ফটিকছড়ি ধর্মপুরের পার্থ দাশ রাউজানে ট্রাকের সাথে বাইক সংঘর্ষে নিহত, দেওয়া হল না ফাইনাল পরীক্ষা

- আপডেট সময় : ০৭:১৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ:-আগামী এইচ এস সি ফাইনাল পরীক্ষার টেবিলে বসার আগে বসে গেলেন শেষ যাত্রায়। যে যাত্রায় একবার গেলে আর কেউ ফিরতে পারেনা। বলছিলাম ফটিকছড়ির যুবক পার্থ দাশের কথা। আজ চট্টগ্রামের রাউজানে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পার্থ দাশ (২০) নামে এক টগবগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মঘাশাস্ত্রী এলাকায় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুদি পণ্য খালাসের সময় ট্রাকের পেছনে দ্রুতগামী পার্থ দাশের বাইকটির ধাক্কা লাগে। এতে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন পার্থ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গহিরা জে কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পার্থ দাশ ফটিকছড়ি উপজেলার ১৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দাশ পাড়ার নিতাই দাশের ছেলে। পুলিশ জানায়, পার্থ কোথায় যাচ্ছিল বা কেন বাড়ি থেকে বের হয়েছিল, সে বিষয়ে তার পরিবারের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মরদেহ জে কে হাসপাতালে হতে রাউজান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান হতে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে তার স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এই দিকে, ফটিকছড়ি ধর্মপুর ইউনিয়নের বণিক পাড়া সংলগ্ন দাশ পাড়া গিয়ে দেখা যায় তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পার্থ এর মা একমাত্র পুত্র কে হারিয়ে বারে বারে জ্ঞান হারাচ্ছে আর করছে আহাজারি। ৭ নং ওয়ার্ড এর মেম্বার হারুন চৌধুরীর সাথে আলাপ করে জানা যায়, বিগত ১৫ দিন আগে তার বাবা নিতাই দাশ প্রবাসে চলে গেছেন। তিনি অনেক বছর ধরে মধ্য প্রাচ্যে আছেন। বিগত ১৫ দিন আগে গিয়ে তিনি তার, ভিসা নবায়ন করার জন্য কাগজ পত্র জমা করেন। তাই তার একমাত্র বুকের ধন কে শেষ দেখা হয়ত নাও হতে পারে। হারুন মেম্বার বলেন তার বড় বোন নোয়াখালী তে ইন্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যয়নরত আছেন। পার্থ ২ য়। সেই এইবার এম ইএচ কলেজ হতে ইন্টার ফাইনাল দেওয়ার কথা ছিল। তার ছোট বোন স্থানীয় কমল কৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ ম শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয়রা বলেন, পার্থের আর খাতা কলম নিয়ে পরীক্ষার টেবিলে বসা হলনা, বসে গেলেন একেবারে শেষ অন্তোষ্টিক্রিয়ায়। অনেকেই বলেন এই ধরনের ছোট যুবক ছেলেদের হাতে মোটরসাইকেল দেওয়ার আগে অভিভাবকদের শতবার চিন্তা করা প্রয়োজন। যে বয়সে যুবকদের হাতে খাতা কলম থাকার কথা তার অনেক আগেই তাদের হাতে ওঠেছে বেপরোয়া মোটর বাইক। তাই সকলে বলে, ছেলেকে বাইক নয় জীবন দিন।