বেগম জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম তুহিন’র মুক্তির দাবিতে উত্তাল নীলফামারী: বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী

- আপডেট সময় : ০৬:৩২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫ ১১১ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক বিএনপি মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন’র নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নীলফামারী ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে অংশগ্রহণ করে নীলফামারীসহ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা। ফলে, মুহুর্তেই উত্তাল হয়ে পড়ে নীলফামারী জেলা শহর।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের ডিসি মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে দলটি। এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আ.খ.ম আলমঙ্গীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলমসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা।
বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালে আর্মি সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। ওই দুটি মামলায় তাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর বিদেশে নির্বাসনে থেকে গেল ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট হাসিনার পতনের পর ২২ এপ্রিল বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। এর পর গত ২৯ এপ্রিল বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনআবেদন করেন তিনি, কিন্তু বিচারক জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা দাবী করেন, শাহরিন ইসলাম তুহিন বিচারিক আদালত থেকে ন্যায্য ন্যায়বিচার পাননি। তিনি ১৯৯৮-১৯৯৯ মূল্যায়ন বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ মূল্যায়ন বছর পর্যন্ত তার আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন এবং তিনি তার জামিন আবেদনে তার সমস্ত সম্পদের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন জেলা ও উপজেলা বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, নীলফামারী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান রিনো বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশন নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। এটি তাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য দায়ের করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে তাকে নির্বাসনে যেতে বাধ্যও করা হয়েছিল”।
তবে, অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিন’কে মুক্তিসহ তার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে, বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।