ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বিদ্যুৎ বিলের ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া নিয়ে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পক্ষ থেকে যা বললেন

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মহাসিন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকের ভূল ধারনা নিরসনের জন্য ডিমান্ড_চার্জ কি, কারা নির্ধারণ করে এ বিষয়ে বলেন । যখন কোন একজন গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে মিটারের জন্য আবেদন করে, তখন উক্ত গ্রাহকের ব্যবহার সীমা কতটুকু হবে, তা উল্লেখ করে তাকে ফর্মে অঙ্গীকার/স্বাক্ষর দিতে হয়। যেমন, কোন গ্রাহক যদি বলে তার ২ কিঃওঃ (কিলোওয়াট) লাগবে। তার মানে উক্ত গ্রাহকের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমা ২কিঃওঃ। এই ২ কিঃ ওঃ হলো তার চুক্তিবদ্ধ লোড। এই সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ব্যবহারের সীমা বা চুক্তিবদ্ধ লোডের উপর যে চার্জ ধার্য করা হয় তাকেই ডিমান্ড চার্জ বলা হয়।
গ্রাহকের সেই চুক্তিবদ্ধ লোড সরবরাহ করার জন্য বিদ্যুৎ বিতরণকারী সকল প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল সহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে উক্ত গ্রাহকের সরবরাহ নিশ্চিত করে থাকে। যেমন, ট্রান্সফরমার, খুঁটি, তার ইত্যাদি। এসব যন্ত্রপাতি ও মালামালের টাকা যেমন সরকার বহন করে, তেমনি ডিমান্ড চার্জের মাধ্যমে এই টাকা সরকার আবার ফেরতও নেয়।
ডিমান্ড চার্জ কেউ চাইলে নিজের ইচ্ছামত ধার্য করতে পারে না। ইহা নির্ধারণ করে দেয় সরকারি সংস্থা Bangladesh Energy Regulatory Commotion (BERC). বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বেচা, কেনা, উৎপাদন, বিতরণ, জরিমানা, ভর্তুকি, বিলের রেট, ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট সব কিছু নির্ধারণ করে দেয় এই BERC.
যেমন- আবাসিক, সেচ-কৃষি কাজের গ্রাহকদের জন্য ডিমান্ড চার্জ প্রতি কিলোওয়াট ৪২ টাকা, বাণিজ্যিক বিপণনের জন্য ৯০ টাকা ইত্যাদি ধার্য করে দিয়েছে BERC. উক্ত ডিমান্ড চার্জ ও ব্যবহৃত বিদ্যুৎ খরচের উপরই মোট বিল হিসাব করা হয়। এই টাকা সরকারি রাজস্ব খাতে জমা হয়। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই টাকার মালিক না।
মিটার_ভাড়া কি ও কেন এই বিষয়ে বলেন পল্লী বিদ্যুৎ বেশির ভাগই গ্রামীণ মানুষকে বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে থাকে। যাদের অধিকাংশ সচ্ছল না। একটি ১ ফেইজ মিটারের দাম ১২০০/১৫০০ টাকা। অনেক গ্রাহকের উক্ত টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার মতো সাধ্য নাই। তাই ১০ টাকা মাস প্রতি নিয়ে থাকে। একটি মিটারের আয়ু সচরাচর ১০ বছর। তাহলে ১০ বছর x ১২ মাস x ১০ টাকা = ১২০০ টাকা। তবে মিটার বেশিরভাগই ১০ বছরের আগেই নষ্ট হয়ে যায়।এমনকি ১০ দিন কিংবা ১ মাসেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তখন গ্রাহককে বিনামূল্যে পুণরায় নতুন মিটার দেওয়া হয়। প্রতি মাসে ১০ টাকা গ্রাহক স্বার্থেই করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বিদ্যুৎ বিলের ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া নিয়ে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পক্ষ থেকে যা বললেন

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ মহাসিন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকের ভূল ধারনা নিরসনের জন্য ডিমান্ড_চার্জ কি, কারা নির্ধারণ করে এ বিষয়ে বলেন । যখন কোন একজন গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে মিটারের জন্য আবেদন করে, তখন উক্ত গ্রাহকের ব্যবহার সীমা কতটুকু হবে, তা উল্লেখ করে তাকে ফর্মে অঙ্গীকার/স্বাক্ষর দিতে হয়। যেমন, কোন গ্রাহক যদি বলে তার ২ কিঃওঃ (কিলোওয়াট) লাগবে। তার মানে উক্ত গ্রাহকের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমা ২কিঃওঃ। এই ২ কিঃ ওঃ হলো তার চুক্তিবদ্ধ লোড। এই সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ব্যবহারের সীমা বা চুক্তিবদ্ধ লোডের উপর যে চার্জ ধার্য করা হয় তাকেই ডিমান্ড চার্জ বলা হয়।
গ্রাহকের সেই চুক্তিবদ্ধ লোড সরবরাহ করার জন্য বিদ্যুৎ বিতরণকারী সকল প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল সহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে উক্ত গ্রাহকের সরবরাহ নিশ্চিত করে থাকে। যেমন, ট্রান্সফরমার, খুঁটি, তার ইত্যাদি। এসব যন্ত্রপাতি ও মালামালের টাকা যেমন সরকার বহন করে, তেমনি ডিমান্ড চার্জের মাধ্যমে এই টাকা সরকার আবার ফেরতও নেয়।
ডিমান্ড চার্জ কেউ চাইলে নিজের ইচ্ছামত ধার্য করতে পারে না। ইহা নির্ধারণ করে দেয় সরকারি সংস্থা Bangladesh Energy Regulatory Commotion (BERC). বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বেচা, কেনা, উৎপাদন, বিতরণ, জরিমানা, ভর্তুকি, বিলের রেট, ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট সব কিছু নির্ধারণ করে দেয় এই BERC.
যেমন- আবাসিক, সেচ-কৃষি কাজের গ্রাহকদের জন্য ডিমান্ড চার্জ প্রতি কিলোওয়াট ৪২ টাকা, বাণিজ্যিক বিপণনের জন্য ৯০ টাকা ইত্যাদি ধার্য করে দিয়েছে BERC. উক্ত ডিমান্ড চার্জ ও ব্যবহৃত বিদ্যুৎ খরচের উপরই মোট বিল হিসাব করা হয়। এই টাকা সরকারি রাজস্ব খাতে জমা হয়। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই টাকার মালিক না।
মিটার_ভাড়া কি ও কেন এই বিষয়ে বলেন পল্লী বিদ্যুৎ বেশির ভাগই গ্রামীণ মানুষকে বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে থাকে। যাদের অধিকাংশ সচ্ছল না। একটি ১ ফেইজ মিটারের দাম ১২০০/১৫০০ টাকা। অনেক গ্রাহকের উক্ত টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার মতো সাধ্য নাই। তাই ১০ টাকা মাস প্রতি নিয়ে থাকে। একটি মিটারের আয়ু সচরাচর ১০ বছর। তাহলে ১০ বছর x ১২ মাস x ১০ টাকা = ১২০০ টাকা। তবে মিটার বেশিরভাগই ১০ বছরের আগেই নষ্ট হয়ে যায়।এমনকি ১০ দিন কিংবা ১ মাসেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তখন গ্রাহককে বিনামূল্যে পুণরায় নতুন মিটার দেওয়া হয়। প্রতি মাসে ১০ টাকা গ্রাহক স্বার্থেই করা হয়।