বেগম জিয়া’র ভাগ্নে তুহিন’র মুক্তির দাবীতে বিএনপি’র কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

- আপডেট সময় : ০৮:৫৪:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫ ৮০ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি:-
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এঁর ভাগ্নে ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এঁর খালাতো ভাই সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন’র নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে জেলা ব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
মানববন্ধনে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন’র বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারসহ নি:শর্ত মুক্তির দাবী তুলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন দলটির নেতা-কর্মীরা। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন জেলার ডোমার-ডিমলাসহ বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের হাজার হাজার নেতা-কর্মী।
বক্তারা বলেন, ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারের আমলে জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন’র বিরুদ্ধে দুদককে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই সঙ্গে ২০০৮ সালে তড়িঘড়ি করে আদালতকে প্রভাবিত করে মামলার রায় দেওয়া হয়। দুদকের করা মামলায় তাকে আদালত সাজা দেন। রায় ঘোষণার দীর্ঘ ১৭ বছর দেশের বাহিরে নির্বাসনে থেকে গেল ৫ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মুখে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২২ এপ্রিল তিনি দেশে ফিরে এবং চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল তুহিন পৃথক দুটি মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বক্তারা আরো বলেন, প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন’র বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা গুলো সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তার জনপ্রিয়তার কারণে এক-এগারোর সময় ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত: দুদকের করা পৃথক দুটি মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালতের বিচারক। এরপর গত ৩০ এপ্রিল থেকেই নীলফামারী জেলা ব্যাপী প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন’র মুক্তির দাবীতে লাগাতার মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।