ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বালিয়াডাঙ্গীতে এক কৃষকের ভুলে ৬ কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ভস্মীভূত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোটার:
 
হার্ভেস্টার মেশিনে গম কেটে নেওয়ার পর জমিতে পড়ে থাকা অবশিষ্ট ডাটা জৈব সার তৈরির জন্য আগুন দিয়েছিলেন কৃষক আব্দুস সামাদ। চৈত্র মাসের প্রখর রোদ ও বাতাসে সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের গম খেতে। একে একে ছয় কৃষকের প্রায় ৭ বিঘা জমির গম খেত পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের পশ্চিম সরলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গমখেতের পাশাপাশি কচু ও পাট খেতেরও ক্ষতি করেছে ওই আগুন। 
প্রত্যক্ষদর্শী বৃদ্ধ এনায়েত হোসেন বলেন, গম কেটে নেওয়ার পর ওই জমিতে পাট খেত রোপণের জন্য গমের উচ্ছিষ্ট ডাটাতে আগুন দিয়েছিল আব্দুস সামাদ। কিন্তু সেই আগুনের লেলিহান পাশের গম খেতে ছড়িয়ে পড়ে। মাঠে থাকা লোকজন চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করলেও ছয় কৃষকের ৭ বিঘা জমি পুড়ে গেছে। এতে পায় দুই লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। স্বপ্ন পুড়ছে ছয়টি পরিবারের। 

ক্ষতিগ্রস্ত গমচাষি এনামুল হক বলেন, ‘অনেক আশা করেছিলাম গম কেটে বিক্রি করে ঈদে ছেলে মেয়েদের কাপড়-চোপড় কিনে দেব। কিন্তু আগুন সব ধ্বংস করে দিল। সামাদের কাছে আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়েছি। ক্ষতিপূরণ না দিলে মামলা করব।’ 
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে কৃষক আব্দুস সামাদ বাড়ি থেকে পলিয়ে গিয়েছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের দেওয়ার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়। 

স্থানীয়রা জানায়, এই গরমে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। অসচেতনতার কারণেই আগুনে ছয়টি কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে গেছে। যত্রতত্র এভাবে আগুন দেওয়া বন্ধে স্থানীয় কৃষি অফিস ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। 
বালিয়াডাঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সফিউল্লাহ বসুনিয়া বলেন, ‘গম খেতে আগুনের খবর শুনে আমরা গাড়ি নিয়ে পৌঁছানোর আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে মাঠে থাকা লোকজন। আমরা মাঝ রাস্তা থেকে ফিরে এসেছি।’ 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল বলেন, ‘গম খেতে উচ্ছিষ্ট ডাটাতে আগুন দিলে পাশের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা যেন কৃষকেরা না করে সে ব্যাপারে আমরা কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা করছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বালিয়াডাঙ্গীতে এক কৃষকের ভুলে ৬ কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ভস্মীভূত

আপডেট সময় : ১২:২৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোটার:
 
হার্ভেস্টার মেশিনে গম কেটে নেওয়ার পর জমিতে পড়ে থাকা অবশিষ্ট ডাটা জৈব সার তৈরির জন্য আগুন দিয়েছিলেন কৃষক আব্দুস সামাদ। চৈত্র মাসের প্রখর রোদ ও বাতাসে সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের গম খেতে। একে একে ছয় কৃষকের প্রায় ৭ বিঘা জমির গম খেত পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের পশ্চিম সরলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গমখেতের পাশাপাশি কচু ও পাট খেতেরও ক্ষতি করেছে ওই আগুন। 
প্রত্যক্ষদর্শী বৃদ্ধ এনায়েত হোসেন বলেন, গম কেটে নেওয়ার পর ওই জমিতে পাট খেত রোপণের জন্য গমের উচ্ছিষ্ট ডাটাতে আগুন দিয়েছিল আব্দুস সামাদ। কিন্তু সেই আগুনের লেলিহান পাশের গম খেতে ছড়িয়ে পড়ে। মাঠে থাকা লোকজন চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করলেও ছয় কৃষকের ৭ বিঘা জমি পুড়ে গেছে। এতে পায় দুই লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। স্বপ্ন পুড়ছে ছয়টি পরিবারের। 

ক্ষতিগ্রস্ত গমচাষি এনামুল হক বলেন, ‘অনেক আশা করেছিলাম গম কেটে বিক্রি করে ঈদে ছেলে মেয়েদের কাপড়-চোপড় কিনে দেব। কিন্তু আগুন সব ধ্বংস করে দিল। সামাদের কাছে আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়েছি। ক্ষতিপূরণ না দিলে মামলা করব।’ 
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে কৃষক আব্দুস সামাদ বাড়ি থেকে পলিয়ে গিয়েছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের দেওয়ার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়। 

স্থানীয়রা জানায়, এই গরমে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। অসচেতনতার কারণেই আগুনে ছয়টি কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে গেছে। যত্রতত্র এভাবে আগুন দেওয়া বন্ধে স্থানীয় কৃষি অফিস ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। 
বালিয়াডাঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সফিউল্লাহ বসুনিয়া বলেন, ‘গম খেতে আগুনের খবর শুনে আমরা গাড়ি নিয়ে পৌঁছানোর আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে মাঠে থাকা লোকজন। আমরা মাঝ রাস্তা থেকে ফিরে এসেছি।’ 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল বলেন, ‘গম খেতে উচ্ছিষ্ট ডাটাতে আগুন দিলে পাশের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা যেন কৃষকেরা না করে সে ব্যাপারে আমরা কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা করছি।’