ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে কৃষক দলের উদ্বেগে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রাংশ বিতরণ নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

বিশ্বের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

বাঙালিয়ানাকে ধারণ করে উচ্ছ্বাস ও আনন্দের সাথে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ কে বরণ করে নিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়।শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নানা বয়সের দর্শনার্থীরা শোভাযাত্রায় স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।

জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে জমায়েত হয়। বৈশাখী সাজে এই শোভাযাত্রায় সামনে- পেছনে বাদ্যের তালে তালে চলে নৃত্য, হাতে হাতে ছিল বাহারি মুখোশ। পুষ্পাকৃতির চরকি, টেপা পুতুল আর পাখির শিল্পকাঠামো শোভাযাত্রাকে দেয় বাঙালির চিরায়ত আবহ। এরপর সেখানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
বক্তব্যের শুরুতে উপাচার্য সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। এসময় তিনি সকলের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন ঈদ পরবর্তী লম্বা ছুটিতে, এটি একটি বাস্তবতা। তারপরও বাঙালি জাতির গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন। সেই উদ্যাপনে আপনারা সকলে সাড়া দিয়েছেন। আমরা এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

এবারের পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সাথে নববর্ষ ছাড়াও কিছু দিনগুলোর ক্ষেত্রে এক দিন এদিক-সেদিক হয়। কিন্তু এবার পুরোনো পঞ্জিকা অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার মানুষও আমাদের সঙ্গে নববর্ষ পালন করছেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সকল বাঙালির পহেলা বৈশাখ পালন আজকের দিনেই। ফলে আজকের এমন একটা দিনÑএদিনে সারা বিশ্বের বাঙালি উৎসবে শামিল হয়েছে। তাই আজকের এই দিনটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
নতুন বছর সবার জন্য সুন্দর ও শান্তিময় হোক প্রত্যাশা করে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আপনাদের দিন সুন্দর হোক, ভবিষ্যৎ সুন্দর হোক, সুবিধে অসুবিধেয় আমরা একসঙ্গে থেকে কাজ করবো, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবোÑএটিই হোক আজকের দিনের প্রত্যয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড.মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা, চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নগরবাসী বর্মন, ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকারসহ অন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
আবিদা সুলতানা চিশতী
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বাঙালিয়ানাকে ধারণ করে উচ্ছ্বাস ও আনন্দের সাথে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ কে বরণ করে নিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়।শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নানা বয়সের দর্শনার্থীরা শোভাযাত্রায় স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।

জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে জমায়েত হয়। বৈশাখী সাজে এই শোভাযাত্রায় সামনে- পেছনে বাদ্যের তালে তালে চলে নৃত্য, হাতে হাতে ছিল বাহারি মুখোশ। পুষ্পাকৃতির চরকি, টেপা পুতুল আর পাখির শিল্পকাঠামো শোভাযাত্রাকে দেয় বাঙালির চিরায়ত আবহ। এরপর সেখানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
বক্তব্যের শুরুতে উপাচার্য সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। এসময় তিনি সকলের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন ঈদ পরবর্তী লম্বা ছুটিতে, এটি একটি বাস্তবতা। তারপরও বাঙালি জাতির গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন। সেই উদ্যাপনে আপনারা সকলে সাড়া দিয়েছেন। আমরা এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

এবারের পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সাথে নববর্ষ ছাড়াও কিছু দিনগুলোর ক্ষেত্রে এক দিন এদিক-সেদিক হয়। কিন্তু এবার পুরোনো পঞ্জিকা অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার মানুষও আমাদের সঙ্গে নববর্ষ পালন করছেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সকল বাঙালির পহেলা বৈশাখ পালন আজকের দিনেই। ফলে আজকের এমন একটা দিনÑএদিনে সারা বিশ্বের বাঙালি উৎসবে শামিল হয়েছে। তাই আজকের এই দিনটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
নতুন বছর সবার জন্য সুন্দর ও শান্তিময় হোক প্রত্যাশা করে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আপনাদের দিন সুন্দর হোক, ভবিষ্যৎ সুন্দর হোক, সুবিধে অসুবিধেয় আমরা একসঙ্গে থেকে কাজ করবো, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবোÑএটিই হোক আজকের দিনের প্রত্যয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড.মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা, চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নগরবাসী বর্মন, ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকারসহ অন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বিশ্বের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৭:৩১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

