ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দুমকিতে মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রস্তুতিমূলক সভা  নিবন্ধন ব্যতীত সার মজুদ রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা গাজীরহাট পূজা মন্ডপ পরিদর্শক ও মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চুরির অভিযোগে কিশোরকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল বাকৃবিতে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মৃত্যুর চেয়েও মারাত্মক সময় অপচয়: সফল জীবনের পথে সতর্কবার্তা ১৩ বছরে কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি নীলফামারীর সমিতার: তবুও ফিরতে চান স্বামীর সংসারে শ্যামনগর কৈখালীতে বিশুদ্ধ পানির প্লান্ট উদ্বোধন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক ফেনীতে স্বামীকে হ’ত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা বরিশাল রেঞ্জ কমান্ডার

বাকৃবিতে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে

বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক একটি ধারণা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদীয় কনফারেন্স হলে প্রফেসর মুহাম্মদ হোসেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগার (পিএমএইচসিএল) এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (জিএআইএন) এর যৌথ উদ্যোগে ওই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. শরীফুল হক ভূইয়া এবং জিএআইএন এর লিড ড. আশেক মাহফুজ উপস্থিত ছিলেন। পিএমএইচসিএল এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: আমির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদুল আলম।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ। এছাড়া জিএআইএন এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: আবুল বাসার চৌধুরী এবং জিএআইএন এর লার্জ স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন এন্ড ভ্যালু চেইন এর পোর্টফোলিও লিড ড. আশেক মাহফুজ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় ফুড ফর্টিফিকেশন সম্পর্কিত একটি সেন্টার স্থাপনের সমীক্ষা যাচাই, বাংলাদেশের জাতীয় ফুড ফর্টিফিকেশনের অংশ হিসেবে কৌশলপত্র প্রণয়ন, খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ ও বাজার তদারকি এবং দেশের চাহিদা অনুযায়ী যুগোপযোগী ফুড ফর্টিফিকেশন কর্মসূচী গ্রহণের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুবিধাদি প্রণয়ন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। একইসাথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের মোটিভেশনের মাধ্যমে দেশের পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদনে অগ্রগামী করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান নিঃসন্দেহে একটি সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মশালা। কর্মশালার বিষয়বস্তু অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সচেতনতা থাকা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণে না রাখার কারণে আমাদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগ জীবনে জটিলতা সৃষ্টি করছে। যদি আমরা এই বিষয়গুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি, জাতিকে সচেতন করতে পারি এবং উপযুক্ত গবেষণা করতে পারি, তবে দেশের উন্নতি সাধন হবে। শুধু বাকৃবি বা বিনা নয়, ভবিষ্যতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সিভিল সোসাইটিকে যুক্ত করলে এ কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হবে। আমরা যে সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছি, সেটি গবেষণা, শিক্ষা ও জাতিকে সচেতন করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবে। এজন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে কোরিয়ার অভিজ্ঞতা অনুসরণযোগ্য। সেখানে সরকার বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে সুফল পাচ্ছে। আমাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনগুলো অবশ্যই পেটেন্ট করতে হবে। এর মাধ্যমে গবেষকরা স্বীকৃতি ও আর্থিক সুবিধা পাবেন এবং দেশ উপকৃত হবে।

কর্মশালায় বাকৃবির সকল অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, বাকৃবির রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো: হেলাল উদ্দিন, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বাকৃবিতে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক একটি ধারণা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদীয় কনফারেন্স হলে প্রফেসর মুহাম্মদ হোসেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগার (পিএমএইচসিএল) এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (জিএআইএন) এর যৌথ উদ্যোগে ওই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. শরীফুল হক ভূইয়া এবং জিএআইএন এর লিড ড. আশেক মাহফুজ উপস্থিত ছিলেন। পিএমএইচসিএল এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: আমির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদুল আলম।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ। এছাড়া জিএআইএন এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: আবুল বাসার চৌধুরী এবং জিএআইএন এর লার্জ স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন এন্ড ভ্যালু চেইন এর পোর্টফোলিও লিড ড. আশেক মাহফুজ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় ফুড ফর্টিফিকেশন সম্পর্কিত একটি সেন্টার স্থাপনের সমীক্ষা যাচাই, বাংলাদেশের জাতীয় ফুড ফর্টিফিকেশনের অংশ হিসেবে কৌশলপত্র প্রণয়ন, খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ ও বাজার তদারকি এবং দেশের চাহিদা অনুযায়ী যুগোপযোগী ফুড ফর্টিফিকেশন কর্মসূচী গ্রহণের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুবিধাদি প্রণয়ন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। একইসাথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের মোটিভেশনের মাধ্যমে দেশের পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদনে অগ্রগামী করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান নিঃসন্দেহে একটি সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মশালা। কর্মশালার বিষয়বস্তু অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সচেতনতা থাকা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণে না রাখার কারণে আমাদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগ জীবনে জটিলতা সৃষ্টি করছে। যদি আমরা এই বিষয়গুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি, জাতিকে সচেতন করতে পারি এবং উপযুক্ত গবেষণা করতে পারি, তবে দেশের উন্নতি সাধন হবে। শুধু বাকৃবি বা বিনা নয়, ভবিষ্যতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সিভিল সোসাইটিকে যুক্ত করলে এ কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হবে। আমরা যে সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছি, সেটি গবেষণা, শিক্ষা ও জাতিকে সচেতন করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবে। এজন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে কোরিয়ার অভিজ্ঞতা অনুসরণযোগ্য। সেখানে সরকার বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে সুফল পাচ্ছে। আমাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনগুলো অবশ্যই পেটেন্ট করতে হবে। এর মাধ্যমে গবেষকরা স্বীকৃতি ও আর্থিক সুবিধা পাবেন এবং দেশ উপকৃত হবে।

কর্মশালায় বাকৃবির সকল অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, বাকৃবির রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো: হেলাল উদ্দিন, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।