়া নেই ক্রেতাদের।বিক্রিও তেমন একটা বাড়েনি। চাইনিজ হাতিয়ারের তুলনায় দেশি হাতিয়ারের মান ভালো।

হাতিয়ারের দোকানগুলোতে দেখা যায়, কিছু দোকানের সামনে কয়েকজন ক্রেতার ভিড়, বেশিরভাগ দোকানই ক্রেতাশূন্য। দোকানগুলোর পেছনেই রয়েছে ছোট ছোট কামারশালা। কামারশালায় চলছে নিরবচ্ছিন্ন হাতিয়ার তৈরির কর্মযজ্ঞ। এছাড়াও পুরোনো হাতিয়ারগুলো শাণ দিচ্ছেন কর্মীরা।

দোকানিরা জানান, পাকিস্তান আমল থেকে এখানে ছুরি-চাপাতির ব্যবসা। এখানের সবাই বেশ পুরোনো ব্যবসায়ী। বছরের অন্য সময় কম চললেও ঈদের আগে ছুরি-চাপাতি-কুড়ালের চাহিদা বাড়ে। তবে এ বছর এখনও ক্রেতার অতটা সমাগম হয়নি।

দোকানগুলোতে বড় ছুরির দাম (ডেউ) প্রতিটি ৬০০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে। ছোট-মাঝারি ছুরিগুলো প্রতিটি ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। পাকা লোহার তৈরি চাপাতিগুলো কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে এবং দেশি কুড়াল প্রতিটি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। চাইনিজ কুড়াল প্রতিটি পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে এবং খাইট্টা পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ৪০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে । অন্যদিকে বটি, দা-এর কেজি ৭০০ টাকা এবং প্রতিটির দাম ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে।

তবে জানা যায়, গতবারের তুলনায় এবার লোহার তৈরি সবকিছুর দাম বেশি। একটা বড় ছুরি (ডেউ) ১৩০০-১৪০০ টাকার নিচে কেউ দিতে চাইছে না।অথচ এগুলোই এক দুই বছর আগে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যেই ছিল। ২০০-২৫০ টাকার গাছের খাইট্টাগুলোও এখন ৪০০-৫০০ টাকার নিচে কেউ দিচ্ছে না।মান ভেদে একেক দাম। যেসব পছন্দ হয় সেগুলোর দাম প্রায় ৫০০ টাকা। এই মানের বটিগুলো আগে ৩০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতো।

দোকান মালিকেরা জানান লোহার দাম বাড়ার কারণে পাকা লোহার তৈরি জিনিসের দাম বেশি। আগে আমরাও কম দামেই বিক্রি করেছি। এখন আমাদের পাত কিনে বানানোর খরচ বেশি, তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।চাইনিজ হাতিয়ারের দাম একটু কম। দেশি ও চাইনিজ দুই ধরনের হাতিয়ারেরই চাহিদা আছে।

তারা আরও বলেন, এখন ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন। এরমধ্যে কেউ কেউ কিনছেন। আগে দূর জেলা থেকে মানুষ আসতো হাতিয়ার কিনতে। এখন আর আগের মতো মানুষ আসে না। এখন শহরের লোকজনই বেশি আসে। এখন ক্রেতা কম, সময়তো আরও চারদিন আছে, হয়ত ক্রেতারা আসবেন।