ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পবিপ্রবিতে শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের কমিটি গঠিন  কুতুবদিয়ায় পূঁজা মণ্ডপ পরিদর্শন করে গেলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহাপুর আবু হুরায়রা (রাঃ) মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠন পূ’জা’র ছুটিতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ধর্মীয় সহনশীলতা ছাড়া রাষ্ট্রের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করার সম্ভব নয়’চেয়ারম্যান মঞ্জু আলমডাঙ্গায় পূজামণ্ডপে শামসুজ্জামান দুদু দুমকিতে মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রস্তুতিমূলক সভা  নিবন্ধন ব্যতীত সার মজুদ রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা গাজীরহাট পূজা মন্ডপ পরিদর্শক ও মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চুরির অভিযোগে কিশোরকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

বরিশাল নদীবন্দরে রাজধানীমুখী যাত্রীদের ভিড়

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

আশরাফ উদ্দিন বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ-

বরিশাল: ঈদ শেষে বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী হচ্ছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো। পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ায় গত বছরের মতো এবারও সড়কপথে যাত্রীদের চাপ অনেকটা বেশি।
তবে নৌপথেও যে যাত্রীর চাপ নেই তা বলা যাবে না।
বরিশাল নদীবন্দরের দায়িত্বরতরা বলছেন, শনিবারের (১৩এপ্রিল) পাশাপাশি রোববার (১৪ এপ্রিল) যাত্রীর চাপ থাকবে নৌপথে।আর পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের পরের দিন থেকে যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
আর যাত্রীদের অভিযোগ সুযোগ পেয়ে সড়ক-নৌসহ আকাশপথে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।বিগত দিনের মতো এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও কোনো গতি হচ্ছে না। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে কাজ করছেন তারা।সেক্ষেত্রে যেকোনো অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল থেকে বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে, যা শনিবারে কয়েকগুণ বেশি বাড়ে। আর বরিশাল নদীবন্দরে শুক্রবারে যাত্রীর চাপ না থাকলেও শনিবার আকস্মিক চাপ বেড়ে যায়। তবে এ চাপও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগের মতো নয় বলে জানিয়েছেন নৌ-শ্রমিকরা। তাদের মতে আগে যেখানে যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ঈদের আগে ও পরে ১৫-২০টি লঞ্চের প্রয়োজন হতো, এখন তা পাঁচ থেকে সাতটিতেই সম্ভব।
রাকিবুল ইসলাম নামে এক যাত্রী জানান, লঞ্চযাত্রা নিরাপদ হলেও অনেক সময়ের প্রয়োজন হওয়ায় এখন তিনি বাসেই বরিশাল থেকে ঢাকা আসা-যাওয়া করেন। তবে ঈদের সময় প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিবহন থাকায় এবং যাত্রীদের আগ্রহ থাকায় পাঁচশ টাকার ভাড়া সাড়ে ছয়শ থেকে সাতশ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।তবে বাস মালিকরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে বেশি এক টাকাও আদায় করা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে শ্রমিকরা জানিয়েছেন, পরিবহন বেশি হওয়ায় স্বাভাবিক সময়ে যাত্রী পেতে অনেকেই সরকার নির্ধারিত থেকে কম মূল্যে যাত্রী পরিবহন করেন। আর ঈদের সময় যাত্রীরা সেটাকে ন্যায্য হিসেবে তুলে ধরেন। তবে সরকার নির্ধারিত থেকে কোনো বেশি টাকা নেওয়া হয় না যাত্রীদের কাছ থেকে।এদিকে সুমাইয়া আক্তার নামে এক যাত্রী জানান, লঞ্চে যাত্রীর চাপ থাকলেও সিন্ডিকেট করে স্বল্প সংখ্যক লঞ্চ চালনা করা হয়। পাশাপাশি সেই স্বল্প সংখ্যক লঞ্চে টিকিটের চাহিদা থাকলেও কাউন্টারে গিয়ে পাওয়া যায় না। অথচ শনিবার বিকেলে ঘাটে এসে হাজার টাকার কেবিন পনেরশ’ টাকায় মিলছে দালালদের কাছ থেকে। ডেকের ভাড়াও তো মনে হচ্ছে বেশি।
তিনি আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় যে যাত্রীর চাপ ঘাটে রয়েছে তাতে বেশি লঞ্চ হলে যাত্রীরা নিরপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ঢাকায় যেতে পারবে। কিন্তু দেখলাম ছয় থেকে সাতটির মতো লঞ্চে যাত্রী তোলা হচ্ছে।
আবার আকাশপথে যাত্রী সংকটে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স ছাড়া কেউই এবারে ঈদে যাত্রীসেবায় সংযুক্ত ছিলে না। আর সেই স্বল্প ফ্লাইটে যে টিকিট মিলেছে তাও ছিল যাত্রীদের তুলনায় খুবই নগণ্য। তবে সেই টিকিটের দামও ছিল আকাশ ছোঁয়া।
সাজ্জাদ হোসেন নামে একজন জানান, ঈদের আগে ও পরের ফ্লাইটের একটি টিকিটের দাম যদি ১০ হাজার টাকা হয়, তা দিয়ে ভাড়ায় কার বা মাইক্রো নিয়ে সপরিবারে ঢাকা থেকে বরিশাল কিংবা বরিশাল থেকে ঢাকায় যাওয়া যায়। তাই হিসাব কষে ঈদের আগেও বরিশালে এসেছেন ভাড়ায় গাড়ি নিয়ে। আবার যাচ্ছেনও ভাড়ায় গাড়ি নিয়ে। এতে যাত্রা যেমন নিরাপদ হচ্ছে সময়ও কম লাগছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বরিশাল নদীবন্দরে রাজধানীমুখী যাত্রীদের ভিড়

