ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পূ’জা’র ছুটিতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ধর্মীয় সহনশীলতা ছাড়া রাষ্ট্রের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করার সম্ভব নয়’চেয়ারম্যান মঞ্জু আলমডাঙ্গায় পূজামণ্ডপে শামসুজ্জামান দুদু দুমকিতে মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রস্তুতিমূলক সভা  নিবন্ধন ব্যতীত সার মজুদ রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা গাজীরহাট পূজা মন্ডপ পরিদর্শক ও মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চুরির অভিযোগে কিশোরকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল বাকৃবিতে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মৃত্যুর চেয়েও মারাত্মক সময় অপচয়: সফল জীবনের পথে সতর্কবার্তা ১৩ বছরে কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি নীলফামারীর সমিতার: তবুও ফিরতে চান স্বামীর সংসারে

পারিবারিক অশান্তি থেকেই ছেলেকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ তৌহিদুর রহমান,ক্রাইম রিপোর্টার,যশোর:-

একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন মশিউর রহমান। তিন বছর আগে তাঁর চাকরি চলে যায়। চাকরি হারানোর পর চার সদস্যের পরিবারে আর্থিক অনটন দেখা দেয়। এ নিয়ে পরিবারে শুরু হয় অশান্তি। এই হতাশা থেকেই মশিউর রহমান ছেলে ও মেয়েকে শ্বাস রোধ করার পর নিজে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের তালতলা এলাকার একটি বাসায় বাবা–ছেলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তালতলার মোল্লাপাড়া এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে মশিউর রহমান ও তাঁর কলেজপড়ুয়া ছেলে সাহদাবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মশিউরের মেয়ে সিনথিয়াকে। পরে তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকেও শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন মশিউর রহমান।

পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) ইমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আর্থিক অনটন ও পারিবারিক হতাশা থেকেই ছেলে ও মেয়ের শ্বাস রোধ করেছিলেন মশিউর রহমান। পরে তিনি রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাস্থলে মারা যান ছেলে মারা যায়। আর মেয়েকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁর মেয়ের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। ঘটনার সময় মশিউরের স্ত্রী ওই সময় ছাত্র পড়াতে বাইরে যায়।

পুলিশ জানায়, মশিউর রহমান ও তাঁর ছেলের লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

পারিবারিক অশান্তি থেকেই ছেলেকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ তৌহিদুর রহমান,ক্রাইম রিপোর্টার,যশোর:-

একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন মশিউর রহমান। তিন বছর আগে তাঁর চাকরি চলে যায়। চাকরি হারানোর পর চার সদস্যের পরিবারে আর্থিক অনটন দেখা দেয়। এ নিয়ে পরিবারে শুরু হয় অশান্তি। এই হতাশা থেকেই মশিউর রহমান ছেলে ও মেয়েকে শ্বাস রোধ করার পর নিজে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের তালতলা এলাকার একটি বাসায় বাবা–ছেলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তালতলার মোল্লাপাড়া এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে মশিউর রহমান ও তাঁর কলেজপড়ুয়া ছেলে সাহদাবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মশিউরের মেয়ে সিনথিয়াকে। পরে তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকেও শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন মশিউর রহমান।

পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) ইমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আর্থিক অনটন ও পারিবারিক হতাশা থেকেই ছেলে ও মেয়ের শ্বাস রোধ করেছিলেন মশিউর রহমান। পরে তিনি রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাস্থলে মারা যান ছেলে মারা যায়। আর মেয়েকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁর মেয়ের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। ঘটনার সময় মশিউরের স্ত্রী ওই সময় ছাত্র পড়াতে বাইরে যায়।

পুলিশ জানায়, মশিউর রহমান ও তাঁর ছেলের লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।