বাঙালিয়ানাকে ধারণ করে উচ্ছ্বাস ও আনন্দের সাথে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ কে বরণ করে নিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়।শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নানা বয়সের দর্শনার্থীরা শোভাযাত্রায় স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।

জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে জমায়েত হয়। বৈশাখী সাজে এই শোভাযাত্রায় সামনে- পেছনে বাদ্যের তালে তালে চলে নৃত্য, হাতে হাতে ছিল বাহারি মুখোশ। পুষ্পাকৃতির চরকি, টেপা পুতুল আর পাখির শিল্পকাঠামো শোভাযাত্রাকে দেয় বাঙালির চিরায়ত আবহ। এরপর সেখানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
বক্তব্যের শুরুতে উপাচার্য সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। এসময় তিনি সকলের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন ঈদ পরবর্তী লম্বা ছুটিতে, এটি একটি বাস্তবতা। তারপরও বাঙালি জাতির গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন। সেই উদ্যাপনে আপনারা সকলে সাড়া দিয়েছেন। আমরা এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

এবারের পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সাথে নববর্ষ ছাড়াও কিছু দিনগুলোর ক্ষেত্রে এক দিন এদিক-সেদিক হয়। কিন্তু এবার পুরোনো পঞ্জিকা অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার মানুষও আমাদের সঙ্গে নববর্ষ পালন করছেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সকল বাঙালির পহেলা বৈশাখ পালন আজকের দিনেই। ফলে আজকের এমন একটা দিনÑএদিনে সারা বিশ্বের বাঙালি উৎসবে শামিল হয়েছে। তাই আজকের এই দিনটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
নতুন বছর সবার জন্য সুন্দর ও শান্তিময় হোক প্রত্যাশা করে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আপনাদের দিন সুন্দর হোক, ভবিষ্যৎ সুন্দর হোক, সুবিধে অসুবিধেয় আমরা একসঙ্গে থেকে কাজ করবো, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবোÑএটিই হোক আজকের দিনের প্রত্যয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড.মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা, চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নগরবাসী বর্মন, ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকারসহ অন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
আবিদা সুলতানা চিশতী
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বাঙালিয়ানাকে ধারণ করে উচ্ছ্বাস ও আনন্দের সাথে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ কে বরণ করে নিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়।শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নানা বয়সের দর্শনার্থীরা শোভাযাত্রায় স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।

জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে জমায়েত হয়। বৈশাখী সাজে এই শোভাযাত্রায় সামনে- পেছনে বাদ্যের তালে তালে চলে নৃত্য, হাতে হাতে ছিল বাহারি মুখোশ। পুষ্পাকৃতির চরকি, টেপা পুতুল আর পাখির শিল্পকাঠামো শোভাযাত্রাকে দেয় বাঙালির চিরায়ত আবহ। এরপর সেখানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
বক্তব্যের শুরুতে উপাচার্য সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। এসময় তিনি সকলের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন ঈদ পরবর্তী লম্বা ছুটিতে, এটি একটি বাস্তবতা। তারপরও বাঙালি জাতির গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন। সেই উদ্যাপনে আপনারা সকলে সাড়া দিয়েছেন। আমরা এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

এবারের পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সাথে নববর্ষ ছাড়াও কিছু দিনগুলোর ক্ষেত্রে এক দিন এদিক-সেদিক হয়। কিন্তু এবার পুরোনো পঞ্জিকা অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার মানুষও আমাদের সঙ্গে নববর্ষ পালন করছেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সকল বাঙালির পহেলা বৈশাখ পালন আজকের দিনেই। ফলে আজকের এমন একটা দিনÑএদিনে সারা বিশ্বের বাঙালি উৎসবে শামিল হয়েছে। তাই আজকের এই দিনটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
নতুন বছর সবার জন্য সুন্দর ও শান্তিময় হোক প্রত্যাশা করে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আপনাদের দিন সুন্দর হোক, ভবিষ্যৎ সুন্দর হোক, সুবিধে অসুবিধেয় আমরা একসঙ্গে থেকে কাজ করবো, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবোÑএটিই হোক আজকের দিনের প্রত্যয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড.মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা, চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নগরবাসী বর্মন, ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকারসহ অন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।