ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাগেরহাটে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

পুলিশের প্রচেষ্টায় যশোরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১০০ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ গত ২৮ এপ্রিল সকালে যশোর জেলার মণিরামপুর থানাধীন খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামে সংঘটিত এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। চাতালের একটি ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ৩৫ বছর বয়সী গৃহবধূ স্বরূপজান-এর নিথর দেহ।

খবর পেয়ে মণিরামপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করে এবং নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনা শুরু থেকেই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে, পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়।

জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ঘটনার তদন্তে নামে একটি বিশেষ টিম। টিমটিতে ছিলেন জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এবং মণিরামপুর থানার অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা। প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ হত্যা রহস্যের জট খুলে ফেলে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে ভিকটিমের স্বামী আব্দুর রশিদ ও তার সৎ ছেলে জিসান (২২)-কে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তাদের বসতঘর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও শীলের নড়া উদ্ধার করা হয়।

এই দ্রুত, দক্ষ ও সাহসী অভিযানে পুলিশের পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্বশীল মনোভাব আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে এমন একটি জটিল ও সংবেদনশীল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সত্যিই অভূতপূর্ব।

এ ঘটনায় পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেছে। সামাজিক মাধ্যমে ও স্থানীয় মহলে পুলিশ বাহিনীর প্রশংসায় মুখর সবাই। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনী যে সদা প্রস্তুত, এ ঘটনা তারই উজ্জ্বল উদাহরণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

পুলিশের প্রচেষ্টায় যশোরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

এমদাদুল হক মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ গত ২৮ এপ্রিল সকালে যশোর জেলার মণিরামপুর থানাধীন খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামে সংঘটিত এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। চাতালের একটি ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ৩৫ বছর বয়সী গৃহবধূ স্বরূপজান-এর নিথর দেহ।

খবর পেয়ে মণিরামপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করে এবং নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনা শুরু থেকেই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে, পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়।

জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ঘটনার তদন্তে নামে একটি বিশেষ টিম। টিমটিতে ছিলেন জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এবং মণিরামপুর থানার অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা। প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ হত্যা রহস্যের জট খুলে ফেলে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে ভিকটিমের স্বামী আব্দুর রশিদ ও তার সৎ ছেলে জিসান (২২)-কে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তাদের বসতঘর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও শীলের নড়া উদ্ধার করা হয়।

এই দ্রুত, দক্ষ ও সাহসী অভিযানে পুলিশের পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্বশীল মনোভাব আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে এমন একটি জটিল ও সংবেদনশীল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সত্যিই অভূতপূর্ব।

এ ঘটনায় পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেছে। সামাজিক মাধ্যমে ও স্থানীয় মহলে পুলিশ বাহিনীর প্রশংসায় মুখর সবাই। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনী যে সদা প্রস্তুত, এ ঘটনা তারই উজ্জ্বল উদাহরণ।