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

আশরাফ উদ্দিন বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ-

বরিশাল: ঈদ শেষে বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী হচ্ছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো। পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ায় গত বছরের মতো এবারও সড়কপথে যাত্রীদের চাপ অনেকটা বেশি।
তবে নৌপথেও যে যাত্রীর চাপ নেই তা বলা যাবে না।
বরিশাল নদীবন্দরের দায়িত্বরতরা বলছেন, শনিবারের (১৩এপ্রিল) পাশাপাশি রোববার (১৪ এপ্রিল) যাত্রীর চাপ থাকবে নৌপথে।আর পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের পরের দিন থেকে যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
আর যাত্রীদের অভিযোগ সুযোগ পেয়ে সড়ক-নৌসহ আকাশপথে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।বিগত দিনের মতো এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও কোনো গতি হচ্ছে না। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে কাজ করছেন তারা।সেক্ষেত্রে যেকোনো অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল থেকে বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে, যা শনিবারে কয়েকগুণ বেশি বাড়ে। আর বরিশাল নদীবন্দরে শুক্রবারে যাত্রীর চাপ না থাকলেও শনিবার আকস্মিক চাপ বেড়ে যায়। তবে এ চাপও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগের মতো নয় বলে জানিয়েছেন নৌ-শ্রমিকরা। তাদের মতে আগে যেখানে যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ঈদের আগে ও পরে ১৫-২০টি লঞ্চের প্রয়োজন হতো, এখন তা পাঁচ থেকে সাতটিতেই সম্ভব।
রাকিবুল ইসলাম নামে এক যাত্রী জানান, লঞ্চযাত্রা নিরাপদ হলেও অনেক সময়ের প্রয়োজন হওয়ায় এখন তিনি বাসেই বরিশাল থেকে ঢাকা আসা-যাওয়া করেন। তবে ঈদের সময় প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিবহন থাকায় এবং যাত্রীদের আগ্রহ থাকায় পাঁচশ টাকার ভাড়া সাড়ে ছয়শ থেকে সাতশ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।তবে বাস মালিকরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে বেশি এক টাকাও আদায় করা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে শ্রমিকরা জানিয়েছেন, পরিবহন বেশি হওয়ায় স্বাভাবিক সময়ে যাত্রী পেতে অনেকেই সরকার নির্ধারিত থেকে কম মূল্যে যাত্রী পরিবহন করেন। আর ঈদের সময় যাত্রীরা সেটাকে ন্যায্য হিসেবে তুলে ধরেন। তবে সরকার নির্ধারিত থেকে কোনো বেশি টাকা নেওয়া হয় না যাত্রীদের কাছ থেকে।এদিকে সুমাইয়া আক্তার নামে এক যাত্রী জানান, লঞ্চে যাত্রীর চাপ থাকলেও সিন্ডিকেট করে স্বল্প সংখ্যক লঞ্চ চালনা করা হয়। পাশাপাশি সেই স্বল্প সংখ্যক লঞ্চে টিকিটের চাহিদা থাকলেও কাউন্টারে গিয়ে পাওয়া যায় না। অথচ শনিবার বিকেলে ঘাটে এসে হাজার টাকার কেবিন পনেরশ’ টাকায় মিলছে দালালদের কাছ থেকে। ডেকের ভাড়াও তো মনে হচ্ছে বেশি।
তিনি আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় যে যাত্রীর চাপ ঘাটে রয়েছে তাতে বেশি লঞ্চ হলে যাত্রীরা নিরপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ঢাকায় যেতে পারবে। কিন্তু দেখলাম ছয় থেকে সাতটির মতো লঞ্চে যাত্রী তোলা হচ্ছে।
আবার আকাশপথে যাত্রী সংকটে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স ছাড়া কেউই এবারে ঈদে যাত্রীসেবায় সংযুক্ত ছিলে না। আর সেই স্বল্প ফ্লাইটে যে টিকিট মিলেছে তাও ছিল যাত্রীদের তুলনায় খুবই নগণ্য। তবে সেই টিকিটের দামও ছিল আকাশ ছোঁয়া।
সাজ্জাদ হোসেন নামে একজন জানান, ঈদের আগে ও পরের ফ্লাইটের একটি টিকিটের দাম যদি ১০ হাজার টাকা হয়, তা দিয়ে ভাড়ায় কার বা মাইক্রো নিয়ে সপরিবারে ঢাকা থেকে বরিশাল কিংবা বরিশাল থেকে ঢাকায় যাওয়া যায়। তাই হিসাব কষে ঈদের আগেও বরিশালে এসেছেন ভাড়ায় গাড়ি নিয়ে। আবার যাচ্ছেনও ভাড়ায় গাড়ি নিয়ে। এতে যাত্রা যেমন নিরাপদ হচ্ছে সময়ও কম লাগছে।